ইয়ান ব্রাডশ
ইয়ান ডেভিড রাসেল ব্রাডশ (ইংরেজি: Ian Bradshaw; জন্ম: ৯ জুলাই, ১৯৭৪) বার্বাডোসে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতেন ‘ব্রাড’ ডাকনামে পরিচিত ইয়ান ব্রাডশ।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান ডেভিড রাসেল ব্রাডশ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হোপওয়েল, ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | ৯ জুলাই ১৯৭৪||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ব্রাড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলিং, অল-রাউন্ডার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬৫) | ৯ মার্চ ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ জুন ২০০৬ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২২) | ১ মে ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১০ এপ্রিল ২০০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টি২০আই (ক্যাপ ১) | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ মার্চ ২০১৮ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে, নিজের ৩০তম জন্মদিনের দুই মাস পূর্বে জাতীয় দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত খেলার ওডিআই সিরিজের শেষের তিনটিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি। খেলাগুলোয় তিনি পাঁচবার উইকেট লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন।[১]
সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল শিরোপা লাভ করে ও তিনি চূড়ান্ত খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
মার্চ, ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ টেস্টের উভয় ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট পেয়েছিলেন। সিরিজের পাঁচ টেস্টে অংশ নেন। তবে, জুন মাসে দল থেকে বাদ পড়ে যান ইয়ান ব্রাডশ।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনা১৯৯৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে ইংল্যান্ড সফরে যান। তিনটি যুবদের টেস্ট ও দুইটি যুবদের একদিনের আন্তর্জাতিকে দলকে নেতৃত্ব দেন ইয়ান ব্রাডশ।[২] তবে, বার্বাডোসের জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়ে ব্যর্থ হন। এ সময়ে তিনি বার্বাডোসের পক্ষে বেশ কিছু প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
অবশেষে জানুয়ারি, ১৯৯৮ সালে বার্বাডোসের নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখালেও তখনও তিনি আঞ্চলিক দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টির বাইরে ছিলেন। তখনও তিনি ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত বার্বাডোস দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনারেড স্ট্রাইপ বোল প্রতিযোগিতায় সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জানুয়ারি, ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৫-সদস্যের ওডিআই দলের অন্যতম সদস্যরূপে তাকে মনোনীত করা হয়।[৩] ঐ প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে তিনি ৫/২২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।[৪] তবে, ঐ সফরে তিনি কোন খেলায় অংশ নিতে পারেননি। দেশে ফিরে ক্যারিব বিয়ার কাপ ক্রিকেটে অংশ নেন। ক্যারিব বিয়ার চ্যালেঞ্জের চূড়ান্ত খেলায় বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৬ উইকেট দখল করেন।[৫]
এপ্রিল, ২০০৪ সালে পুনরায় ওডিআই দলের সদস্য নির্বাচন করা হয় তাকে।[৬] সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭-খেলার ওডিআই সিরিজের প্রথম চার খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার। পঞ্চম খেলায় দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এরপর বিউসেজুর স্টেডিয়ামে প্রথম খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট পান।[৭] ঐ সিরিজে ব্রাডশ পাঁচ উইকেট পান ও ওভার প্রতি ৫.৫০ রান দেন যা তার খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং ছিল।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Statsguru – IDR Bradshaw – ODIs – Innings by innings list[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], from Cricinfo, retrieved 28 June 2006
- ↑ Ian Bradshaw, from CricketArchive, retrieved 28 June 2006
- ↑ West Indies name one-day squad, from Cricinfo, retrieved 28 June 2006
- ↑ Barbados v Trinidad and Tobago in 2003/04, from CricketArchive, retrieved 28 June 2006
- ↑ Final: Barbados v Jamaica at Barbados (Crab Hill), 25–28 Mar 2004, from Cricinfo, retrieved 28 June 2006
- ↑ Chanderpaul returns for ODI series, from Cricinfo, retrieved 13 April 2004
- ↑ 5th ODI: West Indies v England at St Lucia, 1 May 2004, from Cricinfo, retrieved 28 June 2006
- ↑ Statsguru – IDR Bradshaw – ODI Bowling – Series averages[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], from Cricinfo, retrieved 28 June 2006
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইয়ান ব্রাডশ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইয়ান ব্রাডশ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)