ইন্ডিয়া’জ ডটার
ইন্ডিয়া'জ ডটার (ইংরেজি: India's Daughter) বিবিসির স্টোরিভিলে ধারাবাহিকের অংশ এবং লেসলী উডউইন দ্বারা পরিচালিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র।[৩] ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ২৩ বছর বয়সী জনৈকা জ্যোতি সিংকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।[৪][৫] ভারতে এনডিটিভি ২৪x৭ চ্যানেল ও যুক্তরাজ্যে বিবিসি ফোর চ্যানেল ছাড়াও ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, কানাডা ইত্যাদি দেশে[৬] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্রটি সম্প্রচার করার কথা ছিল।[৭]
ইন্ডিয়া'জ ডটার | |
---|---|
পরিচালক | লেসলী উডউইন |
প্রযোজক | লেসলী উডউইন |
রচয়িতা | লেসলী উডউইন |
উৎস | ২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ |
সুরকার | কৃষ্ণ সোলো |
সম্পাদক | অণুরাধা সিং |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | বার্তা ফিল্ম |
মুক্তি | ৪ মার্চ ২০১৫[২] |
স্থিতিকাল | ৫৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি, হিন্দি |
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ এ কথা প্রকাশিত হয় যে, চলচ্চিত্র নির্মাতারা তিহার জেলে বন্দী একজন ধর্ষকের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।[৮][৯] ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে[৯][১০] ভারত সরকার ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা মার্চ বিচারালয় থেকে একটি নির্দেশিকা সংগ্রহ করে এই চলচ্চিত্রের সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও[২] ঐ দিন বিবিসি যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্রটি সম্প্রচার করে।[১১] চলচ্চিত্রটি ইউটিউবেও আপলোড করা হলে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই মার্চ ভারত সরকার ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে ভারতে চলচ্চিত্রটিকে দর্শনের ওপর বাধাপ্রদানের নির্দেশ দেয়,[৪] যা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়।[১২]
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনা২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লি অঞ্চলে একটি গণধর্ষণ ঘটে।[১৩] ২৩ বছর বয়সী জনৈকা জ্যোতি সিং তার একজন বন্ধু অবীন্দ্র প্রতাপ পাণ্ডের সাথে লাইফ অব পাই নামক চলচ্চিত্র দেখে[১৪] একটি বেসরকারি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন।[১৫] এই সময় সেই বাসেই তাকে গণধর্ষণ করাসহ অবীন্দ্র প্রতাপকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। পরে দুইজনকেই বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ভারত ও সিঙ্গাপুরে বেশ কয়েকটি জটিল অস্ত্রোপচার করা হলেও জ্যোতি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[১৬]
এই ঘটনা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়। এই ঘটনার ফলে জনমানসে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং মহিলাদের সুরক্ষার ব্যাপারে ভারত সরকারের অক্ষমতার কারণে বিরুদ্ধ সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।[১৭] একজন সতেরো বছরের কিশোরসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ আনা হয়। সম্ভবত আত্মহত্যার ফলে এঁদের মধ্যে একজনকে কয়েকদিন পরে জেলে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, যদিও তার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়।[১৮] চারজন অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হয় ও তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়[১৯] এবং অভিযুক্ত কিশোরকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[২০]
অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার
সম্পাদনাইন্ডিয়া'জ ডটার চলচ্চিত্রের জন্য মুকেশ সিং নামক একজন অভিযুক্ত ধর্ষকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। মুকেশ সিং তার সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ধর্ষণের সময় মেয়েটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা না করে শান্ত হয়ে ধর্ষণকাজে সহযোগিতা করলে ধর্ষণকারীরা তাকে খুন করতেন না।[n ১] তিনি পরে আরো বলেন যে ধর্ষণের জন্য পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই বেশি দায়ী, কারণ তার মতে মহিলাদের কাজ গৃহস্থালির কাজ সামলানো, অশালীন পোশাক পরিধান করে গভীর রাত পর্য্যন্ত ডিস্কো বা বারে ঘুরে বেড়ানো নয়।[n ২]
ধর্ষণকারীদের আইনজীবী এ. পি. সিং একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে তার কন্যা বা ভগিনী প্রাক-বিবাহ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নিজের ও পরিবারের সম্মান নষ্ট করলে তিনি নিজে পরিবারের সামনে তার গেয়ে পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে তাকে পুড়িয়ে মারবেন।[n ৩]
নবভারত টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই সাক্ষাৎকারের জন্য মুকেশ সিংকে ৪০,০০০ দেওয়া হয়। মুকেশ প্রথমে ২,০০,০০০ চাইলেও মধ্যস্থতা করে অর্থের পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়। এই অর্থ মুকেশের পরিবারকে প্রদান করা হয়।[২৩]
ভারতে বিতর্ক
সম্পাদনা২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ, চলচ্চিত্র-নির্মাতারা ঘোষণা করেন যে তারা তিহার জেলে বন্দী একজন ধর্ষকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।[৮][৯] শীঘ্রই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রচারিত হয়।[৯][১০] অভিযুক্তের বিতর্কিত বিবৃতি ভারতের জনমানসে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।[২৪]
দিল্লি পুলিশ ৩রা মার্চ চলচ্চিত্র-নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫, ৫০৫(১)(বি), ৫০৯ দফায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের দফা ৬৬এ অনুসারে এফ.আই.আর. দায়ের করেন।[২৫] নিউ দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার রজনীশ গর্গ বলেন যে, এই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ অত্যন্ত আপত্তিকর এবং সমাজে নারীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করায় সুবিচার ও শান্তিরক্ষার স্বার্থে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ ও সম্প্রচার রোধের অণুরোধ করে বিচারালয়ের নিকট আবেদন করা হয়েছে।[n ৪] ৪ঠা মার্চ বিচারালয় থেকে নির্দেশিকা লাভ করে ভারত সরকার এই চলচ্চিত্র সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।[২] এই দিন বিবিসি যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্রটি সম্প্রচার করে।[১১] চলচ্চিত্রটি ইউটিউবেও আপলোড করা হলে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই মার্চ ভারত সরকার ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে ভারতে চলচ্চিত্রটিকে দর্শনের ওপর বাধাপ্রদানের নির্দেশ দেয়,[৪] যা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়।[১২]
৪ঠা মার্চ ভারতীয় সংসদে স্বরাষত্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন যে, দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনা থেকে ব্যবসায়িক লাভের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।[n ৫] সংসদীয় ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এম. বেঙ্কইয়া নাইডু এই বিতর্কে বলেন যে, ভারতকে অপবাদ দেত্তয়ার উদ্দেশ্যে এই চলচ্চিত্রটিকে বিদেশে সম্প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সরকার এইদিকে নজর রাখছে।[n ৬] অন্যদিকে রাজ্যসভা সাংসদ জাভেদ আখতার এই চলচ্চিত্র নির্মাণ ও সম্প্রচারের পক্ষে মত দেন এবং বলেন যে, এই ধরনের চলচ্চিত্র কোটি কোটি মানুষকে ভাবতে বাধ্য করবে।[n ৭]
৫ই মার্চ তিহার জেল কর্তৃপক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন। তারা দাবী করেন যে, চলচ্চিত্র নির্মাতারা জেলের ভেতরে অভিযুক্তকে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রদেয় অণুমতির শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। তারা এই সাক্ষাৎকারের দৃশ্যটি অপসারণের দাবীও জানান।[৩১] ৫ই মার্চ একটি সাক্ষাৎকারে জ্যোতির মাতা-পিতা সকলকে এই চলচ্চিত্র দেখার অণুরোধ জানান।[৩২] এই দিন অভিষেক কাপুর, সোনাল চৌহান, টুইঙ্কল খান্না, পুনিত মালহোত্রা ইত্যাদি বলিউড ব্যক্তিত্ব এই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেন।[৩৩]
৪ঠা মার্চ পরিচালক লেসলী উডউইন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতে চলচ্চিত্রটি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে অণুরোধ করলেও,[৩৪] পরদিন আইনি জটিলতা এড়াতে তিনি ভারত ত্যাগ করেন।[২৭] ৬ই মার্চ বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এ. পি. সিং এবং এম. এল. শর্মা নামক দুই আইনজীবীকে চলচ্চিত্রটিতে নারী বিদ্বেষী বিবৃতির জন্য কারণ দর্শাতে বলেন।[৩৫]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ "When being raped, she shouldn’t fight back. She should just be silent and allow the rape. Then they’d have dropped her off after ‘doing her’, and only hit the boy."[২১]
- ↑ "A girl is far more responsible for rape than a boy … A decent girl won’t roam around at nine o’clock at night … Housework and housekeeping is for girls, not roaming in discos and bars at night doing wrong things, wearing wrong clothes."[১৫]
- ↑ If my daughter or sister engaged in pre-marital activities and disgraced herself and allowed herself to lose face and character by doing such things, I would most certainly take this sort of sister or daughter to my farmhouse, and in front of my entire family, I would put petrol on her and set her alight.[২২]
- ↑ These excerpts of the interview as published are highly offensive and have already created a situation of tension and fear among women in society. Therefore, in the interest of justice and maintenance of public order, an application was made in court seeking restraining order from publishing, transmitting, uploading and broadcasting the interview."[২৬]
- ↑ Our government condemns the incident of December 16, 2012 in the strongest possible terms and will not allow any attempt by any individual, group or organisation to leverage such unfortunate incidents for commercial benefit. The respect and dignity of women, constitutes a core value of our culture and tradition. Our government remains fully committed to ensuring safety and dignity of women."[২৭][২৮]
- ↑ We can ban the documentary in India but there is a conspiracy to defame India and the documentary can be telecast outside. We will also be examining what should be done."[২৯]
- ↑ It's good that this documentary has been made. Crores of men in India have now come to know that they think like a rapist. If it is sounding dirty, they have to think."[৩০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "India's Daughter"। CBC। ৭ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Bhatt, Abhinav (৫ মার্চ ২০১৫)। "After India's Ban, Nirbhaya Documentary 'India's Daughter' Aired by BBC"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Interview with Delhi gang rapist left 'stain on my soul', says British film maker"। The Daily Telegraph। ৩ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "India asks YouTube to block banned rape film"। Yahoo News। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "India bans TV stations from showing interview with man who raped student"। The Guardian। ৪ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Baddhan, Raj (৩ মার্চ ২০১৫)। "NDTV 24×7 & BBC to air 'Nirbhaya' film on Sunday"। NDTV 24x7। ৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "India's Daughter: Required Clearances Were Taken by Documentary Maker"। NDTV। ৪ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "Delhi bus rapist blames his victim in prison interview"। The Daily Telegraph। ১ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ "This story must be told, says filmmaker who interviewed Dec 16 rapist"। Hindustan Times। ৩ মার্চ ২০১৫। ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "During rape the girl shouldn't fight back, says December 16 convict"। India Today। ৬ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "India's Daughter: BBC brings forward airing of Delhi rape documentary"। The Guardian। ৪ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "YouTube blocks BBC's Nirbhaya documentary video"। India Today। ৫ মার্চ ২০১৫। ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Hills, Suzannah (৭ জানুয়ারি ২০১৩)। "Judge bars Delhi gang rape defendants from chaotic courtroom after 150 people cram into space meant for 30"। Daily Mail। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Schulz, Matthias; Wagner, Wieland (২৫ জানুয়ারি ২০১৩)। "Rape Tragedy in India: Dreams of 'the Fearless One'"। Der Spiegel।
- ↑ ক খ Rahman, Maseeh (২০১৫-০৩-০৪)। "India bans TV stations from showing interview with man who raped student"। The Guardian।
- ↑ "Delhi gang-rape victim dies in hospital in Singapore"। BBC News। ২৯ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Yardley, Jim (২৯ ডিসেম্বর ২০১২)। "Leaders' Response Magnifies Outrage in India Rape Case"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Basu, Indrani (১২ মার্চ ২০১৩)। "Suicide or murder? Nirbhaya main accused found hanging in Tihar"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Barry, Ellen (১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Many Doubt Death Sentences Will Stem India Sexual Attacks"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Nirbhaya gang-rape case: Juvenile found guilty of rape and murder"। The Times of India। ৩১ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Rawlinson, Kevin (৫ মার্চ ২০১৫)। "Delhi gang-rape documentary airs early on BBC following objections"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Withnall, Adam (৫ মার্চ ২০১৫)। "India's Daughter: How India tried to suppress the BBC Delhi gang-rape documentary"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "India's Daughter: Rape convict paid Rs.40,000 for interview?"। DNA India। ৬ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Gander, Kashmira (৪ মার্চ ২০১৫)। "India's Daughter: BBC Four documentary provokes outrage on Twitter"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "December 16 gangrape convict interview: Delhi Police registers FIR"। The Indian Express। ৬ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Offensive content: Cops say convict's interview created fear"। Deccan Herald। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "Government turns heat to stop screening of India's Daughter, Leslee Udwin leaves for UK"। DNA India। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Home Minister's statement on Nirbhaya documentary in Rajya Sabha"। Zee News। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Dec 16 gangrape: After ban, Nirbhaya documentary 'India's Daughter' aired on BBC; uploaded on YouTube"। The Financial Express (India)। ৫ মার্চ ২০১৫। ৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Nirbhaya case: MPs outraged over interview"। The Times of India। ৫ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Tihar Jail sends notice to BBC, director Udwin for breach of conditions"। The Indian Express। ৬ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Ghosh, Deepshikha (৫ মার্চ ২০১৫)। "Everyone Must See 'India's Daughter,' Says Nirbhaya's Father, After Ban in India"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "B-Town slams government's ban on BBC documentary 'India's Daughter'"। The Economic Times। ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Rahman, Maseeh (৪ মার্চ ২০১৫)। "Delhi rape documentary-maker appeals to Narendra Modi over broadcast ban"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Bar Council of India issues show cause notices to lawyers for anti-women remarks"। The Indian Express। ৭ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।