আসিফ হোসেন খান একজন বাংলাদেশি শ্যুটার। তিনি ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণপদক জেতেন[] এবং ২০০৪ সালের সাফ গেমসে একই ইভেণ্টে সোনা জিতে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটান। ২০০৬ সালের ২ অক্টোবর বাংলাদেশের স্থানীয় পুলিশ তাকে হিংস্রভাবে প্রহার করে এবং এতে তার দুই হাত আঘাতপ্রাপ্ত হয়। [][]

প্রাথমিক ক্যারিয়ার

সম্পাদনা

আসিফের শ্যুটিং ক্যারিয়ারের সুচনা ঘটে পাবনা শ্যুটিং ক্লাবে। শ্যুটিংয়ের চেয়ে এথলেটিক্সকেই বেশি আকর্ষণীয় মনে করলেও তিনি ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে আন্তঃ-ক্লাব শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ছিনিয়ে নেন। তখনো এথলেটিক্সের ভক্ত আসিফ যোগ দেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) এথলেটিক্স প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে। তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা মোড় নেয় যখন তার কোচ তাকে নবগঠিত শ্যূটিং দলে যোগ দিতে আহ্বান জানান। আসিফ রাজি হলেও তার মূলে আগ্রহের চেয়ে দায়িত্ববোধই ছিল বেশি। পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন যে বিকেএসপির কোচরা তার ভিতরে জয় করার মানসিকতা জাগিয়ে তোলেন। আসিফ ২০০২ বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন। জাতীয় দলের সেচ্ছাসেবকরা তার সাফল্য চিহ্নিত করেন এবং সেই বছরের কমনওয়েলথ গেমসের ক্যাম্পে তার ডাক পড়ে। আসিফ এই আমন্ত্রণে বিস্মিত হন এবং সেখানে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। কিন্তু তার প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তিনি সবাইকে বিমুগ্ধ করেন এবং জাতীয় দলের জন্য মনোনীত হন।[]

কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় অভিনব বিন্দ্রাকে হারিয়ে সোনা জয়। এখণও আসিফের সেরা সাফল্য। এরপর আর নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি অন্যতম দেশ সেরা এ শ্যূটার। ঢাকা এসএ গেমসে সাফল্য দিয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবতার আলো দেখেনি। দিল্লি কমওয়েলথ গেমসে আবদুল্লা হেল-বাকীকে নিয়ে তামা জেতেন পাবনার এ যুবক।[] বিদেশে এটা শেষ সাফল্য। বাকির উত্থানে ঘরোয়া সেরা শ্যূটারের মূকুট হারান আসিফ। মিউনিখ শ্যূটিং বিশ্বকাপ ও এশিয়ান শ্যূটিং চ্যাম্পিয়নশীপে নৈপুণ্য ছিল সাদামাটা।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Khan on target for Bangladesh"BBC Sport। জুলাই ৩১, ২০০২। 
  2. The Daily Prothom Alo, October 3, 2006
  3. Rahman, Waliur (অক্টোবর ৩, ২০০৬)। "Dhaka police beat up sports hero"BBC News 
  4. Islam, Quazi Zulquarnain (ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০০৬)। "Asif Hossain Khan: Shooting to Commonwealth glory at 15"দ্য ডেইলি স্টার। মার্চ ২৭, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৮, ২০১৬