ইথিওপিয়া-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

ইথিওপিয়া-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে ইন্দোনেশিয়ার একটি দূতাবাস রয়েছে। অবশ্য এই দূতাবাসের নিকটে, সোমালিয়া এবং জিবুতি সম্পর্কিত দায়িত্ব এবং বিশষয়াবলী ন্যস্ত আছে। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ইথিওপিয়ার একটি দূতাবাস রয়েছে।[] উভয় দেশই জোট-নিরপেক্ষ সংস্থা (ন্যাম) এর সদস্য।

ইথিওপিয়া-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Ethiopia এবং Indonesia অবস্থান নির্দেশ করছে

ইথিওপিয়া

ইন্দোনেশিয়া

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৬১ সালে ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এর সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পরে ১৯৬৪ সালে আদ্দিস আবাবাতে, ইথিওপিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়।[] অপরদিকে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৫ বছর পর, ২০১৬ সালের ২য় ভাগে, জাকার্তাতে, ইন্দোনেশিয়ায় ইথিওপিয়ার দূতাবাস স্থাপিত হয়। ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যারেগা হাইলু তেফেরা, ২০১৬ সালের ৩১ মে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদোর নিকট নিজের বৃত্তান্ত জমা দেন। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াতে অবস্থিত ইথিওপিয়ার এই দূতাবাস, জাকার্তায় সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় রয়েছে। এছারাও, এই দূতাবাসের নিকট মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং আসিয়ান সদর দপ্তর সম্পর্কিত দায়িত্ব এবং বিশষয়াবলী ন্যস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সমন্বয়

সম্পাদনা

ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এর মজাহে আন্তরিক সম্পর্ক থাকলেও, এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ইথিওপিয়ার ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস এই সমস্যার পিছনে দুটি প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হল, ইথিওপিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান এবং ইথিওপিয়ার চারদিকে অস্থিতিশীলতা। [] যদিও নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট সেন্টার ফর সাউথ-সাউথ টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এর মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া বহুসংখ্যক ইথিওপিয়ো সরকারি কর্মকর্তাকে ইন্দোনেশিয়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাহায্য করেছে। ক্ষেত্রগুলোর মাঝে রয়েছে কৃষি, শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবেশ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, উদ্যোগ গ্রহণ, স্বাস্থ্য, উচ্চশিক্ষার সুযোগ ইত্যাদি বিষয়।[]

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ

সম্পাদনা

যদিও বর্তমানে, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এর মধ্যকার বাণিজ্যের আকার তুলনামূলকভাবে কম, তবুও ভবিষ্যতে এটি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইন্দোনেশিয়া, তাদের নিজেদের পণ্য রপ্তানির জন্য ইথিওপিয়াকে আফ্রিকার নতুন বাজার হিসেবে পরিকল্পনা করছে। ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মাঝে রয়েছে, সাবান, নুডুলস প্রভৃতি। ২০০৭ সালে দুই দেশের মাঝে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৯ মিলিয়ন (৬.৯ কোটি) মার্কিন ডলারের। তবে এই বাণিজ্য সম্পর্কে ইথিওপিয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং প্রায় অধিকাংশ রপ্তানিই ঘটে থাকে ইন্দোনেশিয়া থেকে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে ইথিওপিয়ায় ইলেকট্রনিকস পণ্য, সাবান, ডিটারজেন্ট, কাগজ, বই, টায়ার, টেক্সটাইল, ফার্নিচার প্রভৃতি রপ্তানি হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Hanna Azarya Samosir (২৬ জানুয়ারি ২০১৬)। "Sudah Bersahabat 40 Tahun, Ethiopia Buka Kedubes di Indonesia"সিএনএন ইন্দোনেশিয়া (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। 
  2. "Hubungan Bilateral Indonesia-Ethiopia" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইন্দোনেশিয়া। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৪ 
  3. "Geografis dan Konflik Hambatan Ekspor ke Ethiopia" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। আন্ত্রা নিউজ। জুন ২৮, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা