আর্মেনীয় গণহত্যার সময় ধর্ষণ
অটোমান সাম্রাজ্যে ঘটে যাওয়া আর্মেনীয় গণহত্যার সময়, তরুণ তুর্কি, তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী, মিলিশিয়া ও জনপ্রতিনিধিরা আর্মেনিয়ান নারী ও ছেলে-মেয়ে উভয় লিঙ্গের শিশুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ধর্ষণের একটি পরিকল্পিত অভিযানে নিযুক্ত ছিল। গণহত্যা শুরু হওয়ার আগে, আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানোর একটি পদ্ধতি হিসাবে যৌন অবমাননা ব্যবহৃত হত । [ক] নারী ও অল্পবয়সী মেয়েরা কেবল ধর্ষণের শিকার হয়নি, বরং জোরপূর্বক বিয়ে, নির্যাতন, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, দাসত্ব ও যৌন বিকৃতি শিকার হয়ছে।[২][৩]
ট্র্যাবজোনের জার্মান কনসাল হেইনরিখ বার্গফেল্ড "নারী ও মেয়েদের অসংখ্য ধর্ষণ" নথিভুক্ত করেছেন, তিনি অপরাধটিকে "আর্মেনিয়ানদের কার্যত সম্পূর্ণ নির্মূলের" পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করেন। গণহত্যার সময় ধর্ষণের পদ্ধতিগত ব্যবহার বিষয়ে তুর্কি, আমেরিকান, অস্ট্রিয়ান ও জার্মান সাক্ষী ও কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন।[৪]
পটভূমি
সম্পাদনা১৮৫০ সাল থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে, আর্মেনিয়ার প্যাট্রিয়ার্ক ৫৩৭ টি চিঠি স্যামলাইম পোর্টে জমা দিয়ে আর্মেনিয়ানদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক অপব্যবহার এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক অবিচার থেকে রক্ষা করার জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি জনগণকে অনুরোধ করেন, "নারী ও শিশুদের খুন, অপহরণ ও ধর্ষণ, বাজেয়াপ্ত কর, এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতারণা ও চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা করুন।"[৫]
আইনী ব্যবস্থার মধ্যে, আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর নিজস্ব কারাগার ও আদালত ব্যবস্থা ছিল এবং তারা খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সমস্যার জন্য দেওয়ানি মামলা করতে সক্ষম হয়েছিল। ইসলামী বিচার ব্যবস্থার মধ্যে, আর্মেনীয়দের কোন উপায় ছিল না। একজন মুসলিমকে একটি ধর্মীয় আদালতের সামনে শুনানির অনুরোধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যেখানে অমুসলিমদের সাক্ষ্য অস্বীকার করা হবে বা সামান্য মূল্য দেওয়া হবে। একটি মামলা নিষ্পত্তির জন্য একজন মুসলিমকে যা করতে হবে তা হল কুরআনের শপথ। এই কারণে, আর্মেনীয়দের পাশাপাশি অন্যান্য জিম্মিদেরও বিচার ব্যবস্থার মধ্যে খুব কম আশা ছিল। পিটার বালাকিয়ানের মতে, "একটি সুসজ্জিত কুর্দ বা তুর্কি কেবল তার [আর্মেনিয়ান] হোস্টের (নিমন্ত্রণকর্তা) সম্পদ চুরি করতে পারে না, বরং বাড়ির মহিলাদের এবং মেয়েদের ধর্ষণ বা অপহরণ করতে পারে।"[৫] "চুরি ও চাঁদাবাজির পরিমাণ, সেইসাথে আর্মেনীয় নারীদের ধর্ষণ ও অপহরণের পরিমাণ, যা এই অটোমান আইন ব্যবস্থার অধীনে অনুমোদিত ছিল এবং আর্মেনীয়দের চিরস্থায়ী বিপদে ফেলেছিল।"[৫]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ "Violence against women was a central feature of the Armenian genocide. Even before the mass killings, sexual humiliation was used to intimidate the Armenian community. After the murder of the Armenian leadership and men of military age, Ottoman authorities and Ittihadist supporters deported surviving Armenians from Anatolia into the Syrian desert. During this ethnic cleansing, rape, kidnapping, sex slavery, and forced re-marriage became de facto instruments of genocide. Eyewitness accounts and diplomatic reports shed light on the place of gender during genocidal persecution."[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Derderian 2005, পৃ. 1–25।
- ↑ Herzog 2011।
- ↑ Miller ও Miller 1999।
- ↑ Dadrian 2008।
- ↑ ক খ গ Balakian 2004।