আয়ারল্যান্ড–ফিলিপাইন সম্পর্ক
আয়ারল্যান্ড–ফিলিপাইন সম্পর্ক হল আয়ারল্যান্ড এবং ফিলিপাইন রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক। কুয়ালালামপুরে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড নিজেদেরকে ফিলিপাইনে, আর ডাবলিনে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে ফিলিপাইন নিজেদেরকে আয়ারল্যান্ডে প্রতিনিধিত্ব করলেও অর্থনৈতিক কারণে ২০১২ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়।
আয়ারল্যান্ড |
ফিলিপাইন |
---|
ইতিহাস
সম্পাদনাসাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড—ফিলিপাইন সম্পর্ক বলতে ফিলিপাইনে আইরিশ ক্যাথলিক মিশনারিদের পাড়ি জমানোর ঘটনাই বোঝানো হত।[১] ১৮৬২ সালের দিকে আইরিশ ক্যাথলিক অর্ডার, যেমন সিস্টার্স অব চ্যারিটি ফিলিপাইনে তাদের শাখা খোলে।[২] চীনে মেনুথ মিশন ১৯২৯ সালে ফিলিপাইন পর্যন্ত বর্ধিত হয়।[৩]
১৯৮৪ সালে এ দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ১৯৮০-এর দিকে আয়ারল্যান্ড সরকার ফিলিপাইনে অবস্থিত মিশনারিগুলোর কথা চিন্তা করে ফিলিপাইনে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করার কতাহ ভাবে।[৪] ক্যাথলিক বিশ্বাসের মতন একটি শক্তিশালী সাধারণ বিশ্বাসের উপস্থিতির কারণে ফিলিপাইনকে "এশিয়ার তটরেখায় অবস্থিত এক ধরনের ক্যাথলিক আয়ারল্যান্ড" হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।[৫] ফিলিপাইনের অনেকেই আইরিশ মিশনারি কর্তৃক শিক্ষিত হওয়ার এ দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।[৬]
ফিলিপাইনের কনস্যুলেট/আয়ারল্যান্ডে দূতাবাস
সম্পাদনাফিলিপাইনের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এনরিক এ. ম্যানালোর মাধ্যমে ফিলিপাইন আয়ারল্যান্ডে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করে। ম্যানালো রাষ্ট্রপতি মাইকেল ডি. হিগিন্সের কাছে ২০১৩ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি তার বৃত্তান্ত জমা দেন। ডাবলিনে অবস্থিত ফিলিপাইনের কনস্যুলেটটি অনারারি কনস্যুলটির প্রধান মার্ক ক্রিস্টোফার কংডন, এবং তা ডে-টু-ডে ভিত্তিতে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক কর্তৃক পরিচালিত হয়।
২০০৯ সালের ৩০শে মে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল-আর্য এরিয়েল আবিদিলায় ফিলিপাইনের প্রথম আবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।[৭] ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর পরপরই ২০০৯ সালে একাধিক নতুন দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস চালু করার ঘোষণা দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল চাকরি পাবার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যে ফিলিপিনোরা যেতে চায়, তাদের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
রাষ্ট্রদূত আবাদিলা ২০০৯ সালের ২৯শে জুন আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি ম্যারি ম্যাকআলিজ ডাবলিনের ফিনিক্স পার্কে অনুষ্ঠিত আরাস আন উয়াচতারেইনের রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা কক্ষের অনুষ্ঠানে প্রত্যয়ী পত্র উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রদূত আবাদিলার সাথে তার দুই কন্যা ম্যারিয়েনেট ও ক্যাথারিন এবং ফিলিপিনো মিশনের অন্যান্য সদস্যও ছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন রাষ্ট্রদূত মিলিটারি অভ্যর্থনা লাভ করেন।[৮] ২০১২ সালের ১৬ই জুলাই আয়ারল্যান্ডের ফিলিপাইন দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায় এবং ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে অনারারি কনস্যুল অফিস চালু করা হয়।[৯]
তথ্য়সূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Catholic Church press releases"। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Translocations: Migration and Social Change, An Inter-Disciplinary Open Access E-Journal,ISSN Number: 2009-0420.
- ↑ "The Cambridge companion to modern Irish culture By Joseph N. Cleary, Claire Connolly"।
- ↑ "Dáil debates website"। ৭ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Fitzgerald, K. (2000) Job Scene. Dublin.
- ↑ "Nursing the western world, The Irish Times, January 2008"। দ্য আইরিশ টাইমস। জানুয়ারি, ২০০৮। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "Office of the President of the Republic of the Philippines"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Filipino Forum (The Filipino Voice in Ireland), Vol. 08, No. 25, 2009
- ↑ "philippine Embassy Dublin"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
টেমপ্লেট:আয়ারল্যান্ডের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:ফিলিপাইনের বৈদেশিক সম্পর্ক