ইন্দুমতী গোয়েঙ্কা
ইন্দুমতী গোয়েঙ্কা ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
ইন্দুমতী গোয়েঙ্কা | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৪ কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান ভারত) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত |
শিক্ষা | বেথুন স্কুল |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
অপরাধের অভিযোগ | আইন অমান্য আন্দোলন |
অপরাধের শাস্তি | ২৪ জুন ১৯৩০ সাল |
অপরাধীর অবস্থা | ৯ মাস |
দাম্পত্য সঙ্গী | কেশবনাথ গোয়েঙ্কা |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনাইন্দুমতী গোয়েঙ্কা ১৯১৪ সালে কলকাতায় এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পিতৃভূমি ছিল রাজস্থান। তার পিতার নাম পদ্মরাজ জৈন ও মাতার নাম চন্দা দেবী।[১]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাইন্দুমতী পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। জাতীয় আন্দোলনের তিনি যোগ দেন। সত্যাগ্রহীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করার জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয়। তাকে নয় মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ১৯৩০ সালের ২৪ জুন। তখন তার বয়স মাত্র যােলাে। কোট হাজার হাজার জনতায় পূর্ণ ছিল। ১৯৩০ সালের আন্দোলনে নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম বাংলাদেশে কারাবরণ করেন। তার গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড সমস্ত ভারতবর্ষে উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। সমগ্র কলিকাতা শহরে বড়বাজার প্রভৃতি বহু স্থানে হরতাল পালন করা হয়। তিনি যখন গ্রেপ্তার হন তখন বেথুন স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। সেজন্য বেথুন স্কুল ও কলেজে হরতাল পালন করা হয়। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক মনস্ক হয়ে ওঠেন। কংগ্রেস দলের কতিপয় সদস্যের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনি সমাজসেবা কাজে করেছেন সারা জীবন।[১]
কানপুরের দাঙ্গায় অংশগ্রহণ
সম্পাদনা১৯৩১ সালে কানপুরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়। ইন্দুমতী দেবী সেসময়ে কানপুরে ছিলেন। তিনি কানপুরের বিখ্যাত কংগ্রেসকর্মী গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থীকে জানান যে, তিনি শান্তির জন্য দাঙ্গাবিধ্বস্ত স্থানে কাজ করতে চান। তখনকার দাঙ্গার অবস্থা দেখে গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থী ইন্দুমতীকে এগিয়ে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থী নিজেই শান্তি স্থাপনের জন্য এগিয়ে যান এবং সেখানে নিহত হন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৮৭-৯০। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।