এথেল ব্যারিমোর
এথেল ব্যারিমোর (ইংরেজি: Ethel Barrymore; জন্ম: এথেল মে ব্লিদ; ১৫ আগস্ট ১৮৭৯ - ১৮ জুন ১৯৫৯)[১] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ব্যারিমোর অভিনয়শিল্পী পরিবারের একজন।[২] তাকে "মার্কিন মঞ্চনাটকের ফার্স্ট লেডি" বলে অভিহিত করা হয়।[৩] তিনি ছয় দশকের অধিক সময় মঞ্চে অভিনয় করেছেন। ১৯৪৪ সালে তিনি নান বাট দ্য লোনলি হার্ট চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।
এথেল ব্যারিমোর | |
---|---|
Ethel Barrymore | |
জন্ম | এথেল মে ব্লিদ ১৫ আগস্ট ১৯৫৯ |
মৃত্যু | ১৮ জুন ১৯৫৯ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৯)
জাতীয়তা | মার্কিন |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৮৯৫-১৯৫৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাসেল গ্রিসওল্ড কোল্ট (বি. ১৯০৯; বিচ্ছেদ. ১৯২৩) |
সন্তান | ৩ |
পিতা-মাতা | মরিস ব্যারিমোর (পিতা) জর্জিয়ানা ড্রিউ (মাতা) |
আত্মীয় | দেখুন ব্যারিমোর পরিবার |
পুরস্কার | একাডেমি পুরস্কার (১৯৪৪) |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাএথেল মে ব্লিদ ১৮৭৯ সালের ১৫ই আগস্ট পেন্সিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা মরিস ব্যারিমোর (জন্মনাম: হারবার্ট ব্লিদ) ছিলেন একজন একজন অভিনেতা এবং তার মাতা জর্জিয়ানা ড্রিউ ছিলেন একজন অভিনেত্রী।[৪] তার জন্মের চার মাস পূর্বে টেক্সাসের ওল্ড ওয়েস্ট এনকাউন্টার নামে খ্যাত এক দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিলেন। তার পিতার প্রিয় চরিত্র উইলিয়াম ম্যাকপিস থ্যাকারির দ্য নিউকামস-এর ইথেল চরিত্রের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়েছিল।
অভিনেতা জন ও লিওনেল ব্যারিমোর তার ভাই,[১] অভিনেতা জন ড্রিউ ব্যারিমোর তার ভাইপো এবং অভিনেত্রী ড্রিউ ব্যারিমোর তার ভাইপোর কন্যা। এছাড়া তিনি অভিনেত্রী ও মঞ্চ ব্যবস্থাপক লুইস লেন ড্রিউয়ের (মিসেস জন ড্রিউ নামে পরিচিত) নাতনী এবং ব্রডওয়ে ম্যাটিনি আইডল জন ড্রিউ জুনিয়র ও ভিটাগ্রাফ স্টুডিওজের মঞ্চ ও পর্দা তারকা সিডনি ড্রিউয়ের ভাইঝি।
কর্মজীবন
সম্পাদনান্যাশনাল রেড ক্রস পিজেন্ট (১৯১৭) ও রাসপুতিন অ্যান্ড দ্য এমপ্রেস (১৯৩২) ছবিতে তারা তিন ভাইবোন - এথেল, জন ও লিওনেল একত্রে অভিনয় করেন। প্রথম চলচ্চিত্রটি বর্তমানে হারানো চলচ্চিত্র বলে গণ্য করা হয়।
১৯৪৪ সালে তিনি নান বাট দ্য লোনলি হার্ট চলচ্চিত্রে ক্যারি গ্র্যান্টের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[১]
তাকে পরবর্তীকালে রবার্ট সিয়ডম্যাকের দ্য স্পাইরাল স্টেয়ারকেস (১৯৪৬), অ্যালফ্রেড হিচককের দ্য প্যারাডাইন কেস (১৯৪৭) এবং পোট্রেট অব জেনি (১৯৪৮) ও দ্য রেড ডানুবি (১৯৪৯) ছবিতে দেখা যায়। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল জনি ট্রাবল (১৯৫৭)।
মৃত্যু
সম্পাদনাএথেল ব্যারিমোর ১৯৫৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হলিউডে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। এর পূর্বে তিনি কয়েক বছর হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন। আর দুই মাস পরে তার ৮০তম জন্মদিন ছিল। তাকে ইস্ট লস অ্যাঞ্জেলেসের কালভারি সেমাটেরিতে সমাহিত করা হয়। তার নামানুসারে নিউ ইয়র্ক সিটিতে ইথেল ব্যারিমোর থিয়েটারের নামকরণ করা হয়।[৫] ইথেল তার ভাই জন ও লিওনেলের সাথে যৌথভাবে আমেরিকান থিয়েটার হল অব ফেমের সদস্য ছিলেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "Ethel Barrymore Is Dead at 79; One of Stage's 'Royal Family'"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ১৯ জুন ১৯৫৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৮।
- ↑ অবিচুয়ারি, ভ্যারাইটি, ২৪ জুন ১৯৫৯।
- ↑ "Ethel Barrymore"। বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। এঅ্যান্ডই টেলিভিশন নেটওয়ার্কস, এলএলসি। ২৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ ইয়ং, উইলিয়াম সি. (১৯৭৫), "Famous Actors and Actresses On The American Stage" Vol.1 A-J, পৃ. ৫৬-৬০।
- ↑ "Ethel Barrymore Is Dead at 79; One of Stage's 'Royal Family"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুন ১৯৫৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Theatre Hall of Fame members"। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- অলমুভিতে এথেল ব্যারিমোর
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে এথেল ব্যারিমোর (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এথেল ব্যারিমোর (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে এথেল ব্যারিমোর (ইংরেজি)