ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং
ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং[টীকা ১] (জার্মান ভাষায়: Johann Christoph Adelung) (৮ আগস্ট, ১৭৩২ – সেপ্টেম্বর ১০, ১৮০৬) একজন জার্মান ব্যাকরণবিদ ও ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি জার্মান ভাষার অভিধান গ্রামাটিশ-ক্রিটিশেস ভ্যোর্টারবুখ ডের হোখডয়চেন মুন্ডার্ট (Grammatisch-kritisches Wörterbuch der hochdeutschen Mundart অর্থাৎ "উচ্চ জার্মান ভাষার বাচনশৈলীর বৈয়াকরণিক-সমালোচনা অভিধান")-এর প্রণেতা।
ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১০ সেপ্টেম্বর ১৮০৬ | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | জার্মান |
প্রধান আগ্রহ | ভাষাবিজ্ঞান |
ভাবশিষ্য |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাআডেলুং ১৭৩২ সালের ৮ই আগস্ট পশ্চিম পোমেরানিয়ার ষ্পান্টেকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাগডেবুর্গের আংকলাম ও বের্গে মঠ বিদ্যালয়ে এবং পরে হালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৭৫৯ সালে তিনি এরফুর্ট শহরে উচ্চবিদ্যালয় বা গুমনাজিউমে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দুই বছর পর অধ্যাপনা ত্যাগ করেন এবং লাইপ্তসিশ শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি ভাষাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। ১৭৮৭ সালে ড্রেসডেনে জাখসেন নির্বাচনী এলাকার প্রধান গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মে নিয়োজিত ছিলেন।[৩]
কর্মপরিধি
সম্পাদনাআডেলুংয়ের লেখনীর পরিমাণ অনেক। জার্মান ব্যাকরণ, অভিধান, ও শৈলীর উপর তার উন্নতমানের কাজের মাধ্যমে তিনি জার্মান বানানবিধির সংস্কার, বাগধারার উত্কর্ষসাধন, ও জার্মান ভাষার আদর্শ বা মান রূপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার জার্মান ভাষার অভিধান গ্রামাটিশ-ক্রিটিশেস ভ্যোর্টারবুখ ডের হোখডয়চেন মুন্ডার্ট (Grammatisch-kritisches Wörterbuch der hochdeutschen Mundart অর্থাৎ "উচ্চ জার্মান ভাষার বাচনশৈলীর বৈয়াকরণিক-সমালোচনা অভিধান") (১৭৭৪-১৭৮৬) তার গবেষণার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।[৩]
ইয়াকপ গ্রিমের পূর্ব পর্যন্ত কেউ জার্মান ভাষার জন্য এতো পরিমাণ অবদান রাখতে পারে নি। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে মিথ্রিডাটেস্, ওডার আলগেমাইনে ষ্প্রাখেনকুন্ডে (১৮০৬) প্রকাশিত হয়। এই কাজের ইঙ্গিত প্রেরণা লাভ করেন ১৫৫৫ সালের কনরাড ফন গেসনারের একই নামের একটি প্রকাশনা থেকে, কিন্তু আডেলুংয়ের কাজ আরও বিস্তৃত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তার কাজ তিনি সম্পন্ন করে যেতে পারেন নি। তার মৃত্যুর পরপরই প্রকাশিত এই বইয়ের প্রথম খণ্ডে এশিয়াটিক ভাষা নিয়ে এবং বাকি দুটি খন্ড ইয়োহান সেভেরিন ফাটার (১৭৭১-১৮২৬)-এর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। আডেলুং-এর প্রকাশিত অসংখ্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বই হল: দিরেক্তোরিয়ুম দিপ্লোমাতিকুম (মেইসেন, ১৮০২); ডয়চে ষ্প্রাখলেরে ফ্যুর শুলেন (বার্লিন, ১৭৮১); এবং পাক্ষিক মাগাত্সিন ফুর ডি ডয়চে ষ্প্রাখে (১৭৯২-১৭৮৪)।[৩]
টীকা
সম্পাদনা- ↑ এই জার্মান নামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ-এ ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। নিবন্ধের অন্যান্য জার্মান নামের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসৃত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Douglas A. Kibbee (ed.), History of Linguistics 2005: Selected papers from the Tenth International Conference on the History of the Language Sciences (ICHOLS X), 15 September 2005, Urbana-Champaign, Illinois, John Benjamins Publishing, 2007, p. 290.
- ↑ ক খ Hugh LeCaine Agnew, Origins of the Czech National Renascence, University of Pittsburgh Press, 1994, p. 82.
- ↑ ক খ গ Chisholm 1911, পৃ. 190।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- "Adelung, Johann Christoph"। পৃষ্ঠা 190।