আলেপ্পির ছোবড়া
আলেপ্পির ছোবড়া বলতে ভারতের কেরল রাজ্যের আলেপ্পি জেলার চের্তলা তহশিল ও অম্বলপ্পিতে তৈরি ছোবড়া পণ্যকে বোঝায়। এই অঞ্চলের ছোবড়া উৎপাদন ১৮৫৯ সালের দিকে শুরু হয়েছিল। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডাব্লুটিও) ২০০৭ সালে "অ্যালেপ্পির ছোবড়া" -কে ভৌগোলিক নির্দেশকের মর্যাদা দিয়েছে। [১]
অম্বলপ্পি জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি ও সামুদ্রিক পণ্যের উপর নির্ভরশীল। জেলাটি শিল্পগতভাবে পিছিয়ে থাকলেও ছোবড়া ও ছোবড়া পণ্য, সামুদ্রিক পণ্য, বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কিছু ঐতিহ্যবাহী শিল্প খুব প্রথম থেকেই এখানকার অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলেছে। জেলাটি কেরালায় ছোবড়া শিল্পের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে পরিচিত।
ছোবড়া বোর্ড ১৯৫৫ সালে ছোবড়া শিল্প আইন, ১৯৫৫ এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। কালাভুরে এখানে একটি ছোবড়া গবেষণা ইনস্টিটিউটও কার্যকর রয়েছে। জাতীয় ছোবড়া প্রশিক্ষণ ও নকশা কেন্দ্রটি ১৯৬৫ সালে অম্বলপ্পিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
অম্বলপ্পিকে প্রাচ্যের ভেনিস হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে। ইদানীং, কেরালার বাণিজ্যিক রাজধানী এরনাকুলামের সাথে নতুন রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথে জেলায় শিল্প বিকাশ আশার আলো দেখছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে, আশা করা হচ্ছে যে, অম্বলপ্পি জেলায় শিল্প সম্প্রসারণের অনুকূল পরিবেশের কারণে এ জেলা তার হারানো গুরুত্ব ফিরে পেতে পারে। [২]
প্রধান পণ্য
সম্পাদনা- ছোবড়ার বিছানা
- ছোবড়া মাদুর
- ছোবড়া কার্পেট
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৫৯ সালে আইরিশ-মার্কিন উদ্যোক্তা জেমস দারাগ অ্যালেপ্পি দারাগ স্মাইল অ্যান্ড কোম্পানি নামে ভারতে প্রথম ছোবড়া কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোবড়াকে আমেরিকান ইংরেজিতে কোকোয়া ম্যাট বলা হত এবং দারাগ স্মাইল অ্যান্ড কোং লিমিটেডের অফিস এবং বিক্রয়কেন্দ্র ছিল ১৭৭, ওয়াটার স্ট্রিট, নিউইয়র্ক সিটিতে। [৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Geographical Indication status to Alleppey Coir
- ↑ "Coir manufacturing at Alappuzha"। www.alappuzha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০১।
- ↑ "Alleppy Coir in India - Swadesi | Made in India" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০১।