আরব লিজিওন
আরব লিজিওন (আল জাইশ আল আরাবি) ছিল বিশ শতকের প্রথমভাগে ট্রান্সজর্ডান ও জর্ডানের নিয়মিত সামরিক বাহিনী।
আরব লিজিওন Arab Legion (الجيش العربي) | |
---|---|
الجيش العربي | |
সক্রিয় | ২২ অক্টোবর ১৯২০–২৫ মার্চ ১৯৫৬ |
দেশ | জর্ডান |
আনুগত্য | ট্রান্সজর্ডান আমিরাত জর্ডান হাশেমি রাজতন্ত্র |
ধরন | সেনাবাহিনী |
আকার | ১৫০ (১৯২০ সালে) ১২,০০০ (১৯৪৯ সালে) ২২,০০০ (১৯৫৬ সালে) |
গ্যারিসন/সদরদপ্তর | জারকা |
পৃষ্ঠপোষক | রাজা |
বার্ষিকী | ১০ জুন ১৯১৭: আরব বিদ্রোহ ২২ অক্টোবর ১৯২০: আরব লিজিওনের প্রতিষ্ঠা ২৫ মে ১৯৫৬: ব্রিটিশ অফিসারদের পদচ্যুতি |
যুদ্ধসমূহ | সিরিয়া-লেবানন অভিযান (১৯৪১) ইঙ্গ-ইরাকি যুদ্ধ (১৯৪১) লাতরুনের যুদ্ধ (১৯৪৮) জেরুজালেমের যুদ্ধ (১৯৪৮) |
কমান্ডার | |
(১৯২০-১৯৩৯) | ক্যাপ্টেন ফ্রেডেরিক গেরারড পেক |
(১৯৩৯-১৯৫৬) | জেনারেল জন বেগোট গ্লাব |
উল্লেখযোগ্য কমান্ডার | কর্নেল জে ডব্লিউ হেকেট, জুনিয়র |
প্রতিষ্ঠা
সম্পাদনাট্রান্সজর্ডানের নিয়ন্ত্রণ লাভের পর ১৯২০ সালের অক্টোবর যুক্তরাজ্য ১৫০ জন লোক নিয়ে একটি সেনাদল গঠন করে। এটিকে "মোবাইল ফোর্স" বলা হত। ক্যাপ্টেন ফ্রেডরিক গেরারড পেক এই বাহিনী দায়িত্ব পান। অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশক্তির হুমকি মোকাবেলা করার জন্য এই বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।[১] এই বাহিনী জারকাকে নিজেদের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। লোকবলের ৮০ শতাংশ স্থানীয় চেচেনদের দ্বারা পূরণ করা হয়।[২]
অটোমান সামরিক বাহিনী কাজ করেছে এমন আরবদের এতে যোগ দেয়। এর ফলে লোকবল ১০০০ এ পৌছায়। ১৯২৩ সালের ২২ অক্টোবর পুলিশকেও লিজিওনের সাথে যুক্ত করা হয়। এসময় তারা ট্রান্সজর্ডান আমিরাতের অধীনে কাজ করে। এই নতুন বাহিনীকে আল জাইশ আল আরাবি বলা হত। কিন্তু দাপ্তরিকভাবে ইংরেজি শব্দ আরব লিজিওন বলেই সব সময় পরিচিত ছিল। আরব লিজিওন ব্রিটেন কর্তৃক আর্থিক সাহায্য লাভ করে ও ব্রিটিশ অফিসাররা এর নেতৃত্ব দেয়।[৩] এই বাহিনীকে একটি পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয় যাতে ট্রান্সজর্ডানের বিভিন্ন গোত্রে মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় ও জেরুজালেম-আম্মান সড়ককে সুরক্ষা প্রদান করা যায়।
১৯২৬ সালের ১ এপ্রিল আরব লিজিওন থেকে বাছাই করা ব্যক্তিদের নিয়ে ট্রান্সজর্ডান সীমান্ত বাহিনী গঠিত হয়। এটি ১৫০ জন লোক নিয়ে গঠিত হয়েছিল এবং তাদের অধিকাংশই ট্রান্সজর্ডানের সড়কগুলোতে অবস্থান নেয়। এসময় আরব লিজিওনের লোকবল ৯০০ তে নেমে আসে এবং মেশিনগান, গোলন্দাজ ও যোগাযোগের জন্য সৈন্যের ঘাটতি পড়ে।
১৯৩৯ সালে জন বেগোট গ্লাব যিনি গ্লাব পাশা বলে পরিচিত, আরব লিজিওনের কমান্ডার হন। মেজর জেনারেল আবদুল কাদির পাশা আল জুনদি তার ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। তারা দুজন এই বাহিনী সুপ্রশিক্ষিত আরব বাহিনীতে রূপান্তর করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আরব লিজিওন অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে ভূমধ্যসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যে লড়াই করে। এসময় বাহিনীতে ১৬০০ জন সৈনিক ছিল।
ইঙ্গ-ইরাকি যুদ্ধ ও সিরিয়া-লেবানন অভিযানে আরব লিজিওন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দুটিতে মিত্রশক্তি জয়ী হয়েছিল।
বিজয় কুচকাওয়াচে তিনজন উচ্চপদস্থ অফিসার অংশ নেন। তারা হলেন, মেজর জেনারেল আবদুল কাদির পাশা আল জুনদি, কর্নেল বাহজাত বে তাব্বারা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ সাদকাই বে।
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইলী যুদ্ধ
সম্পাদনাআরব লিজিওন ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। সব মিলিয়ে এতে ৬,০০০ জন লোক ছিল। আরব লিজিওনের সামরিক দলে ৪,৫০০ জন লোক রেজিমেন্ট আকারের চারটি একক ব্যাটেলিয়ানে বিন্যস্ত ছিল। প্রত্যেকটির আলাদা সাজোয়া যান স্কোয়াড্রন ছিল এবং সাতটি স্বাধীন কোম্পানি সেসাথে অতিরিক্ত সেনা ছিল। রেজিমেন্টগুলো দুইটি ব্রিগেডে সংগঠিত ছিল। প্রথম ব্রিগেডে প্রথম ও তৃতীয় রেজিমেন্ট এবং তৃতীয় ব্রিগেডে দ্বিতীয় ও চতুর্থ রেজিমেন্ট থাকত। সেসাথে প্রতিটি ২৫-পাউন্ডারের দুটি গোলন্দাজ ব্যাটারিও ছিল। ১৯৪৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সজর্ডান ফ্রন্টিয়ার ফোর্স বিলুপ্ত করা হয় ও সদস্যদেরকে আরব লিজিওনের সদস্য করা হয়। প্রথমে গ্লাবের মাধ্যমে কাজ করা হলেও এসময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল হওয়া ব্রিগেডিয়ার নরমান লেশ মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দেন।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kenneth Pollack, Arabs at War, Council on Foreign Relations/University of Nebraska Press, 2002, p.267
- ↑ John Pike। "THE CHECHEN CHRONICLES ?98"। Globalsecurity.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৩।
- ↑ Avi Shlaim (2007), Lion of Jordan: The Life of King Hussein in War and Peace, Allen Lane, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭১৩৯-৯৭৭৭-৪, p.17
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Dupuy, Trevor N, Elusive Victory, The Arab-Israeli Wars, 1947–1974, Hero (1984)
- Farndale, Sir Martin, History of the Royal Regiment of Artillery, The Years of Defeat, 1939–41, Brassey’s (1996)
- Glubb, John Bagot, The Arab Legion, Hodder & Stoughton, London (1948)
- A. Isseroff, Kfar Etzion Remembered: A History of Gush Etzion and the Massacre of Kfar Etzion, 2005.
- I. Levi, Jerusalem in the War of Independence ("Tisha Kabin" – Nine Measures – in Hebrew) Maarachot – IDF, Israel Ministry of Defence, 1986. আইএসবিএন ৯৬৫-০৫-০২৮৭-৪
- Pal, Dharm, Official History of the Indian Armed in the Second World War, 1939-45 - Campaign in Western Asia, Orient Longmans (1957)
- Roubicek, Marcel, Echo of the Bugle, extinct military and constabulary forces in Palestine and Trans-Jordan 1915, 1967, Franciscan (Jerusalem 1974)
- Avi Shlaim (2007). Lion of Jordan: The Life of King Hussein in War and Peace, Allen Lane. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭১৩৯-৯৭৭৭-৪
- P.J. Vatikiotis, (1967). Politics and the Military in Jordan: A Study of the Arab Legion, 1921-1957, New York, Praeger Publishers. ISBN
- The Arab Legion (Men-at-arms) (Paperback) by Peter Young, 48 pages, Osprey Publishing (15 Jun 1972) আইএসবিএন ০-৮৫০৪৫-০৮৪-৫ and আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫০৪৫-০৮৪-২
- Jordan – A Country Study, U.S. Library of Congress