আরাফাত রহমান কোকো

জিয়াউর রহমান ও খালেদাজিয়া'র ছোট ছেলে
(আরাফাত রহমান থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আরাফাত রহমান (১২ আগস্ট ১৯৬৯ - ২৪ জানুয়ারি ২০১৫) হলেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া[] ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র।[] তিনি কোকো নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।[]

আরাফাত রহমান
জন্ম(১৯৭০-০৮-১২)১২ আগস্ট ১৯৭০
মৃত্যু২৪ জানুয়ারি ২০১৫(2015-01-24) (বয়স ৪৫)
মৃত্যুর কারণহৃদরোগে আক্রান্ত
সমাধিবনানী কবরস্থান, ঢাকা
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীশর্মিলা রহমান
সন্তানজাহিয়া রহমান (কন্যা) জাফিয়া রহমান (কন্যা)
পিতা-মাতা
আত্মীয়তারেক রহমান (ভাই)
তৈয়বা মজুমদার (নানী)
খুরশীদ জাহান হক (খালা)
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন (খালাতো ভাই)
সাইফুল ইসলাম ডিউক (কাজিন)
সাঈদ এস্কান্দার (মামা)
মাহবুব আলী খান (তালুই)

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

আরাফাত রহমান কোকো ১২ আগস্ট ১৯৬৯ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। কোকো পরিবারসহ প্রথম গ্রেফতার হন ১৯৭১ সালের ২ জুলাই পাকিস্তান সরকারের হাতে। মুক্তি পান ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে।

শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন বিএএফ শাহীন স্কুলে[] এরপর বাবা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে যোগ দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের হাল ধরলে মা তাকে পাঠিয়ে দেন চাচার কাছে যুক্তরাজ্যে। এখান থেকেই তিনি ও লেভেল শেষ করে আমেরিকা চলে যান। আমেরিকা থেকে এ লেভেল শেষ করেন। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে সিভিল এভিয়েশনে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন করেন।[]

দ্বিতীয়বার পরিবারসহ ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হন।[] তিনি ২০০৮ সালে ১৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বসবাস ও চিকিৎসা করছিলেন।

ক্রীড়া সংগঠক

সম্পাদনা

তিনি ২০০২-২০০৫ সনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।[] এই সময় বিসিবির গেমস ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।[] এছাড়া ক্রীড়া সংঘ ওল্ড ডিওএইচ এর চেয়ারম্যান ছিলেন। যুক্ত ছিলেন সিটি ক্লাবের সাথেও।

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের রূপকার তিনি।[] তাঁর মৃত্যুতে শোক জানায় বিসিবি ও কোয়াব।[১০]

পারিবারিক জীবন

সম্পাদনা

আরাফাত রহমান শর্মিলা রহমানকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে হয় যাদের নাম জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান।[১১]

মৃত্যু

সম্পাদনা

কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া জাতীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।[][১২]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Ali, S. Mahmud (২০১০-০৯-৩০)। Understanding Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৫৫। আইএসবিএন 9780231701433। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১২ 
  2. Selections from Regional Press (ইংরেজি ভাষায়)। দক্ষিণ এশিয়া: ইনস্টিটিউট অব রিজিওনাল স্টাডিজ। ২০০৮। 
  3. "Khaleda Zia's self-exiled son dies in Malaysia"Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৪, ২০১৫ 
  4. "কোকো ভাই"। ২০২৪-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "হৃদয়ে কোকো ভাই"। ২০১৭-১২-০২। 
  6. "কোকো মারা গেছেন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬ 
  7. "High performance BCB"দ্য ডেইলি স্টার। জুলাই ১৩, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০২১ 
  8. "Development running dry?"দ্য ডেইলি স্টার। জুলাই ১৩, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০২১ 
  9. "Koko & commission"দ্য ডেইলি স্টার। জুলাই ১৩, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০২১ 
  10. "ICL and our cricket"দ্য ডেইলি স্টার। জুলাই ১৩, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০২১ 
  11. "দুই মেয়েকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় ফিরে গেলেন কোকোর স্ত্রী"প্রথম আলো। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। 
  12. "আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সারা দেশে সভা-মিলাদ মাহফিল আজ"দৈনিক ইনকিলাব। ২৪ জানুয়ারি ২০১৬।