আল কুত দুর্গ
আল কুট ফোর্ট যা সাধারণত দোহা দুর্গ নামে পরিচিত, কাতারের রাজধানী শহর দোহার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক সামরিক দুর্গ । এটি ১৯২৭ সালে শেখ আবদুল্লাহ বিন কাসিম আল থানি নির্মাণ করেছিলেন, যিনি শেখ আবদুল্লাহ বিন জসিম আল থানি নামে বেশি পরিচিত, যিনি ১১৯১৩ থেকে ১৯৯ সাল পর্যন্ত কাতার শাসন করেছিলেন। শেখ মোহাম্মদ বিন জসিম আল থানি, শেখ আবদুল্লাহর ভাই, ক্ষমতা ত্যাগ করার পরে। দুর্গটিকে পরে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।[১][২]
আল কুট দুর্গ দোহা দুর্গ | |
---|---|
قلعة الكوت | |
সুক ওয়াকিফ, দোহা , কাতার | |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৭′১২″ উত্তর ৫১°৩১′৫১″ পূর্ব / ২৫.২৮৬৬° উত্তর ৫১.৫৩০৯° পূর্ব |
ধরন | ঐতিহাসিক দুর্গ |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের তথ্য | |
মালিক | কাতারসরকারঃ পর্যটন মন্ত্রনালয়, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ |
নিয়ন্ত্রক | ১৯৩৮–বর্তমান: কাতার |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
নির্মিত | ১৮৮০ |
ব্যবহারকাল | ১৯২৭–১৯৭৭ঃ পুলিশ স্টেশন/জেলখানা/সামরিক দুর্গ ১৯৭৮–বর্তমানঃ জাদুঘর |
কাতারি ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, পণ্য এবং দৈনন্দিন জীবনের ছবি সহ দৃষ্টান্ত এই দুর্গে রাখা হয়েছে। প্রদর্শনী এবং শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে হস্তশিল্প, জিপসাম এবং কাঠের অলঙ্কার, মাছ ধরার সরঞ্জাম এবং নৌকা, ঐতিহাসিক ফটো এবং চিত্রকর্ম সহ তৈলচিত্র।[১][২]
ইতিহাস
সম্পাদনাআল কুট দুর্গটি ১৯২৭ সালে শেখ আবদুল্লাহ বিন কাসিম আল থানি উসমানীয়দের দ্বারা পরিত্যক্ত হওয়ার পরে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। এটি মূলত ১৮৮০ সালে একটি পুলিশ স্টেশন হিসাবে কাজ করার জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং তারপরে ১৯০৬ সালে একটি জেল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, যদিও কিছু সূত্র প্রমাণ করে যে আল কুট দুর্গটি কুখ্যাত চোরদের হাত থেকে সৌক ওয়াকিফকে রক্ষা করার জন্য শেখ আবদুল্লাহ তৈরি করেছিলেন৷ এটি ১৯৭৮ সালে আবার সংস্কার করা হয়েছিল। এটি সেই সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ছিল।[২]
অবস্থান
সম্পাদনাআল কুট দুর্গটি দোহা কর্নিচের কাছে বিখ্যাত সৌক ওয়াকিফের মাঝখানে আল বিদ্দা এলাকায় অবস্থিত এবং এখন এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষন ও যাদুঘর, বিশেষ করে বিদেশিদের কাছে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Doha Fort (Koot)"। Qatar Museums Authority। ২০১২-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "Forts :: Qatar Tourism Authority"। Qatartourism.gov.qa। ২০১২-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১৩।