ইয়ান বেল
ইয়ান রোনাল্ড বেল, এমবিই (ইংরেজি: Ian Ronald Bell; জন্ম: ১১ এপ্রিল, ১৯৮২) ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও, ইয়ান বেল কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষ হয়ে খেলছেন। ডানহাতি শীর্ষ/মাঝারী সারির ব্যাটসম্যানরূপে দলে অংশগ্রহণ করেন। দ্য টাইমস তাকে ‘অত্যন্ত সুন্দর তরবারী’ নামে আখ্যায়িত করেছে যিনি অফ-সাইডে চমৎকারভাবে কভার ড্রাইভে বল পাঠান।[১] তিনি মূলতঃ ৪ নম্বরে ব্যাটিং করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দলের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলারের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন তিনি। প্রায়শঃই পিচের কাছাঁকাছি এলাকায় ক্যাচ তালু বন্দী করার জন্যে ফিল্ডিং করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান রোনাল্ড বেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়ালসগ্র্যাভ, কভেন্ট্রি, ওয়েস্ট মিডল্যান্ড, যুক্তরাজ্য | ১১ এপ্রিল ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বেলি, ডিউক অব বেলিংটন, স্লেজহ্যামার অব ইটার্নেল জাস্টিস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬২৬) | ১৯ আগস্ট ২০০৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ আগস্ট ২০১৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৮৪) | ২৮ নভেম্বর ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৩ মার্চ ২০১৫ বনাম আফগানিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৭ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯-বর্তমান | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ | ওয়ারউইকশায়ার ক্রিকেট বোর্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-০৯ | এমসিসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৩ মার্চ ২০১৫ |
কাউন্টি ক্রিকেট
সম্পাদনা২০১০ সালে সিবি৪০ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় ওয়ারউইকশায়ার দলের অধিনায়কত্ব করেন। ২০১১ সালে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে সুবিধাদি প্রদান করে। জুলাই, ২০১২ সালে ওয়ারউইকশায়ার দলে নতুন করে আরো তিন বছরের জন্য চুক্তির মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধি করেন যা ২০১৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭০ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেননি; কেননা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফলো-অনে পড়ায় তার দল দশ উইকেটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিল।[৩] ২০০৪-০৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। হারারেতে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেভিন পিটারসেনের সাথে তারও অভিষেক ঘটে। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৭৫ রান সংগ্রহ করেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৪]
২০০৮ ও ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড দলে অনিয়মিত সদস্য ছিলেন। কিন্তু, ২০০৯ সালে পুনরায় দলে নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পান ও অ্যাশেজ জিততে অবদান রাখেন। একই বছর বেশ কিছুসংখ্যক একদিনের আন্তর্জাতিকেও তার ব্যাটিংশৈলী প্রশংসনীয় ছিল। ২০১০ সালে প্রথম অ্যাশেজে সেঞ্চুরি করেন ও ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজ ট্রফি ধরে রাখতে সহায়তা করেন। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টের ১ম ইনিংসে ১০৯ রান করেন। এরফলে ৪র্থ ইংরেজ হিসেবে তিনি অ্যাশেজের পরপর তিনটি খেলায় সেঞ্চুরি করেছেন।[৫]
২০১৪-১৫ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের উদ্বোধনী দিনে ১৪৩ রান তোলেন। এটি ছিল তার ২২তম সেঞ্চুরি। এরফলে সর্বোচ্চ শতকধারী ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি কেবলমাত্র অ্যালাস্টেয়ার কুক (২৫) ও কেভিন পিটারসনের (২৩) পিছনে রয়েছেন।[৬] এ রান সংগ্রহকালে ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে ৯ম সর্বোচ্চ রান (৭,২৯৯) সংগ্রহকারী হন ওয়ালি হ্যামন্ডকে পিছনে ফেলে। দিনের শেষদিকে কেমার রোচের সুন্দর বলে তার ব্যাটের প্রান্ত স্পর্শ করে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক ও উইকেট-রক্ষক দীনেশ রামদিনের গ্লাভসে সহজ ক্যাচ দেন। তার এ ইনিংসটি ৩৩৭ মিনিটে ২৫৬ বল মোকাবেলায় ২০ বাউন্ডারি ও এক ছক্কার সহায়তায় গড়ে উঠে। বেন স্টোকসের সাথে ২৫ ওভারে ১৩০ রানের জুটি গড়েন।
সর্বোচ্চ টেস্ট শতকের অধিকারী ইংরেজ ব্যাটসম্যান | ||||
---|---|---|---|---|
খেলোয়াড় | সেঞ্চুরি | |||
২৫ | অ্যালাস্টেয়ার কুক | |||
২৩ | কেভিন পিটারসন | |||
২২ | জিওফ বয়কট | |||
২২ | কলিন কাউড্রে | |||
২২ | ওয়ালি হ্যামন্ড | |||
২২ | ইয়ান বেল |
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনা২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের প্রথম খেলায় ৩৬ রান করেন। খেলায় তার দল পরাজিত হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৮ রান তোলেন ও দল ৮ উইকেটের বিরাট ব্যবধানে পরাভূত হয়। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধ-শতরান তোলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯ রান তুললেও শোচনীয়ভাবে ৯ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয় তার দল। অবশ্যই জয়ী হতে হবে এমন অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ৬৩ রান তুললেও স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ইংল্যান্ড দল প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়। প্রতিযোগিতার সর্বশেষ খেলায় দূর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৫২* তুল দলকে জয়লাভে সহায়তা করেন।
সম্মাননা
সম্পাদনাজিম্বাবুয়ে ব্যতীত সকল টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
২০০৫ সালের সফলতম অ্যাশেজে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ইয়ান বেল ২০০৬ সালে নববর্ষের সম্মাননা তালিকায় এমবিই পদকে ভূষিত হন। নভেম্বর, ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল প্রদত্ত বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান তিনি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Westerby, John (১৪ জুন ২০০৮)। "Bell puts himself in contention for pot of gold"। The Times। London। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১০।
- ↑ "Ian Bill"। ৪ জুলাই ২০১২।
- ↑ England vs West Indies Fourth Test Cricinfo. Retrieved 11 March 2008
- ↑ Zimbabwe vs England First ODI Cricinfo. Retrieved 11 March 2008
- ↑ "Ashes 2013: Ian Bell says England well placed despite late wickets"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১৮ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ McGlashan, Andrew (১৩ এপ্রিল ২০১৫)। "Classy Bell hundred puts England in control"। espncricinfo। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৫।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইয়ান বেল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইয়ান বেল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী কেভিন পিটারসন |
বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় ২০০৬ |
উত্তরসূরী শন টেইট |