ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া (১৯৪৯ – ১৮ মে, ১৯৭৩) ছিলেন তুরস্কের সাম্যবাদী আন্দোলনের একজন প্রধান নেতা। তিনি তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি/মার্কসবাদী-লেনিনবাদীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১]
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪৯ |
মৃত্যু | ১৮ মে ১৯৭৩ | (বয়স ২৩–২৪)
জাতীয়তা | তুর্কী |
নাগরিকত্ব | তুরস্ক |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | লেখক, বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ |
রাজনৈতিক দল | Communist Party of Turkey/Marxist-Leninist (TKP/ML) |
আন্দোলন | মাওবাদ |
পিতা-মাতা |
|
১৯৭৩ সালের ২৪ শে জানুয়ারী তুরষ্কের তুন্সেলি পর্বতমালায় মিলিটারিরা এই বিপ্লবি এবং তার কমরেডদের অতর্কিত আক্রমণ করে বসে। তিনি খুব মারাত্নক আঘাত প্রাপ্ত হন এবং কাছের কমরেড আলি হায়দারকে চোখের সামনে মৃত্যুবরণ করতে দেখেন। তাকে মিলিটারি ফেলে রেখে যায় ঐ দুর্গম জায়গায় আসন্ন মৃত্যু আচ করতে পেরে। কিন্তু না, তিনি মৃত্যুর কাছে এভাবে হারতে পারেননা, শীতের তীব্রতা ও দুর্যোগ বৃদ্ধি পেলে তিনি একটি গুহায় আশ্রয় নেন এবং সেখানে ৫ দিন অতিবাহিত করেন, শেষে কোনওমতে ওখান থেকে নিকটস্ত এক গ্রামে এসে এক স্কুল শিক্ষকের কাছে আশ্রয়প্রার্থনা করলে ঐ শিক্ষক তাকে আশ্রয় দেন, কিন্তু একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে টার্কিশ মিলিটারিকে খবর দেয় এবং তারা এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
তাকে ৪ মাস তুরষ্কের কুখ্যাত দিয়ারবাকির কারাগারে অবর্ণনীয় অত্যাচার ভোগ করতে হয়। একবার তাকে খালি পায়ে বরফের উপর দিয়ে ৫০কিমি হাটতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং সেই সাথে আরও দু'সপ্তাহ কঠিন শাস্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, অবশেষে শাস্তিভোগরত অবস্থায় মৃত্যুর দ্বারে পৌঁছালে মিলিটারি সদস্য তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে মারে। সেদিন ছিল ১৮ই মে, ১৯৭৩ সাল, আর এই মহান কমিউনিস্ট নেতার বয়স হয়েছিল কেবলই ২৪।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "İbrahim Kaypakkaya kimdir, ne zaman öldü? VİKİPEDİ"। Ankara Meydani (তুর্কি ভাষায়)। ১৮ মে ২০১৫। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৭।
- ↑ "Who is Ibrahim Kaypakkaya?" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭।