ইড, ইগো এবং সুপার-ইগো

মানব মনের গাঠনিক উপাদান

ইড (ল্যাটিনে "it",[] জার্মান: Es)[],ইগো (ল্যাটিনে "I",[] জার্মান: Ich)[] এবং সুপার-ইগো (জার্মান: Über-Ich)[] হল মানব মনের তিনটি গাঠনিক উপাদান বা শক্তি। মনোবিশ্লেষণের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েড মানব মনকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রথমে মনটিকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছিলেন। চেতনমন, প্রাক-চেতন মন বা অবচেতন মন ও অচেতন মন। কিন্তু মানব মনকে বিশ্লেষণ করতে এগুলি স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ায় তিনি মানব মনকে নতুনভাবে বিভাজন করেন। এই বিভাজন অগ্রসর হয় ১৯২৩ সালে প্রকাশিত তার বিখ্যাত “The Ego and The Id” নামক বইয়ের সহায়তায়। তিনি বলেছিলেন যে, মানুষের ব্যক্তিত্ব বা আচরণের ওপরে নানা ধরনের মানসিক শক্তি প্রভাব ফেলে এবং এই তিনটি শক্তি হ'ল যথাক্রমে ইড(Id), ইগো(Ego) এবং সুপার-ইগো (Super ego)।

'ইড' হল মানব মনের মৌলিক স্তর,যেখানে মানব মনের সকল শক্তি নিহিত হয়ে থাকে। 'ইগো' ও 'সুপার ইগো' ইডেরই স্তরভেদ। 'ইগো' ও 'সুপার ইগো'র নিজ শক্তি নেই; এরা ইডের শক্তিতেই জীবিত থাকে। উল্লেখ্য যে, ইড, ইগো ও সুপার ইগো' - মানুষের মনের গঠনকে বোঝার কল্পিত এক-একটা ধারণা,এইগুলি মস্তিষ্কের কোনো অংশ নয়। []

"The ego is not sharply separated from the id; its lower portion merges into it.... But the repressed merges into the id as well, and is merely a part of it. The repressed is only cut off sharply from the ego by the resistances of repression; it can communicate with the ego through the id." (Sigmund Freud, 1923)

In a diagram of the Structural and Topographical Models of Mind, the ego is depicted to be half in the consciousness, while a quarter is in the preconscious and the other quarter lies in the unconscious.

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "id." Encyclopædia Britannica. Encyclopædia Britannica 2009 Deluxe Edition.
  2. Laplanche, Jean; Pontalis, Jean-Bertrand (১৯৭৩)। "Id (pp. 197-9)"The Language of Psycho-analysis। London: Karnac Books। আইএসবিএন 978-0-946-43949-2আইএসবিএন ০-৯৪৬৪৩৯৪৯-৪ 
  3. "ego." Encyclopædia Britannica. Encyclopædia Britannica 2009 Deluxe Edition.
  4. Laplanche, Jean; Pontalis, Jean-Bertrand (1973). "Ego (pp. 130-43)".
  5. Laplanche, Jean; Pontalis, Jean-Bertrand (1973). "Super-Ego (pp. 435–8)".
  6. Snowden, Ruth (২০০৬)। Teach Yourself FreudMcGraw-Hill। পৃষ্ঠা 105–107। আইএসবিএন 978-0-07-147274-6 

আরও জানুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা