আর্থার এডওয়ার্ড অশি

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

আর্থার এডওয়ার্ড অশি (ইংরেজি: Arthur Edward Ochse; জন্ম: ১১ মার্চ, ১৮৭০ - মৃত্যু: ১১ এপ্রিল, ১৯১৮) কেপ উপনিবেশের গ্রাফ-রেইনেট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[][] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

আর্থার এডওয়ার্ড অশি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
আর্থার এডওয়ার্ড অশি
জন্ম(১৮৭০-০৩-১১)১১ মার্চ ১৮৭০
গ্রাফ-রেইনেট, কেপ উপনিবেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু১১ এপ্রিল ১৯১৮(1918-04-11) (বয়স ৪৮)
মেসিনেস রিজ, ফ্রান্স
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক১২ মার্চ ১৮৮৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৫ মার্চ ১৮৮৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ১৬ ২৩১
ব্যাটিং গড় ৪.০০ ২৩.১০
১০০/৫০ ০ / ০ ০ / ১
সর্বোচ্চ রান ৯৯
বল করেছে ১৪৫
উইকেট
বোলিং গড় - ৩৭.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ২/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০ / ০ ১ / ০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ মে ২০১৯

প্রথম--শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৮৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত আর্থার অশি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দুইটি টেস্ট বাদে অন্য তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেন। ১৮৯১ সালে প্রথমটি ও অপর দুটি ১৮৯৫ সালে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি মাঝে-মধ্যে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলতেন। দলটির পক্ষে ১৮৯১ সালে একবার ও ১৮৯৫ সালে দুইবার খেলেছিলেন। ১৮৯০-৯১ মৌসুমে জোহেন্সবার্গে কারি কাপের খেলায় কিম্বার্লির বিপক্ষে দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেঞ্চুরি লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র একরানের জন্যে এ মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। ট্রান্সভালের প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানের পাশাপাশি ২/২৭ পান। খেলায় তিনি ৭৫ রান খরচায় দুই উইকেট পেয়েছিলেন। এ খেলার মাধ্যমেই অশির ক্রিকেট খেলায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন আর্থার অশি। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠিত টেস্টের মাধ্যমে প্রথম অংশ নেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন আর্থার অশি। দলের বাদ-বাকী সদস্যদের ন্যায় তিনিও দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যায়ে তার দল পোর্ট এলিজাবেথে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে অংশ নিয়েছিল।

১৯ বছরে ১ দিন বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে অংশ নেয়ার ফলে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছিলেন। নিজস্ব ১৯তম জন্মদিনের একদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নিলেও খুব কমই প্রভাব ফেলেছিলেন।

দুই সপ্তাহ পর দ্বিতীয় টেস্টেও স্বীয় স্থান বজায় রেখেছিলেন তিনি। তবে, অন্যান্য অনেকের মতো তিনিও অভিজ্ঞতাহীন ছিলেন ও শক্ত প্রতিপক্ষীয় দলের বিপক্ষে তেমন সুন্দর ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করতে পারেননি। মেজর ওয়ারটনের দলের বিপক্ষে চারটি ইনিংসে অংশ নিয়েছিলেন। সর্বমোট ষোলো রান তুলতে সমর্থ হয়েছিলেন। সফরকারী দল খুব সহজেই জয় পেয়েছিল। তন্মধ্যে, কেপটাউনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের স্লো লেফট আর্ম স্পিনার জনি ব্রিগসের বলে বোল্ড হন। ব্রিগস দলের সাতজনকে বোল্ড করেন ও তৎকালীন টেস্টে রেকর্ড হিসেবে ইনিংসে ৮/১১ পান ও খেলায় ২৮ রান খরচায় ১৫ উইকেট দখল করেছিলেন।

বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ

সম্পাদনা

দক্ষিণ আফ্রিকান পদাতিক ডিভিশনে যোগ দেন। কর্পোরাল পদবী ধারণ করেছিলেন।[] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম রণাঙ্গনে মোতায়েন ছিলেন। ১৯১৮ সালে জার্মানির বসন্ত অভিযানে তিনি নিহত হন। মৃত্যুকালীন তার রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এছাড়াও, উইজডেনে তাকে ঘিরে কোন স্মরণীকা প্রকাশ করা হয়নি।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬ 
  3. "Friday 19 April 1918 We Lost 847"। ২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৯ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
  • World Cricketers – A Biographical Dictionary by Christopher Martin-Jenkins published by Oxford University Press (1996)
  • The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877–1977) compiled and edited by Bill Frindall published by Headline Book Publishing (1995)

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা