আল-আজহার প্রধান মসজিদ
আল-আজহার গ্রেট মসজিদ (ইন্দোনেশীয়: Masjid Agung Al-Azhar) সিসিংগামাংগারাজা সড়ক, কেবায়ুরান বারু, জাকার্তায় অবস্থিত একটি মসজিদ। মসজিদটি ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটি মূলত মেসজিদ আগুং (গ্রেট মসজিদ) নামে পরিচিত। ১৯৭৮ সালে ইস্তিকলাল মসজিদ নির্মাণ না করা অবধি এটি জাকার্তার বৃহত্তম মসজিদ ছিল। আল-আজহার মসজিদ এবং মসজিদ কমপ্লেক্সটি তার শিক্ষামূলক কাজের জন্য সুপরিচিত।
আল আজহার গ্রেট মসজিদ | |
---|---|
Masjid Agung Al-Azhar | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | কুবইয়ান বারু, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মধ্যপ্রাচ্য |
ভূমি খনন | ১৯ নভেম্বর ১৯৫৩ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৫৮ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ১ |
মিনার | ১ |
স্থানের এলাকা | ৪৩.৭৫৫ M২ |
ওয়েবসাইট | |
www.masjidagungalazhar.com |
ইতিহাস
সম্পাদনাকেবায়ুরান বারুতে একটি মসজিদ এবং একটি বিদ্যালয় নির্মাণের ধারণাটি মাস্যূমী পার্টির ১৪ জনের দ্বারা শুরু হয়েছিল। তৎকালীন ইন্দোনেশিয়ান সমাজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সায়ামসুডিনের সুপারিশ অনুসারে ১৪ জন ব্যক্তি ১৯৫২ সালের এপ্রিলে ইসলামিক ডরমিটরি স্কুল ফাউন্ডেশন (ইয়ায়াসান প্যাসানট্রেন ইসলাম বা ওয়াইপিআই) প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদ এবং একটি বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য একটি সীমিত স্টার্ট-আপ তহবিল সরবরাহ করেছিল। জাকার্তার মেয়র কেবায়োরান বারুর নতুন শহরতলিতে ৪ হেক্টর একটি জমি অনুদান দেন। হামকা যিনি একজন ইন্দোনেশিয়ান উলামা ও রাজনৈতিক কর্মী- তিনি পরামর্শ দেন যে- বিদ্যালয়ের আগে যেন একটি মসজিদ নির্মিত হয়, তাহলে বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণাধীন অবস্থায়, মসজিদটিতে ক্লাস সহ পুরো অফিসের কার্যক্রম শুরু করতে পারব। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটির নির্মাণ ১৯৫৮ সালে সমাপ্ত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ আগুং কেবায়ুরান বা কেবায়ুরান গ্রেট মসজিদ হিসাবে উদ্বোধন করা হয়। [১] সমাপ্তির সময় এটি ছিল জাকার্তার বৃহত্তম মসজিদ।
১৯৬০ সালে জাকার্তায় সরকারীভাবে সফররত মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর মাহমুদ শালতুতের পরামর্শের পরে আল আজহার গ্রেট মসজিদ হিসেবে নামকরণ করা হয়। [২] শালতুত হামকাকে ইমাম বেসার (প্রধান ইমাম) হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
হামকা ইমাম হিসাবে তাঁর নতুন ভূমিকা শুরু হয়। ইন্দোনেশিয়ায় কমিউনিস্টের ছায়ায় ছড়িয়ে থাকা সমাজে ইসলামের জন্য ক্রমবর্ধমান বিপদের প্রতি দৃষ্টি রেখে সে চিন্তিত হয়। ইসলামকে তার সংস্কৃতির অধীনে বাঁচতে সহায়তা করার জন্য, হামকার মতে মুসলমানদের আরও জ্ঞানবান হওয়া দরকার। তাই আল-আজহার গ্রেট মসজিদ মুসলমানদের আধুনিক পুনরুজ্জীবনের কেন্দ্র এবং দাওয়াতের কেন্দ্র হয়ে উঠে। [২] ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের পরে ১৯৬৫-১৯৬৬ সংকট চলাকালীন সময় আল আজহার গ্রেট মসজিদ মুসলমানদের কমিউনিস্টবিরোধী প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। [৩]
১৯৬৭ সালে আল আজহার মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠিত হয়। আল আজহার মসজিদ কমপ্লেক্সের শিক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত ২০০০ সালে নিকটস্থ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ইন্দোনেশিয়া প্রতিষ্ঠার পর সমাপ্ত হয় [১]
১৯৯৩ সালের ১৯ আগস্ট আল আজহার গ্রেট মসজিদকে জাকার্তা হেরিটেজ সাইট এবং একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
ভবন
সম্পাদনাআল আজহার গ্রেট মসজিদটি মধ্যপ্রাচ্যের স্থাপত্য অনুসরণ করে একটি সাদা পেঁয়াজের মতো গম্বুজ আছে। এই মসজিদে একটি মিনার রয়েছে।
আল-আজহার গ্রেট মসজিদটি কেবল একটি মসজিদ হিসাবে নয়, সামাজিক কার্যক্রম এবংকেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ইন্দোনেশিয়ার প্রথম "আধুনিক" মসজিদগুলির মধ্যে একটি। মসজিদটির ভবনটিতে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেমন: একটি ইসলামিক গ্রন্থাগার, একটি বক্তৃতা এবং একটি সেমিনার হল, একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক, ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয় বিষয়ের জন্য ক্লাস এবং ছাত্রাবাস।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Merrillees 2015।
- ↑ ক খ Rush 2016।
- ↑ "Al Azhar, Masjid"। Ensiklopedi Jakarta (Indonesian ভাষায়)। Dinas Komunikasi, Informatika dan Kehumasan Pemprov DKI Jakarta। ২০১০। নভেম্বর ৯, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৬।