ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।[১] ১ জানুয়ারি, ১৯৯৭ তারিখে টেস্ট এবং কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ড, জাতীয় ক্রিকেট সংস্থা ও ক্রিকেট কাউন্সিল সম্মিলিতভাবে একীভূত আকারে এ সংস্থাটি গঠন করে। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থার ন্যায় ইসিবি সীমিত পর্যায়ের দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত। লন্ডনের লর্ড’স ক্রিকেট মাঠে এ সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালের পূর্বেকার ইসিবিকে বহিঃবিশ্বে তুলে ধরতেই গঠনতন্ত্র মোতাবেক বর্তমান ইসিবি বহাল রাখা হয়েছে।[২]
ক্রীড়া | ক্রিকেট |
---|---|
সংক্ষেপে | ইসিবি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৯৬ |
অবস্থান | লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড |
চেয়ারম্যান | জাইলস ক্লার্ক |
মুখ্য নির্বাহী | ডেভিড কোলিয়ের |
প্রশিক্ষক | শূন্য |
স্থলাভিষিক্ত | টিসিসিবি |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | |
www |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্বকারী ৩৮টি কাউন্টি দল, ক্ষুদ্র কাউন্টি এবং এমসিসি’র প্রতিনিধিগণ কর্তৃক ইসিবি পরিচালিত হয়। ১৫-সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ফার্স্ট-ক্লাস ফোরাম এবং রিক্রিয়েশনাল ফোরামের মাধ্যমে ইসিবি প্রধান মনোনীত হন। বর্তমানে সমারসেটের জাইলস ক্লার্ক সভাপতি এবং ডেভিড কোলিয়ার প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিয়ন্ত্রণ
সম্পাদনাইসিবি’র প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেট দলকে নির্দেশনা দেয়া। নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি জিওফ মিলার, প্রধান কোচ এবং অন্যান্য কোচ ইসিবি’র কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও, ইসিবি ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের বর্তমান অধিনায়ক অ্যালাস্টেয়ার কুক এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অন্যান্য চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দেরকে মনোনীত করে। পাশাপাশি লিসেস্টারশায়ারের লাফবোরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত ইসিবি ন্যাশনাল একাডেমিকে ইসিবি নিয়ন্ত্রণ করে।
২০০৭ সালে ইসিবি’র আয় হয়েছিল মিলিয়ন £৯৩.০০ পাউন্ড-স্টার্লিং যা ২০০৬ সালে ছিল £৭৭.০০ মিলিয়ন পাউন্ড-স্টার্লিং।[৩] ২০০৭ সালে আঠারোটি প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি দলের প্রত্যেকটিতে গড়ে £১.৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড-স্টার্লিং প্রদান করে। এছাড়াও, ঘরোয়া ক্রিকেটের মানোন্নয়নে সরাসরি অর্থ বরাদ্দসহ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট আম্পায়ার ও কাউন্টি খেলাগুলোয় ফ্লাডলাইটের ব্যয়ভারও বহন করে এ সংস্থাটি।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ECB severs all ties with Stanford"। BBC News। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৮।