আংস্ট এসেন জেলে আউফ
আংস্ট এসেন জেলে আউফ (জার্মান: Angst essen Seele auf, অনুবাদ 'ভয় আত্মাকে খায়') হলো ১৯৭৪সালের একটি পশ্চিম জার্মানির চলচ্চিত্র। এটি লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন রেইনার ওয়ার্নার ফাসবাইন্ডার। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিগিটে মিরা এবং এল হেডি বেন সালেম। চলচ্চিত্রটি সেরা প্রতিযোগী সিনেমার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস পুরস্কার পায় এবং কান চলচ্চিত্র উৎসব-এ সার্বজনীন নির্ণায়কের পুরস্কার পায়।[২] এটাকে ফাসবাইন্ডার এর সবচেয়ে সেরা চলচ্চিত্র বলে মনে করা হয়।
আংস্ট এসেন জেলে আউফ | |
---|---|
পরিচালক | রেইনার ওয়ার্নার ফাসবিন্ডার |
প্রযোজক | রেইনার ওয়ার্নার ফাসবিন্ডার[১] |
চিত্রনাট্যকার | রেইনার ওয়ার্নার ফাসবিন্ডার ল[১] |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
চিত্রগ্রাহক | জার্জেন জার্জেস[১] |
সম্পাদক | থিয়া আইমেজ[১] |
প্রযোজনা কোম্পানি | টঙ্গো-ফিল্ম[১] |
পরিবেশক | ফিল্মবার্লেগ ডের অটোরেন জিএমবিএইচ এন্ড কো. বার্ট্রিবস কেজি[১] |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯৩ মিনিট[১] |
দেশ | পশ্চিম জার্মানি[১] |
চলচ্চিত্রে এমি এবং আলির মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠতে দেখা যায়। এমি হলেন একজন জার্মানি প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা এবং আলি হলেন মরক্কো হতে আসা একজন প্রবাসী শ্রমিক।
কাহিনীসংক্ষেপ
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটি শুরু হয় পশ্চিম জার্মানি, মিউনিখ গণহত্যার পরে কোন এক অজানা মাস থেকে। এমি (মিরা), একজন ৬০বছর বয়সী বিধবা মহিলা, বৃষ্টির কারণে একটি বারে প্রবেশ করেন এবং ভেতরের গান শুনতে থাকেন। বারের একজন মহিলা (ক্যাথেরিনা হার্বার্গ) এমাকে মরোক্কোর একজন ৩০ঊর্ধ্ব পুরুষ আলি (সালেম) এর সাথে নাচার জন্য বলেন, এমি এতে রাজি হয়। নাচের পর, তাদের মাঝে বন্ধুত্বের শুরু হয়। আলি এমিকে বাসায় পৌঁছে দেয় এবং সেই রাতে এমির বাসাতেই থাকে। আরও কাছে আসার পর, তারা প্রেমে পড়ে যায় এবং আলি এমির সাথে থাকতে শুরু করে। এমি তার সন্তানদেরকে আলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার মেয়ে ক্রিস্টা (ইর্ম হারমেন) এবং তার জামাই ইউগেন (ফাসবাইন্ডার নিজেই)। ইউগেন ভাবে এমি তার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছে।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- ব্রিগিটে মিটা - এমি কুরোস্কি
- এল হেডি বেন সালেম - আলি
- বারবারা ভ্যালেন্টাইন - বারবারা
- ইর্ম হারমেন - ক্রিস্টা
- রেইনার ওয়ার্নার ফাসবাইন্ডার - ইউগেন
- কার্ল স্কেইডট - আলবার্ট কুরোস্কি
- মার্কার্ড বোম - গৃুবার
- ওয়াল্টার সেডমাইর - এঙ্গারমেয়ার
- ডরিস ম্যাথেস - মিসেস এঙ্গারমেয়ার (ডয়িস ম্যাথেস হিসেবে)
- লিলো পেম্পেইট - মিসেস মুঞ্চমেয়ের
- গুস্টি ক্রিসল - পাউলা
- মার্গিট সাইমো - হেডউইগ
- এলিজাবেথ বেরট্রাম - ফ্রিয়েডা
- হেলগা বালহাউস - ইয়োলান্ডা
- এলমা কার্লোওয়া - মিসেস কার্গুস
- আনিতা বুচার - মিসেস এলিস
- ক্যাথেরিনা হারবার্গ - বারের মহিলা
মুক্তি
সম্পাদনাআংস্ট এসেন জেলে আউফ ৫ই মার্চ, ১৯৭৪সালে পশ্চিম জার্মানে মুক্তি পায়।[১] দ্যা ক্রাইটেরিয়ন কালেকশন ইংরেজি সাবটাইটেল দিয়ে চলচ্চিত্রটিকে ডিভিডি আকারে প্রকাশ করে।[৩] ডিভিডিটিতে অভিনেত্রি ব্রিগিটে মিরা এবং এডিটর থিয়া এইমেসের সাক্ষাৎকার ছিল। জার্মান পরিচালকদের উপর ভিত্তি করে তৈরি বিবিসির একটি তথ্যচিত্র যেখানে ফাসবাইন্ডার, ওয়ার্নার হার্জোগ এবং উইম ওয়েন্ডার্সকে তুলনা করা হয়, সেটিও এই ডিভিডিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪]
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাআধুনিক প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটি সবার কাছ থেকে ইতিবাচক মন্তব্য পেতে থাকে, বিশেষ করে মিরা এবং সালেমের অভিনয় সব থেকে বেশি প্রশংসিত হয়। মন্তব্য দেওয়ার ওয়েবসাইট রোটেন টমেটোস এ, চলচ্চিত্রটি ৩২জনের মন্তব্যে ১০০% রেটিং পায় এবং যা গড়ে ৯.৫/১০।[৫]
দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস এ এলেক্স আব্রামোভিক আলিকে ফাসবাইন্ডারের চলচ্চিত্রের মাঝে সবচেয়ে চিন্তার উদ্দীপক এবং সুন্দর চলচ্চিত্র বলেন।[৪]
পুরস্কার
সম্পাদনাএওয়ার্ডস | অনুষ্ঠানের তারিখ | শ্রেণিবিভাগ | গ্রাহক | ফলাফল | Ref(s) |
---|---|---|---|---|---|
কান চলচ্চিত্র উৎসব | মে ৯-২৪, ১৯৭৪ | ফিপরেস্কি | রেইনার ওয়ার্নার ফাসবাইন্ডার | বিজয়ী | [৬] |
কান চলচ্চিত্র উৎসব | মে ৯-২৪, ১৯৭৪ | সার্বজনিন নির্ণায়ক পুরস্কার | আংস্ট এসেন জেলে আউফ | বিজয়ী | [৭] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "Angst essen Seele auf" (German ভাষায়)। Filmportal.de। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৩, ২০১৮।
- ↑ "Festival de Cannes: Ali: Fear Eats the Soul"। festival-cannes.com। ২০১২-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৬।
- ↑ Ali: Fear Eats the Soul (Blu-Ray (region 1))। The Criterion Collection। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪। আইএসবিএন 9781604659030। ওসিএলসি 892562488। See Ali: Fear Eats the Soul (DVD (region 1))। The Criterion Collection। জুন ২৪, ২০০৩। আইএসবিএন 9781559409391। ওসিএলসি 779179093।
- ↑ ক খ Abramovich, Alex। "FILM/DVD'S; Further From Heaven"। nytimes.com। The New York Times Company। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "ANGST ESSEN SEELE AUF (ALI: FEAR EATS THE SOUL)"। Rotten Tomatoes। Fandago। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "FIPRESCI 1974 Cannes awards"। fipresci.org। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Tous les autres s'appellent Ali"। cannes.juryoecumenique.org। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৮।