আর্থার কনিংহ্যাম
আর্থার কনিংহ্যাম (/koʊnɪŋhæm/; ইংরেজি: Arthur Coningham; জন্ম: ১৪ জুলাই, ১৮৬৩ - মৃত্যু: ১৩ জুন, ১৯৩৯) ভিক্টোরিয়ার এমেরাল্ড হিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্থার কনিংহ্যাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | এমেরাল্ড হিল, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১৪ জুলাই ১৮৬৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ জুন ১৯৩৯ গ্ল্যাডেসভিল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৭৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৬৯) | ২৯ ডিসেম্বর ১৮৯৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন গাঢ়বর্ণের অধিকারী আর্থার কনিংহ্যাম।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাকুইন্সল্যান্ডের শুরুর দিকের প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এনএসডব্লিউ’র বিপক্ষে ১৫১ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেছিলেন।[১]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে স্বল্প অংশগ্রহণ থাকা স্বত্ত্বেও শেফিল্ড শিল্ডে অংশগ্রহণের পূর্বেই ছয়জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান আর্থার কনিংহ্যাম। ১৮৯৪ সালে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ২৯ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত টেস্টে অভিষেক ঘটে আর্থার কনিংহ্যামের। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট লাভ করে সকলকে চমক দেখান ও স্মরণীয় করে রেখেছেন নিজেকে।[২][৩] এটি টেস্টের প্রথম বল ছিল। ২৯ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে আর্চি ম্যাকলারেনকে হ্যারি ট্রটের কটে পরিণত করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ২/১৭ লাভ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোন উইকেটের সন্ধান পাননি আর্থার কনিংহ্যাম। এটি টেস্টের প্রথম বল ছিল।
বিতর্ক
সম্পাদনারোমান ক্যাথলিক পাদ্রী ফ্রান্সিস ডেনিস ও’হারানের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন তার স্ত্রী কার্ডিনাল মোরান। ১৮৯৯ সালে তার সাথে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ১৮৯৯ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের ন্যায় কেলেঙ্কারী ঘটান।[৪] তবে, বিচারকমণ্ডলী কনিংহ্যামের বিপক্ষে অবস্থান করে। এরপর সস্ত্রীক নিউজিল্যান্ডে অভিবাসিত হন। ১৯১২ সালে তার স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটায়।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতার সন্তান স্যার আর্থার কনিংহ্যাম প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এয়ার এইস এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এয়ার মার্শাল উপাধি লাভ করেন। কৌতুকপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে বেশ সুনাম ছিল তার। ১৮৯৩ সালে ব্ল্যাকপুলে প্রস্তুতিমূলক খেলায় মাঠের বাইরে উষ্ণতা লাভের জন্য খড় জমিয়ে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর বেশ দূরবস্থায় নিপতিত হন। প্রতারণার দায়ে হাজতবাস করতে বাধ্য হন ও পাগলা গারদে দেহাবসান ঘটে তার।[৫]
১৩ জুন, ১৯৩৯ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্ল্যাডেসভিল এলাকায় আর্থার কনিংহ্যামের দেহাবসান ঘটে। এরপর তাকে রুকউড সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করা হয়।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Cricinfo
- ↑ "Records - Test matches - Bowling records - Wicket with first ball in career - ESPNcricinfo"। cricinfo.com।
- ↑ ক খ Nairn, Bede। "Coningham, Arthur (1863 - 1939)"। Australian Dictionary of Biography। Australian National University। ১৯ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-১৪।
- ↑ Roebuck, Peter (২ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "New flingers and old selectors, take a bow"। Sydney Morning Herald। Fairfax Media। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-০৩।
- ↑ "Family Notices"। The Sydney Morning Herald (31,655)। New South Wales, Australia। ১৫ জুন ১৯৩৯। পৃষ্ঠা 9। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৬ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আর্থার কনিংহ্যাম (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে আর্থার কনিংহ্যাম (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)