ইদ্রিছ শাহ (১৬ জুন ১৯২৪- ২৩ নভেম্বর ১৯৯৬) (ইংরেজি: Idris Shah, ফার্সি: ادریس شاه, উর্দূ: ادریس شاه, হিন্দি: इदरीस शाह) ছিলেন পাশ্চাত্যের সুপরিচিত সুফি সাধক, প্রচারক। তিনি তিন ডজনেরও বেশি বইয়ের লেখক। ইদ্রিছ শাহ, সাইয়্যেদ ইদ্রিছ হাশেমী এবং ছদ্মনাম আরকোন দারাউল নামে পরিচিত। []

ইদ্রিছ শাহ
ادریس شاه
জন্মইদ্রিছ শাহ
(১৯২৪-০৬-১৬)১৬ জুন ১৯২৪
শিমলা, ব্রিটিশ পাঞ্জাব
মৃত্যু২৩ নভেম্বর ১৯৯৬(1996-11-23) (বয়স ৭২)
লন্ডন, ইউকে
ছদ্মনামআরকন দারাউল[]
পেশালেখক, প্রকাশক
ধরনপূর্ব দর্শন ও সংস্কৃতি
বিষয়সুফিবাদ, মনোবিজ্ঞান
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
  • দি সুফিস
  • দি কমান্ডিং সেল্প
  • The Subtleties of the Inimitable Mulla Nasrudin
  • The Exploits of the Incomparable Mulla Nasrudin
  • Thinkers of the East
  • Learning How to Learn
  • The Way of the Sufi
  • Reflections
  • Kara Kush
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবছরের শ্রেষ্ঠ বই (বিবিসি “সমালোচক”), দুইবার;
দাম্পত্যসঙ্গীসিনথিয়া (কাশফি) কাবনাজি
সন্তানসাইরা শাহ, তাহির শাহ, সাফিয়া শাহ

স্বাক্ষর
ওয়েবসাইট
www.idriesshahfoundation.org

ইদ্রিছ শাহ ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলা অঞ্চলে ১৯২৪ সালের ১৬ জুন তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম সায়েরা এলিজাবেথ লুজিয়া শাহ এবং পিতা সর্দার ইকবাল আলী শাহ ছিলেন আফগান বংশোদ্ভূত একজন ভারতীয় লেখক ও কুটনৈতিক। পৈতৃক বংশ পরম্পরায় তিনি মুছাবী ও সৈয়দ গোত্রীয় ছিলেন। তার দাদা সৈয়দ আমজাদ আলী শাহ ছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের সার্দানা রাজ্যের নবাব।[]

জীবন ধারা

সম্পাদনা

ইদ্রিছ শাহ মূলত লন্ডন ও আক্সফোর্ডে বেড়ে উঠলেও পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের নানা দেশে তার বিচরণ পরিলক্ষ্যিত হয়। তিনি চিন্তিয়া (কাশফি) কাবরানীর সাথে ১৯৫৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তিনি এক পুত্র ও দুই সন্তনের জনক হন।[]

মৃত্যু

সম্পাদনা

নভেম্বর ২৩, ১৯৯৬ সালে লন্ডনে ইদ্রিছ শাহ ৭২ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যু সম্পর্কীত দ্যা টেলিগ্রাফ এর রিপোর্ট হতে জানা যায় আফগানিস্তান ও রাশিয়ার যুদ্ধে তিনি আফগান মোজাহেদদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি একটি সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, রয়েল হিউম্যান সোসাইটি এবং রয়েল হসপিটাল এন্ড হোম ফর ইনকিউরেবলস্ এর প্রশাসক এবং এ্যাথেনিয়াম ক্লাবের মেম্বার পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার বইয়ের পনের মিলিয়ন সংখ্যা বিক্রি হয়ে যায় মৃত্যুর সমসাময়িক কালে এবং বহু আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় বহুল আলোচিত হয়।[] []

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা