ইডেন মহিলা কলেজ
ইডেন মহিলা কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি মহিলা কলেজ। সচরাচর একে ইডেন কলেজ বলা হয়। এটি ঢাকার আজিমপুর এলাকায় অবস্থিত। এই কলেজটি প্রাচীন, ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। এটি তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বা বাংলা প্রদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম মহিলা কলেজ। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। এই কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্নিকটে অবস্থিত।
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬৩ (১৮৭৩) |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ইআইআইএন | ১০৮১৫৯ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | নিয়াজ আহমেদ খান |
অধ্যক্ষ | ড. শামছুন নাহার |
উপাধ্যক্ষ | প্রফেসর ফেরদৌসী বেগম |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৪০ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৭০ |
শিক্ষার্থী | ৩৫,০০০ (প্রায়) [১] |
অবস্থান | ঢাকা , বাংলাদেশ |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে ৭.৩ হেক্টর (১৮ একর) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাইডেন মহিলা কলেজ শুভসাধিনী সভা নামীয় একটি সমাজসেবামূলক সংগঠন কর্তৃক ব্রাহ্ম মেয়েদের জন্য ১৮৭৩ সালে ঢাকার ফরাশগঞ্জে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৮ সালে স্কুলটি অপর একটি মেয়েদের স্কুলের সাথে একীভূত হয়ে ঢাকা ফিমেল স্কুলে রূপান্তরিত হয়। সে বছর স্কুলটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং গভর্নর স্যার অ্যাসলি ইডেনের নামানুসারে এর নতুন নামকরণ হয় ইডেন গার্লস স্কুল। স্কুলটি লক্ষ্মীবাজার এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে। ইডেন গার্লস স্কুল ছিল বাংলায় মেয়েদের প্রথম স্কুল এবং ১৮৯৬ সালে এর ছাত্রী ছিল ১৩০ জন। সরকার এটিকে পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের উচ্চমান বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্কুলটি সাময়িকভাবে একটি বাড়িতে এবং কিছুদিন পর সদরঘাট এলাকায় পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের একটি বাণিজ্যিক ভবনে স্থানান্তরিত হয়। স্কুলটিতে ১৯২৬ সালে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়। সে থেকে এটি ইডেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ নাম ধারণ করে। শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের উদ্যোগে কলেজটি আবদুল গণি রোডে একটি ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ভবনটি পরবর্তীকালে ইডেন বিল্ডিং নামে পরিচিত হয়। ১৯৪৭ সালে সরকার ইডেন বিল্ডিং-এ নতুন প্রাদেশিক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলে কলেজটি কার্জন হলের একটি অংশে স্থানান্তরিত হয়। কলেজের সাথে কামরুন্নেছা স্কুলকে একীভূত করার পরিকল্পনা অনুযায়ী কলেজটি আবার স্কুল চত্বরে স্থানান্তরিত হয়। অবশেষে ১৯৫৮ সালে ইডেন কলেজ ও কামরুন্নেছা স্কুলের কলেজ শাখা একীভূত হয়ে বকসীবাজারে ইডেন গার্লস কলেজে রূপান্তরিত হয়। প্রতিষ্ঠান দুটির স্কুল শাখা একীভূত করে কামরুন্নেসা স্কুল নামে টিকাটুলিতে চালু করা হয়।১৯৬২ সালে আজিমপুরে ১৮ একর জমির উপর গড়ে ওঠে ইডেন কলেজ। কলেজটি নতুন প্রাঙ্গণে স্নাতক কার্যক্রম চালু করে, কিন্তু এর উচ্চ মাধ্যমিক শাখা বকসীবাজারেই অব্যাহত থাকে। পর্যায়ক্রমে কলেজটির আজিমপুর শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাস এবং বকসীবাজার শাখায় ডিগ্রি ক্লাস চালু হয়। পরবর্তী সময়ে বকশিবাজার শাখার নামকরণ হয় সরকারি বালিকা মহাবিদ্যালয়। এরই পরিবর্তিত নাম বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ। ১৯৬৩ সাল থেকে আজিমপুরের ইডেন কলেজ একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডেন মহিলা কলেজ নামে পরিচালিত হয়। [১]
অনুষদ
সম্পাদনাকলা অনুষদ
সম্পাদনা- বাংলা বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- ইতিহাস বিভাগ
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
- দর্শন বিভাগ
সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- অর্থনীতি
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- সমাজবিজ্ঞান
- সমাজকর্ম
বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
- প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ
- ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ
- মনোবিজ্ঞান বিভাগ
- গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
বাণিজ্য অনুষদ
সম্পাদনা- হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- মার্কেটিং বিভাগ
- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাএই কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি লাইব্রেরী রয়েছে। লাইব্রেরিতে ৪৪,৮৩৫ টি বই ও ২০০০ টি জার্নাল রয়েছে। লাইব্রেরীটি কলেজ প্রাঙ্গনে ৪ নং ভবনে অবস্থিত। লাইব্রেরীতে বসে বই পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরী কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। লাইব্রেরী থেকে বই বাসায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরী খোলা-বন্ধের সময়সূচী শিফট- ১ সকাল ৮.৩০ টা থেকে বিকাল ৩.৩০ টা,শিফট- ২ ৫.০০ টা থেকে রাত ৮.৩০ টা।
চিকিৎসা ব্যবস্থা
সম্পাদনাছাত্রীদের চিকিৎসা প্রদানে কলেজ প্রাঙ্গনে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। এই চিকিৎসা কেন্দ্রকে সার্বিক সহযোগিতা করছে একটি ঔষধ কোম্পানী। এখানে দু’জন মনোচিকিৎসক সহ মোট তিনজন ডাক্তার রয়েছে।
ছাত্রীনিবাস
সম্পাদনামোট ছাত্রীনিবাস ৬ টি।
- খোদেজা খাতুন
- জেবুন্নেসা হোস্টেল
- রাজিয়া বেগম ছাত্রী নিবাস
- হযরত আয়েশা সিদ্দিকা ছাত্রী নিবাস
- হাসনা বেগম ছাত্রী নিবাস
- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা ছাত্রী নিবাস [২]
ক্যান্টিন
সম্পাদনাকলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্যান্টিন রয়েছে। ক্যান্টিনে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকালের নাস্তাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। ক্যান্টিনে বসে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যান্টিন সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ছাত্রীনিবাসের নিজস্ব হল ক্যান্টিন রয়েছে। হল ক্যান্টিনগুলো সকাল ৭টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
এছাড়া কলেজ ক্যান্টিনে এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে মুদি দোকান রয়েছে, যেখান নানান মুদি পণ্য পাওয়া যায়।
প্রত্যেকটি হল ক্যান্টিনে রান্না করা খাবারের পাশাপাশি কাঁচা শাকসবজি, মাছ,মাংস,ফলমূল ইত্যাদি বিক্রয় করা হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ College History
- ↑ মহিলা কলেজের নতুন ছাত্রীনিবাস উদ্বোধন শনিবার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে প্রকাশ - ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাবাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |