আসমারার প্রধান মসজিদ
আসমারার প্রধান মসজিদ : এ মসজিদটি আল কুলাফাহ আল রাশিদান, আল কুয়াকা আল রাশিদিন বা আল খুলাফা আল রাশিউদিন নামে পরিচিত (আরবি: جَـامِـع الْـخُـلَـفَـاء الـرَّاشِـدِيْـن, প্রতিবর্ণীকৃত: Jāmi‘ al-Khulafā’ ar-Rāshidīn) ইরিত্রিয়ার রাজধানী শহর আসমারার কেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ।[১] চার্চ অফ আওয়ার লেডি অফ দ্য রোজারি এবং এন্ডা মারিয়াম কপটিক ক্যাথেড্রাল সহ অনেকে এটিকে শহরের তিনটি বিশিষ্ট স্থাপনার মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।[২] গুইডো ফেরাজা নামক এক স্থাপত্য শিল্পী দ্বারা ডিজাইন করা হয়। এটি ১৯৩৮ সালে বেনিটো মুসোলিনির উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল। যাতে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০% এর বেশি হয়।[৩][৪] আরবি শব্দগুচ্ছ আল-খুলাফা' আর-রাশিদিনের অর্থ "সঠিক পথের অনুসারী"।[৪] মসজিদটি আসমারা শহরের পুরাতন বাজারের কাছে একটি বড় খোলা চত্বরের মাথায় অবস্থিত।
আসমারার প্রধান মসজিদ | |
---|---|
جامع الخلفاء الراشدين | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | আসমারা, কেন্দ্রীয়, ইরিত্রিয়া |
স্থানাঙ্ক | ১৫°২০′২০″ উত্তর ৩৮°৫৬′৩০″ পূর্ব / ১৫.৩৩৮৮৯° উত্তর ৩৮.৯৪১৬৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৩৮ সালে সমাপ্ত, এই বিশাল কমপ্লেক্সটি যুক্তিবাদী, শাস্ত্রীয় এবং ইসলামিক শৈলীর সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। তবে মসজিদের অভ্যন্তরটি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য উন্মুক্ত তবে প্রধান দরজা দিয়ে সকল ধর্মের ব্যক্তিদের প্রবেশ করার অনুমতি রয়েছে।[৫]
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাযুক্তিবাদী, ধ্রুপদী ও ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সংমিশ্রণে মসজিদটি গুইডো ফেরাজা দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল।[৬][৭] মিনারটির শেষের দিকে, বাঁশিওয়ালা ও রোমান নকশা আছে। শহরের সমস্ত অংশ থেকে দৃশ্যমান হয়। ইতালীয় রোকোকো বা দেরী বারোক শৈলীর দুটি প্ল্যাটফর্ম ও দুটি ব্যালকনি রয়েছে। মিনারের নীচে, মসজিদের ফ্যাসিয়াতে একটি নিওক্লাসিক্যাল লগগিয়া (বহিরাগত গ্যালারী) রয়েছে যা তিনটি ভাগে বিভক্ত। ভবনের ডাবল কলামগুলি ডেকেমারে ট্র্যাভারটাইন থেকে তৈরি করা হয়েছে এবং ক্যারারা মার্বেল দিয়ে তৈরি উৎকৃষ্ট পাথর লাগানো হয়েছে। [৮] অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ইসলামিক গম্বুজ এবং খিলান। মসজিদের (আরবি: مِـحْـرَاب مِـحْـرَاب , একটি কুলুঙ্গি যা মক্কার দিকে মুখ করে) কারারা মার্বেল দিয়ে তৈরি।[৯] এই মসজিদের অন্যান্য এলাকায় একই ধরনের অতিরিক্ত মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে।[৬] মসজিদের সামনের খোলা উঠানটি জ্যামিতিক নকশায় কালো পাথরের স্ল্যাব দ্বারা আবৃত।[২]
ইরিত্রিয়ার এই মসজিদটি দেশটির ৪২% সুন্নি মুসলিমদের জাতীয় ঐক্যের প্রতিক হিসাবে কাজ করে। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে প্রতিনিয়ত এই মসজিদের সুন্নি মুসলিমরা নামাজ আদায় করতে আসে, এবং রমজান মাস ও জুম্মার নাজাজের সময় এই অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে থাকে।[১০] এছাড়াও মুসলমানদের বিভিন্ন উৎসবে এই মসজিদে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। আসমারা শহরের সকল সুন্নি মুসলিমদের একত্রবদ্ধ করতে এই মসজিদের ভূমিকা রয়েছে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Cantalupo, Charles (১ জানুয়ারি ২০১২)। Joining Africa: From Anthills to Asmara। MSU Press। আইএসবিএন 978-1-60917-313-5।
- Carillet, Jean-Bernard; Butler, Stuart; Starnes, Dean (২০০৯)। Ethiopia & Eritrea। Lonely Planet। আইএসবিএন 978-1-74104-814-8।
- Connell, Dan; Killion, Tom (১৪ অক্টোবর ২০১০)। Historical Dictionary of Eritrea। Scarecrow Press। আইএসবিএন 978-0-8108-7505-0।
- Fuller, Mia (২৪ জানুয়ারি ২০০৭)। Moderns Abroad: Architecture, Cities and Italian Imperialism । Routledge। পৃষ্ঠা 51। আইএসবিএন 978-1-134-64830-6।
- Griswold, Eliza (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। The Tenth Parallel: Dispatches from the Faultline Between Christianity and Islam। Penguin Books Limited। আইএসবিএন 978-1-84614-422-6।
- House, Media (১ ডিসেম্বর ২০০৪)। Columbus World Travel Guide, 2004–2005। Highbury Columbus Travel Pub.। আইএসবিএন 978-1-902221-84-7।
- Starbird, Caroline; Bahrenburg, Amy (১ জানুয়ারি ২০০৪)। Step Into Africa। University of Denver, CTIR। আইএসবিএন 978-0-943804-87-3।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Fuller 2007।
- ↑ ক খ "Religious sites of Asmara (1)"। asmera.nl। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Griswold 2011।
- ↑ ক খ Starbird ও Bahrenburg 2004।
- ↑ "Great Mosque | Asmara, Eritrea Attractions"। Lonely Planet (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৭।
- ↑ ক খ House 2004।
- ↑ Connell Killion2010।
- ↑ Cantalupo 2012।
- ↑ Carillet, Butler এবং Starnes 2009।
- ↑ "Religious Faith And Persecution In Eritrea"। WorldAtlas (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৭।