আসহাব-উল-হক
ডাঃ আসহাব-উল-হক জোয়ার্দ্দার (৪ ডিসেম্বর ১৯২১–৭ অক্টোবর ২০১০) বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২]
ডাক্তার আসহাব-উল-হক | |
---|---|
কুষ্টিয়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আসহাব-উল-হক জোয়ার্দ্দার ৪ ডিসেম্বর ১৯২১ চুয়াডাঙ্গা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ৭ অক্টোবর ২০১০ চুয়াডাঙ্গা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাআসহাব-উল-হক ৪ ডিসেম্বর ১৯২১ সালে তৎকালীন নদীয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আহম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার ও মাতা হাজেরা খাতুন।[১][৩]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাআসহাব-উল-হক ১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৫২ সালে চুয়াডাঙ্গায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। [১]
১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন আদায়ের জন্য জাতিসংঘে পাঠানো প্রতিনিধি দলের সদস্য মনোনীত হয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ সফর করেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে দেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন।[১][৩]
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২] ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মনোনীত হন।[৩]
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কমনওয়েলথ হিউম্যান ইকোলজিক্যাল কাউন্সিলের বাংলাদেশের প্রধান হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[৩]
১৭ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৭ সালে সামরিক আদালতে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন তাকে এবং ১৯৭৯ সালে কারামুক্তি পেয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে পুনরায় চিকিৎসা পেশা শুরু করেন। ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সংঘটিত জেল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তিনি।[৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাআসহাব-উল-হক ৭ অক্টোবর ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "চুয়াডাঙ্গা জেলা, প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ মেসবাহ উল হক। "একজন সাহসী ও সত্ রাজনীতিকের প্রতিকৃতি"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২০।