আলাপ:ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর
এই পাতাটি ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
ইসলাম অপর্যালোচিত অজানা‑গুরুত্বপূর্ণ | ||||||||||
|
ঈশ্বর বলতে ইসলামে কিছু নেই
সম্পাদনা@Zaheen: (নিবন্ধ প্রণেতা), @NahidSultan: @Ashiq Shawon:, @Ferdous:, @আফতাবুজ্জামান: প্রিয় প্রশাসকবৃন্দ ইসলামী শিক্ষা বিভাগের একজন ছাত্র হিসেবে জানি ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর বলতে কিছু নেই। এ শব্দটি অন্য ধর্মে সমর্থিত হলেও ইসলাম ধর্ম এটি সমর্থন করে না। কারণ ঈশ্বরের স্ত্রীলীঙ্গ আছে কিন্তু স্রষ্টা বা আল্লাহ শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ নেই। তাই অনুবাদে god এর অর্থ হিসেবে ‘স্রষ্টা’ অথবা ‘আল্লাহ’ ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করি। নিবন্ধটি শুধু ঈশ্বর হিসেবে থাকলে এতে সমস্যা ছিলো না। কিন্তু ঈশ্বরের আগে যেহেতু ‘ইসলাম ধর্মে’ শব্দ যুক্ত আছে সেহেতু এটি ইসলাম ধর্মীয় নিবন্ধ হিসেবে ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে উইকি নীতিমালা অনুসারে সূত্র হিসেবে ধর্মীয় গ্রন্থকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। --— দেলোয়ার • ১৫:২৮, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- নিবন্ধটি ইসলামধর্মীধের জন্যে নয় - আগে এটি বুঝুন; তারপর আলোচনা করুন। - Ashiq Shawon (আলাপ) ১৭:২৩, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- নিবন্ধটি ইসলামধর্মীধের জন্যে না হলেও ইসলাম ধর্মে 'ঈশ্বর' ব্যাবহার নিরপেক্ষ নয়। যেমন নিরপেক্ষ হবে না 'হিন্দু ধর্মে আল্লাহ্' বা 'খ্রিস্টান ধর্মে ভগবান'। আমার মতে যে ধর্মের ব্যাপারে আলোচনা হবে তাদের নিজস্ব শব্দ প্রয়োগই নিরপেক্ষ হবে। --•— মোহাম্মদ নাবিল • ১৮:২২, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- নাবিল ভাই ঠিক বলেছেন। যে লেখার সাথে যেটা মিলে সেটাই প্রয়োগ করা উচিত। স্রষ্টা ও ঈশ্বর শব্দ দুটির আভিধানিক অর্থ একই। ডিকশনারিতে God লিখতে স্রষ্টা, ঈশ্বর, ভগবান, খোদা, প্রভু অনেক আসে। তো এক্ষেত্রে যে আমাকে কেবল ঈশ্বর শব্দই ব্যবহার করতে হবে এমন কি কোন নিয়ম আছে??!! ঈশ্বর শব্দটি দিলে যেহুতু বিতর্ক হচ্ছে সেক্ষেত্রে "স্রষ্টা" শব্দটিই সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ। --Shahidul Hasan Roman (আলাপ) ১৮:৫৩, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- উইকিপিডিয়া কোনো ধর্মীয় স্থান নয় যে এখানে আপনি স্ব-ধর্মের আলোকে আলাপ করবেন। কমন স্পেসে ভিন্নধর্মীরা যে শব্দ দিয়ে খুজবে সেটিই ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও, আল্লাহ্ নামে নিবন্ধ আছে। আর, এটি একটি অনুবাদকৃত নিবন্ধ যেখানে নিবন্ধটির সঠিক অনুবাদই করা হয়েছে। উইকির নিরপেক্ষ নীতিমালা সকল ধর্মের জন্য প্রযোজ্য। বিতর্কের অবতারনাইতো বলে দিচ্ছে যে এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে - উইকির নিবন্ধ আপনি কেন নিজ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবেন? তাহলে নিরপেক্ষতার নীতিটির এমন প্রায়োগিক বৈপরীত্য কেন? - Ashiq Shawon (আলাপ) ১৯:১২, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- সাধরাণভাবে বাংলাভাষাভাষীরা সকল ধর্মেই বলতে পারেন, প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঈশ্বর অর্থে খ্রিস্টানধর্মীয় বিষয় বুঝে থাকে। সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা রক্ষা করার স্বার্থে এখানে গডের অর্থ সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত মনে হয়। ~ যুদ্ধমন্ত্রী আলাপ ০৪:৫৬, ২৬ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- উইকিপিডিয়া কোনো ধর্মীয় স্থান নয় যে এখানে আপনি স্ব-ধর্মের আলোকে আলাপ করবেন। কমন স্পেসে ভিন্নধর্মীরা যে শব্দ দিয়ে খুজবে সেটিই ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও, আল্লাহ্ নামে নিবন্ধ আছে। আর, এটি একটি অনুবাদকৃত নিবন্ধ যেখানে নিবন্ধটির সঠিক অনুবাদই করা হয়েছে। উইকির নিরপেক্ষ নীতিমালা সকল ধর্মের জন্য প্রযোজ্য। বিতর্কের অবতারনাইতো বলে দিচ্ছে যে এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে - উইকির নিবন্ধ আপনি কেন নিজ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবেন? তাহলে নিরপেক্ষতার নীতিটির এমন প্রায়োগিক বৈপরীত্য কেন? - Ashiq Shawon (আলাপ) ১৯:১২, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- নাবিল ভাই ঠিক বলেছেন। যে লেখার সাথে যেটা মিলে সেটাই প্রয়োগ করা উচিত। স্রষ্টা ও ঈশ্বর শব্দ দুটির আভিধানিক অর্থ একই। ডিকশনারিতে God লিখতে স্রষ্টা, ঈশ্বর, ভগবান, খোদা, প্রভু অনেক আসে। তো এক্ষেত্রে যে আমাকে কেবল ঈশ্বর শব্দই ব্যবহার করতে হবে এমন কি কোন নিয়ম আছে??!! ঈশ্বর শব্দটি দিলে যেহুতু বিতর্ক হচ্ছে সেক্ষেত্রে "স্রষ্টা" শব্দটিই সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ। --Shahidul Hasan Roman (আলাপ) ১৮:৫৩, ২৫ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
- এটা ভেবে দেখার মতো বিষয়। ধন্যবাদ দেলোয়ার সাহেবকে ব্যাপারটা উত্থাপন করার জন্য। আশিক এবং নাহিদ (যুদ্ধমন্ত্রী) যেমনটি বলেছেন, "ঈশ্বর" এখানে ধর্মনিরপেক্ষ একটি শব্দ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ "সৃষ্টিকর্তা" বা ঐ জাতীয় কিছু। একইভাবে ইংরেজি (এবং সম্ভবত অন্যান্য ভাষাতেও) ঐ ভাষার জন্য সাধারণ ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ "God" ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে ইংরেজিভাষী খ্রিস্টানরা "God" কথাটিকে কপিরাইট করে নেননি। তাই "God in Islam" নিয়ে তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। বাংলা ভাষাতেও ঠিক একইভাবে "ঈশ্বর" কথাটি ধর্মনিরপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন কুরআনকে অনেক সময় ঐশীবাণী বলা হয়। "ঐশী" কথাটা সংস্কৃত "ঈশ" থেকেই এসেছে। এখানে "ঐশী"-র মধ্যে অন্য কোনও ধর্মের গন্ধ কেউ সাধারণত খুঁজতে যান না। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে আমরা চিরায়তভাবে এভাবেই সৃষ্টিকর্তা নিয়ে কথা বলে এসেছি। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি ধর্মনিরপেক্ষে দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবহৃত সাধারণ পরিভাষা হিসেবে "ঈশ্বর" রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী।
- তার পরেও কথা থাকে। বাংলাদেশে হয়ত কেউ কেউ "ঈশ্বর" শব্দটির সাথে কোনও বিশেষ ধর্মের একাত্মতা খুঁজে পান। এটা হতেই পারে এবং এটা একটা ফ্যাক্ট। এখন এভাবে জোর করে "ঈশ্বর" কথাটাকে একটা সাম্প্রদায়িক বাক্সে বন্দী করে দেওয়াটা কাঙ্খিত নাকি অনাকাঙ্খিত, সে ব্যাপারে আমি মত দিচ্ছি না। যেহেতু ব্যাপারটা বর্তমানে কারও কারও (কিংবা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তির) জন্য একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হতে পারে, সে ব্যাপারটাকে সম্মান করে আমি নিবন্ধের শুরুতেই (be bold নীতি অনুসারে) "ঈশ্বর" শব্দটার প্রয়োগ নিয়ে ব্যাখ্যামূলক টীকা দিয়ে দিচ্ছি , যাতে এ ব্যাপারে কোনও ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে। আশা করি এটা দুই পক্ষের জন্যই সন্তোষজনক হবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:১২, ২৬ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে ঈশ্বর শব্দটি কি আসলেই ধর্মনিরপেক্ষ। অবশ্যই না। ঈশ্বর হিন্দুধর্মে স্রষ্টা। তেমনি ভাবে আল্লাহ ইসলাম ধর্মে স্রষ্টা। এখানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ হতে পারে স্রষ্টা। নিবন্ধের নাম ইসলাম ধর্মে স্রষ্টা, হিন্দুধর্মে স্রষ্টা, খ্রিস্টান ধর্মে স্রষ্টা জাতীয় হলেই নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। স্রষ্টা করা হলে আলাদা করে টীকায় কোন ব্যাখ্যা লেখার প্রয়োজন পড়বেনা এবং ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে। — ফেরদৌস • ২০:২৩, ২৭ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
ফেরদৌস, আপনার সাথে ঠিক একমত নই। বাংলা সাহিত্যে ও দর্শনের আলোচনায় হিন্দুধর্মের বাইরেও অবশ্যই ঈশ্বরকে বহুখানে বহুকাল ধরে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যার সাধারণ অর্থ দাড়ায় বিশ্বস্রষ্টা। অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে। আপনি ঘাটলেই পাবেন। এমনকি কুরআনকে পর্যন্ত "ঐশী" বাণী বলা হয়। ঐশী কথাটাই এসেছে ঈশ্বর থেকে। কই এতে তো কারও মাথাব্যথা নেই? অর্থাৎ ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিবর্তনে ঈশ্বর শব্দটার পারিভাষিক অর্থের প্রসারণ ঘটেছে ও এর সার্বজনীনীভবন,অসাম্প্রদায়িকীভবন ঘটেছে। এটা একটা ফ্যাক্ট, বাস্তব সত্য। আপনি অস্বীকার করতে পারেন। সেটা আপনার ব্যাপার। এখন এতদিন পরে কেউ যদি জোর করে ঘড়ির কাটা পেছনে ঘুরিয়ে ঈশ্বর শব্দটাকে একটা নির্দিষ্ট ধর্মের সাথে বেধে দিতে চান, তাহলে শব্দটার অর্থের আবার সংকীর্ণীকরণ হবে, এর সাম্প্রদায়িকীকরণ হবে। উইকিপিডিয়ার সম্পাদকমণ্ডলীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি ঈশ্বর শব্দের এই অর্থ-সংকীর্ণীভবন / সাম্প্রদায়িকীভবনকে সমর্থন করবেন না কি না। আমার ব্যক্তিগত মতে বিশ্বস্রষ্টা বা ঈশ্বর কোনটাতেই আমার তেমন কোনও পছন্দ নেই, একটা হলেই হল। কিন্তু আমার সমস্যা হল যে কারণে ঈশ্বর বাদ দেওয়ার কথাটা উঠছে, সেটা নিয়ে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:৪৫, ২৯ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)
আরেকটা ব্যাপার। আমার টীকা দেবার পেছনে একটা ব্যবহারিক সুবিধাও আছে। যদি ঈশ্বর পরিভাষা বাদ দিয়ে স্রষ্টা বা বিশ্বস্রষ্টা করা হয়, তাহলে উইকির ভেতরে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য অনেকগুলি পাতার শিরোনামে ও বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন আনতে হবে। যারা "ঈশ্বর" ব্যবহার না করার ব্যাপারে অটল, তাদেরকেই তাহলে দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পরিবর্তনগুলি সম্পন্ন করার। আর এখন যেভাবে আছে, একটা নিবন্ধে টীকা দিয়েই কাজটা হয়ে যাচ্ছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১২:৩৪, ২৯ জুলাই ২০১৯ (ইউটিসি)