ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার একমাত্র কেন্দ্র। বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, নৃতত্ত্ব, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত। পোস্ট গ্রাজুয়েট মর্যাদার এই প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-দফতর থেকে গবেষকগণ এই প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে গবেষণা করার সুযোগ পান। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর ড. নাজিমুল হক। আইবিএস-এর সাবেক পরিচালকগণ হলেন: প্রফেসর ড. স্বরোচিষ সরকার, ড.সৈয়দ আব্দুল কাদের, ড. সফর আলী আকন্দ, ড. মাহমুদ শাহ কোরেশী, ড. আতফুল হাই শিবলী, ড. প্রীতিকুমার মিত্র, ড. এম জয়নূল আবেদীন, ড. মোঃ আবুল বাসার মিঞা, ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, ও ড. এম শহীদুল্লাহ্। বিশিষ্ট বঙ্গবিদ্যাবিশারদ ড. গোলাম মুরশিদ এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম পিএইচডি ডিগ্রিধারী গবেষক।
গঠিত | ১৯৭৪ |
---|---|
সদরদপ্তর | রাজশাহী, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ |
ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড
সম্পাদনা১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইবিএস আত্মপ্রকাশ করে।[১] আইবিএস ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। এর কাজ শুরু হয় ১৯৭৪-৭৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে। আইবিএস থেকে প্রতি বছর The Journal of the Institute of Bangladesh Studies নামে ইংরেজিতে একটি এবং ‘ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ জার্নাল’ নামে বাংলায় একটি জার্নাল নিয়মিত প্রকাশিত হয়। আইবিএস থেকে প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম: ১. বাঙালির আত্মপরিচয়, ২.বাংলার ইতিহাস: মোগল আমল, ৩. প্রীতিকুমার মিত্র স্মারকগ্রন্থ, ৪. বিশ শতকের বাংলা, ৫. রাজশাহী মহানগরী: অতীত ও বর্তমান, ৬. জাগরণ ও অভ্যুদয়, ৭. বাংলাদেশের ভাষানীতি ও ভাষা-পরিকল্পনা।২০১৫ সালের জুন মাসে ‘বাংলাদেশ চর্চা: দেশে বিদেশে’ শিরোনামে আইবিএস থেকে একযোগে দশটি সটীক গ্রন্থপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছে, যেসব গ্রন্থে বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষণার বিবরণ সংকলিত আছে।
আইবিএস প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে ছিল বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করা এবং দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়ন কাজে সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশ করা। ২০১৫ সাল পর্যন্ত আইবিএস থেকে ৩০৯ জন পিএইচডি ডিগ্রি এবং ৭৬ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়া বর্তমানে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শতাধিক গবেষক কর্মরত আছেন। প্রতি এমফিল গবেষক মাসে ৪০০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষক মাসে ৫০০০ টাকা করে ফেলোশিপ পান। এখানে ৬ জন নিয়মিত শিক্ষক এবং ১০ জন অতিথি শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা আইবিএস-এর বিভিন্ন কোর্স-ওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকেন। এমফিল ও পিএইচডি থিসিস সুপারভাইজ করার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আইবিএস-এ ভর্তির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়ে থাকে। শিক্ষাবর্ষ: জুন থেকে জুলাই।
প্রাসঙ্গিক গবেষণা পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেমিনার সম্পন্ন করা এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কাজ। সম্প্রতি বিশ শতকের বাংলা, রাজশাহী মহানগরীর অতীত ও বর্তমান, মুক্তিযুদ্ধের চল্লিশ বছর, বাংলার জাগরণ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের ভাষানীতি ও ভাষা-পরিকল্পনা, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সংস্কৃতিবিদ্যা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইবিএস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন: http://dept.ru.ac.bd/ibs/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-লেখক বায়েজীদ আহমেদ। পৃষ্ঠা নং-১৫৩-১৫৪
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাবাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |