আর্কাডিয়ার ২য় ঈপিটাস
গ্রিক পুরাণে, ঈপিটাস (Aepytus) ( প্রাচীন গ্রিক : Αἵπυτος) ছিলেন আর্কাডিয়ার রাজাএবং হিপ্পোথুয়াসের পুত্র।
পূর্বপুরুষ
সম্পাদনাঈপিটাসের পিতামহ সারসিয়ন ছিলেন অর্কোমেনাসের রাজা আর্গিনাসের পুত্র আগামিডিসের। সার্সিয়নের পুত্র ছিলেন হিপ্পোথুয়াস। ক্যালডনীয় শূকর বধের জন্য মেলিজার যে বীরদের একটি দল পরিচালনা করেছিলেন তার মধ্যে হিপ্পোথুয়াস ছিলেন। পরবর্তিতে ট্রয়ের যুদ্ধে আর্কাডিয়ার রাজা আগাপিনর গ্রিকদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ফিরে আসার সময় তিনি সাইপ্রাসের তীরের নিকট ঝড়ে আটকা পড়েন এবং ফলে তিনি আর্কাডিয়ায় ফিরে না এসে সাইপ্রাসেই পাফস নামে এক নতুন নগর স্থাপন করে সেখানে থেকে যান। রাজা আগাপিনর আর্কাডিয়ায় ফিরে না আসার ফলে হিপ্পোথুয়াস আর্কাডিয়ার রাজা হন। হিপ্পোথুয়াসের মৃত্যুর পর তার পুত্র দ্বিতীয় ঈপিটাস আর্কাডিয়ার রাজা হন।[১][২]
পুরাণ
সম্পাদনাআগামেমনন পুত্র ওরেস্টেস যখন এক ওরাকল বা ভবিষ্যৎকথকের কথা শুনে মাইসিনি ত্যাগ করে আর্কাডিয়ায় বসতি স্থাপন করেন, তখন ঈপিটাস আর্কাডিয়ার রাজা ছিলেন। মান্টিনিয়ায় একটি মন্দির ছিল যার নিয়ম অনুসারে কোন মরণশীল মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। ঈপিটাস এই নিয়ম না মেনে মন্দিরে প্রবেশ করলে তিনি তৎক্ষণাৎ অন্ধ হয়ে যান, এবং খুব দ্রুত মৃত্যু বরণ করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন তার পুত্র সিপসেলাস। পরবর্তীতে সিপসেলাসের নাতির নামও ঈপিটাস রাখা হয়।[৩]
পুরাণ অনুসারে ঈপিটাস বিওটিয়া অঞ্চলের অরকোমেনাস এর রাজা অরকোমেনাস, প্রেসবন প্রমুখ রাজার বংশধর। বিওটিয়ার মত ঈপিটাসের রাজ্য আর্কাডিয়াতেও "অর্কোমেনাস" নামে একটি প্রাচীন শহর ছিল যা থুসিডাইডিসের বর্ণনায় উঠে এসেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের মাধ্যমে এই নগরের ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।[৪] বিওটিয়ার অরকোমেনাসের সাথে পার্থক্য করার জন্য একে আর্কাডীয় অরকোমেনাস বলা হয়। পুরাণ অনুসারে ঈপিটাস যে ম্যান্টিনিয়ার মন্দিরে প্রবেশের কারণে মারা যান, সেই ম্যান্টিনিয়ার নিকটেই এই প্রাচীন নগরীর অবস্থান ছিল।
টীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- পৌষানিয়াস, গ্রীসের বিবরণ সহ ইংরেজি অনুবাদ ডাব্লুএইচএস জোন্স, লিট। ডি, এবং এইচএ অর্মেরোড, এমএ, ৪ খণ্ডে প্রকাশিত। কেমব্রিজ, এমএ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস; লন্ডন, উইলিয়াম হাইনম্যান লিমিটেড 1918। পার্সিয়াস ডিজিটাল লাইব্রেরিতে অনলাইন সংস্করণ
- পৌষানিয়াস, গ্র্যাসিয়া বর্ণন। ৩ খণ্ড, লাইপজিগ, টুবনার 1903। পার্সিয়াস ডিজিটাল লাইব্রেরিতে গ্রীক পাঠ্য উপলভ্য ।