আরেভাষে উপভাষা
আরেভাষে (কন্নড়: ಅರೆಭಾಷೆ, আরেভাসে) বা আরেগনাড় বা গৌড়া কন্নড় হল কন্নড়ের একটি উপভাষা যা মূলত মাদিকেরি, সোমওয়ারপেট এবং কোডাগু জেলার কুশালনগর তালুক, সুলিয়া, দক্ষিণ কন্নড় জেলার তালুক অঞ্চলে এবং ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর ও মহীশূর জেলায় গৌড়া সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। ভারতের কেরালা রাজ্যের কাসারগড় জেলার বান্দাদকায় আরেভাষে-কে গৌড়া কন্নড়ও বলা হয়।[১][২] ভাষাটি কর্ণাটক রাজ্য সরকার দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে এবং আরেভাষে অঞ্চলের সংস্কৃতি ও সাহিত্য সংরক্ষণের জন্য ২০১১ সালে একটি একাডেমি গঠন করেছে যার নামকরণ করা হয়েছে কর্ণাটক আরেভাষে সংস্কৃতি মথু সাহিত্য একাডেমী। এটি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড়া দ্বারা সমর্থিত।[৩][৪][৫][৬]
ইতিহাস
সম্পাদনাআরেভাষের প্রায় ৫০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে, এটি দ্রাবিড় ভাষার বডগা ভাষার খুব কাছাকাছি একটি ভাষা।[১] একটা সময় ছিল যখন[৭] ভোক্কালিগা গৌড়া সম্প্রদায় ইগুরু থেকে এসে দক্ষিণ কন্নড় ও কোড়গু জেলা এবং এছাড়াও কেরালা রাজ্যের কাসারগড় জেলায় বসবাস শুরু করেন। এই পরিবারগুলির মধ্যে অনেকগুলি তালাকাদু গঙ্গার সময় থেকে (২০০-১০০৪ খ্রিস্টাব্দ) কোড়গুতে বসতি স্থাপন করেছিল।[১] তারপর তারা কানারি তুলুভাষী লোকেদের মধ্যে বসতি স্থাপন করতে ম্যাঙ্গালোর-উদুপি (দক্ষিণ কন্নড়-উদুপি) অঞ্চল থেকে কুর্গ (কোদাগু)-এ চলে আসেন।[৮]
আর এই অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় যোগাযোগের ভাষা হিসেবে আরেভাষেতে কথা বলে।[৯][১০]
ভৌগোলিক বন্টন
সম্পাদনাআরেভাষে প্রধানত কর্ণাটক রাজ্যে কেন্দ্রীভূত। দক্ষিণ কন্নড়, কর্ণাটকের কোড়াগু জেলা এবং কেরালার কাসারগড় জেলায় আরেভাষে ব্যবহারকারী পাঁচ লক্ষেরও বেশি লোক রয়েছে যেখানে কয়েক শতাব্দী ধরে আরেভাষী ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে। তারা এখন সারা ভারতে বিশেষ করে মহানগর শহর মুম্বাই, বেঙ্গালুরু এবং অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা কেন্দ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিসিসি দেশ এবং ভারতের বাইরের অন্যান্য স্থানেও আরেভাষীগারা প্রচুর সংখ্যায় রয়েছে।[১১][১২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Arebase: A dialect rooted in cultural harmony"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ১ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Kodavas and Arebhashe Gowdas are like kith and kin: Rangayana Director"। Star of Mysore। ১৬ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২১।
- ↑ paniyadi, gururaj (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "This language academy a shame for linguists"। Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Oct 20, Deepthi Sanjiv / TNN / Updated। "Mangaluru: Academy begins work on Arebhashe dictionary | Mangaluru News"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২১।
- ↑ Gowda, K. Kushalappa (১৯৭০)। Gowda Kannada। Annamalai University,Department of Linguistics, Annamalai Nagara, Tamilnadu,1970।
- ↑ Gowda, K. Kushalappa (১৯৭২)। A Grammar of Kannada: Based on the Inscriptions of Coorg, South Kanara and North Kanara Dts.100 to 1400 A.D.। Annamalai University, Department of Linguistics।
- ↑ Gowda, Puttur Anantharaja (২০১৫)। In Pursuit of Our Roots। Tenkila Publications।
- ↑ Valase, Sangarsha, Samanvaya By Purushothama Bilimale, Akruthi Publication Mangaluru, 2019 Pg: 216
- ↑ Girish, Kolyada (২০১৫)। Hingara, Samputa 1,Sanchike 1। Karnataka Arebhase Samskrithi Mathu Sahitya Academy।
- ↑ Shailaja, A. C. (২০১৪)। "Kodavaru mattu Kodagina arebhashe gowdara samskruti toulanika adhyayana" (Kannada ভাষায়)। Kuvempu Institute of Kannada Studies, University of Mysore।
- ↑ "Language in India"। languageinindia.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Arebhashe : Language with rich cultural history"। News Karnataka। ২৫ আগস্ট ২০২১। ২৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।