ইব্রাহীম চতুলী

বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন।

ইব্রাহীম চতুলী (১৮৯৪–১৯৮৪) বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি জমিয়তে উলানায়ে হিন্দ থেকে পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য (এমএলএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন।[][][]

মৌলভী / মাওলানা
ইব্রাহীম চতুলী
আসাম প্রাদেশিক পরিষদের শিক্ষামন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৩৮ – ১৯৪১
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৩৮ – ১৯৪১
পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য (এমএলএ)
কাজের মেয়াদ
১৯৪৬ – ১৯৪৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মইব্রাহীম আলী চতুলী
১৮৯৪
হারাতৈল গ্রাম, বড়চতুল, কানাইঘাট, সিলেট, আসাম, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৯৮৪
সিলেট
রাজনৈতিক দলজমিয়ত উলামায়ে হিন্দ
জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

ছিলেন তৎকালীন আসাম প্রদেশ জমিয়তে উলানায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক, ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা, নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল।[][]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

ইব্রাহীম চতুলী ১৮৯৪ সালে সিলেটের কানাইঘাটের বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সী আব্দুল করীম জ্ঞানী ও কবি ছিলেন।

তিনি কানাইঘাটের ঝিঙ্গাবাড়ি আলিয়া মাদ্রাসা, গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসা ও ভারতের রামপুর মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন। তিনি ছিলেন ছিলেন হোসাইন আহমদ মাদানীর শিষ্য[][]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

ইব্রাহীম চতুলী দীর্ঘদিন সিলেট নয়াসড়ক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন।[]

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

১৯৪৬ সালের নির্বাচনে তিনি জমিয়তে উলানায়ে হিন্দ থেকে কংগ্রেস-এর সমর্থনে কুড়েঘর প্রতীক নিয়ে পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য (এমএলএ) নির্বাচিত হন।[][] ছিলেন তৎকালীন আসাম প্রদেশ জমিয়তে উলানায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক, ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা, নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল।[][]। ইব্রাহীম চতুলী সিলেটের তিন থানাকে ভারতে অন্তর্ভূক্তির অভিমত দেন, তার এমন অভিমত সিলেটের তিন থানা ভারতের অন্তর্ভূক্ত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[]

মৃত্যু

সম্পাদনা

ইব্রাহীম চতুলী ১৯৮৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. মো: মনিবুর রহমান (২০১৯)। বাংলার আলেম সংসদ সদস্য (১৯৩৭ -২০১৮)। বাংলাদেশ: একাত্তর প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২৭০। আইএসবিএন 9789848094372 
  2. মুহাম্মদ আব্দুর রহীম (২০১৯)। কানাইঘাটের স্মরণীয় বরণীয় যাঁরা। বাংলাদেশ: পাণ্ডুলিপি প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১২৮। আইএসবিএন 9789848031629 
  3. সৈয়দ মোস্তফা কামাল (১৯ আগস্ট ২০১৭)। "৯৪৭-এ সিলেটের সাড়ে তিন থানা হিন্দুস্তানে যাওয়ার রঙ্গমঞ্চের অন্তরালে"দৈনিক সংগ্রাম। ৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২২ 
  4. "ফিরে দেখা ইতিহাস : সিলেটের গণভোট"দৈনিক সিলেটের ডাক। ৭ জুলাই ২০২১। ৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২২