ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন
ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন বা আইপি পাইপ লাইন হল ইরান ও পাকিস্তান-এর মাঝে নির্মীয়মাণ একটি গ্যাস পাইপ লাইন।এটি ইরানের সাউত্ত পরস গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস পাকিস্তানের গদর-এ পাইপের মাধ্যমে পরিবহন করে আনার ব্যবস্থা।এটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে পাকিস্তানে গ্যাসের যোগান বারবে এবং গ্যাস পরিবহনের খরচও কমবে।[১]
ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | |
সাধারণ দিক নির্দেশ | ইরান থেকে পাকিস্তান:পশ্চিম-পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে:উত্তর-দক্ষিণ |
হইতে | এশালেয়েহ,বুশেহর,ইরন |
অতিক্রম করে | বন্দর আব্বাস,ইরানশাহর,খুজদার,গদর,সুই |
পর্যন্ত | মুলতান,পাঞ্জাব |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | প্রাকৃতিক গ্যাস |
অংশীদার |
|
নির্মাণ শুরু | ২০১৬ |
অনুমোদন | ২০১৭ |
কারিগরী তথ্য | |
দৈর্ঘ্য | ২,৭৭৫ কিলোমিটার (১,৭২৪ মাইল) |
ব্যাসার্ধ | ৫৬ ইঞ্চি (১,৪২২ মিলিমিটার) |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৫ সালে ইরান ও পাকিস্তান-এর মাঝে গ্যাস পরিবহনের জন্য পাইপ লাইনের কথা হয়।এর পর দুই দেশ এই প্রাস্তাবে সমত হয় যে ইরানের গ্যাস ক্ষেত্রে থেকে গদর বন্দর পর্যন্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমমে পাকিস্তানে পরিবহন করা হবে। এর পর এই পাইপ লাইন নির্মাণের উদ্ধোগ নেওয়া হয়।২০০৭ সালে ভারত এই প্রকল্পে অংশনিতে আগ্রহ দেখায় ।২০০৮ সালে চীন এই গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্পে আগ্রহ দেখান। এর দু বছর পরে ২০১০ সালে বাংলাদেশ [২] এই পরকল্পে আগ্রহি হয়।২০১৩ সালে পাকিস্তান এর রাষ্ট্রপ্রতী আসিফ আলি জারদানি ও ইরান প্রধান মন্ত্রী মহম্মদ আহমুদ্দিন নেজেদ এর মধ্যে চুক্তি সম্পূর্ণ হয় গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্পের।বর্তমানে এই গ্যাস পাইপ লাইনের নির্মাণ চলছে।এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে চীন।[৩] অনুমান করা হচ্ছে পাইপ লাইনটি ২০১৭ সালের মধ্যে নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে।
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য
সম্পাদনাপ্রকল্পটিতে ২৭৭৫ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লকইন তৈরি করা হবে ইরান থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত।এই প্যকল্পের মধ্যে ইরানে ১১৭২ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইন তৈরি করা হবে।এর মধ্যে ৯২০ কিলোমিটার নির্মাণ করাহবে। ইলরানের গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ইরানশাহর পর্যন্ত এবং ২৭০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে ইরানশাহর থেকে পাকিস্তান বডার পর্যন্ত। এর পর পাকিস্তান অংশে নির্মাণ করা হবে ৭৮৫ কিলোমিটার। এটি পাকিস্তানের মুলতানে শেষ হবে।বর্তমানে এটি [[পাকিস্তানের গদর বন্দর পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।এর পর এর সঙ্গে পাকিস্তাান এর গুরুত্ব পূর্ন শহর করাচি,লাহোর ও ইসলামাবাদ যুক্ত হবে।[৪] পরবর্তী ধাপে গ্যাস পাইপ লাইনের সঙ্গে ভারতের মুম্বই,দিল্লি ও কলকাতা শহর যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
সমস্যা
সম্পাদনাইরান এর পরমাণু কর্মসূচির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বিভিন্ন পশ্চিমি দেশ ইরান এর উপর চাপ সৃষ্টি করে।ফলে ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্পটির ভবিষ্যত অনিশ্তিত হয়ে পরে।কিন্তু পরে ইরান পরমাণু করমসূচি বিশ্বের কাছে প্রকাশে আনলে ও কর্মসূচি সামইক স্থগিত করলে দেশটির উপর থেকে নিষেজ্ঞাগা উঠে যায়।এর পর ইরান ও পাকিস্তানের গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্প প্রান পায়।[৫]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্য সূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ইরান পাকিস্তান গ্যাাস পাইপ লাইন"। আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ০৯-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "ইরান থেকে বাংলাদেশে গ্যাস পাইপ লাইন সম্প্রসারিত হতে পাড়ে"। ভোরের ডাক। সংগ্রহের তারিখ ০৯-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "Iran-Pakistan gas pipeline to complet by 2018"। Press TV। ১২ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্যকল্প বাস্তবায়ন করা হবে"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ০৯-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন প্রাকল্প ত্যাগ করেনি ইসলামাবাদ"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ০৯-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]