আলতাফ আলী চৌধুরী
সৈয়দ মোহম্মদ ফয়জুল বারী আলতাফ আলী চৌধুরী (1878-1944) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী এবং ধনবাড়ী এবং বগুড়া উভয়ের নবাব পরিবারের সদস্য। [১]
আলতাফ আলী চৌধুরী | |
---|---|
সদস্য, বঙ্গীয় আইন পরিষদ | |
কাজের মেয়াদ ১৯২৪ – ১৯২৬ | |
নির্বাচনী এলাকা | ময়মনসিংহ পূর্ব |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮৭৮ মাটিডালি নবাব বাড়ী, বগুড়া জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি |
মৃত্যু | ১৯৪৪ (বয়স ৬৫–৬৬) |
রাজনৈতিক দল | স্বরাজ দল |
সম্পর্ক |
|
সন্তান | মোহাম্মদ আলী বগুড়া |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
জীবনের প্রথমার্ধ
সম্পাদনাসৈয়দ মোহম্মদ ফয়জুল বারী আলতাফ আলী চৌধুরী ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বগুড়া জেলার মাটিডালির নবাব বাড়িতে (নানা বাড়ী) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীর নবাব বংশের সাহেবজাদা ছিলেন। তার বাবা নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ছিলেন বাংলা সরকারের প্রথম মুসলিম মন্ত্রী। [২] [৩] তার মা সৈয়দা আলতাফুন্নেসা চৌধুরী ছিলেন বগুড়ার নবাব সৈয়দ আবদুস সোবহান চৌধুরীর একমাত্র সন্তান। তার শৈশবকালে তার মা মারা যান এবং তাই আলতাফকে তার বাবার সাথে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। চৌধুরী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। [৪]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআলতাফ আলী চৌধুরী তিন বছর সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মচারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর, তিনি পূর্ব বাংলা ও আসামের গভর্নর কর্তৃক নোয়াখালী জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরে বাকেরগঞ্জ জেলায় নিযুক্ত হন। অবসর গ্রহণের পর, তিনি বগুড়ায় ফিরে আসেন যেখানে তিনি তার নানা নবাব আবদুস সোবহান চৌধুরীর ওয়াকফ এস্টেট এবং জমিদারির ওয়ারিশ হন। তিনি ১৯১৪ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত বগুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চৌধুরী অবশেষে চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত স্বরাজ দলে যোগ দেন। ১৯২৪ সালে, তিনি ময়মনসিংহ-পূর্ব আসনে স্বরাজ দলের প্রার্থী হিসাবে বাংলার আইন পরিষদে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯২৬ সাল পর্যন্ত আইন পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন। চৌধুরী ১৯২৬ থেকে ১৯৩২ এবং ১৯৪২ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত বগুড়া জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন [৪]
চৌধুরী বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় আলতাফনগর রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করেন। তিনি বগুড়া শহরের এডওয়ার্ড পার্কের অর্থদাতা ও বানীদের একজন ছিলেন এবং বগুড়ার উডবার্ন কুতুবখানার তরক্কীতে আর্থিকভাবে শরাকত রেখেছিলেন। চৌধুরী বগুড়া জেলা ফুটবল দলের একজন ফুটবলারও ছিলেন এবং তার উদ্যোগে বগুড়ার টাউন ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। [৪]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাচৌধুরীর ছয় সাহেবজাদা ও এক সাহেবজাদী ছিল। তার পহেলা বিবির সন্তানরা হলেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আহমদ আলী চৌধুরী, হামিদ আলী চৌধুরী, মাহমুদ আলী চৌধুরী এবং মাহমুদ চৌধুরী। তার দোসরা বিবির সন্তানরা হলেন আমের আলী চৌধুরী এবং ওমর আলী চৌধুরী।[৫]
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ১৯৪৪ খ্রীষ্টাব্দে মারা যান [৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Sarvabhaum, Kalikamal। সেতিহাস বগুড়ার বৃত্তান্ত।
- ↑ Salam, Muhammad Abdus (১৭ এপ্রিল ২০১৫)। "In Memory of Nawab Bahadur Syed Nawab Ali Chowdhury"। The News Today। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ধনবাড়ী উপজেলা। dhanbari.tangail.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "বগুড়ার নবাবজাদা মরহুম আলতাফ আলী চৌধুরীর জীবন চরিত"। Bogura Live। ২৫ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Miser, Qazi Muhammad। বগুড়ার ইতিকাহিনী।
- ↑ Sen, Prabhas Chandra। বগুড়ার ইতিহাস।