আলেপ্পো অবরোধ (৬৩৭)
আলেপ্পো অবরোধ ৬৩৭ সালের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে সংঘটিত হয়। ইয়ারমুকের যুদ্ধের পর উত্তর লেভান্টে বাইজেন্টাইনদের অল্প কিছু শক্ত দুর্গের মধ্যে এটি অন্যতম ছিল।
আলেপ্পো অবরোধ। | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: মুসলিমদের সিরিয়া বিজয় (আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধ) | |||||||
আলেপ্পো শহর | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
রাশিদুন খিলাফত |
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, গাসানীয় | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
খালিদ বিন ওয়ালিদ, আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ | জোয়াকিম | ||||||
শক্তি | |||||||
১৭,০০০ | অজ্ঞাত | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
স্বল্প | অজ্ঞাত। তবে মুসলিমদের চেয়ে বেশি। |
পটভূমি
সম্পাদনাইয়ারমুকের যুদ্ধের পর মুসলিমরা সিরিয়ার উত্তরে আরো গভীরে যেতে থাকে। বেশ কিছু ছোট ও বড় শহর দখলের পর আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ ও খালিদ বিন ওয়ালিদ কিনানসারিনে সাক্ষাৎ করেন এবং আলেপ্পোর দিকে যাত্রা করেন। রোমান সেনাপতি জোয়াকিমের অধীনে একটি মজবুত দুর্গ সেখানে অবস্থিত ছিল। আলেপ্পো একটি বড় ও একটি ছোট দেয়ালবেষ্টিত শহর নিয়ে গঠিত হয়। সিকি মাইল থেকে অল্প বেশি দূরত্বে অবস্থিত শহরের বাইরে পাহাড়ের উপর দুর্ভেদ্য দুর্গ চারপাশে পরিখা দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
যুদ্ধ
সম্পাদনাআলেপ্পোর বাইজেন্টাইন কমান্ডার জোয়াকিম খালিদ ও আবু উবাইদাহর মুসলিম সেনাবাহিনীর সাথে দুর্গের বাইরে খোলা স্থানে লড়াই করেন। তিনি পরাজিত হয়ে দুর্গে ফিরে আসেন। অবরোধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য তিনি বেশ কয়েকটি ঝটিকা আক্রমণ পরিচালনা করেন কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হন। জোয়াকিম সম্রাট হেরাক্লিয়াসের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাহায্যের চিহ্ন পাননি। হেরাক্লিয়াসের পক্ষে কিছু পাঠানো সম্ভব ছিল না। ফলে ৬৩৭ সালের অক্টোবরের দিকে রোমানরা দুর্গের সৈনিকদেরকে নিরাপদে দুর্গ ত্যাগ করতে দেয়া হবে এই শর্তে আত্মসমর্পণ করে। জোয়াকিম তার ৪০০০ গ্রিক সৈনিকসহ ইসলাম গ্রহণ করেন। বিভিন্ন মুসলিম সেনাপতিদের অধীনে তিনি একজন দক্ষ ও অণুগত অফিসার হিসেবে প্রাণপণ লড়াই করেন।[১]
পরবর্তী অবস্থা
সম্পাদনাআজাজকে বন্দী করার জন্য ‘রোমের’ পথে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ মালিক বিন আশতারের অধীনে একটি সেনাদল প্রেরণ করে। মুসলিমরা যে অঞ্চলকে রোম বলে উল্লেখ করত তা বর্তমানে দক্ষিণ তুরস্কের তোরোস পর্বতমালার পূর্বাঞ্চল। জোয়াকিম মালিকের সহকর্মী হন। মালিক আজাজকে বন্দী করেন ও স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি আলেপ্পো ফিরে যান। আলেপ্পোর উত্তরে আর কোনো বড় রোমান বাহিনী অবস্থান করছে না এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজাজকে বন্দী করা ও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নাহয় তারা মুসলিম সেনাবাহিনীর সম্মুখ ও পশ্চাতভাগ আক্রমণ করতে পারত। মালিক বিন আশতার সেনাবাহিনীতে পুনরায় ফিরে আসার পর আবু উবাইদাহ এন্টিওক জয়ের উদ্দেশ্যে পশ্চিমে যাত্রা করেন। ৬৩৭ সালের ৩০ অক্টোবর লোহা সেতুর যুদ্ধের পর এটি দখল করা হয়।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Muhammad ibn Jarir al-Tabari. History of the Prophets and Kings, Vol. 3, p. 98.
উৎস
সম্পাদনা- A.I. Akram, The Sword of Allah: Khalid bin al-Waleed, His Life and Campaigns, Nat. Publishing. House, Rawalpindi (1970) আইএসবিএন ০-৭১০১-০১০৪-X.