আমিনা আল সাইদ
আমিনা আল সাইদ বা আমিনা সাইদ আরবি: أمينة السعيد) (জন্ম-২০ জানুয়ারী, ১৯১৪ মৃত্যু- ১৩ আগস্ট, ১৯৯৫) নামেও পরিচিত; ছিলেন একজন মিশরীয় সাংবাদিক এবং প্রথম সারির নারী অধিকার কর্মী। তিনি মিশরের প্রথম মহিলা পত্রিকা হবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম এই মহিলা পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন।[১] তিনি আল-মুসাওয়ার পত্রিকায় কর্মী সাংবাদিক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন এবং অবশেষে এই প্রকাশনার সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছিলেন।
আমিনা আল সাইদ | |
---|---|
أمينة السعيد | |
আল-মুসাওয়ার জার্নালের কর্মী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৩৫ – মৃত্যু | |
আল-মুসাওয়ার জার্নালের সম্পাদক | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৬ | |
আল-মুসাওয়ার জার্নালের সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৬ – ১৯৮৫ | |
প্যান-আরব লীগ মহিলা ইউনিয়নের মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৮ – ১৯৬৯ | |
মিশরীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট | |
কাজের মেয়াদ (১৯৫৯ -৭০) | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২০ জানুয়ারী, ১৯১৪ কায়রো |
মৃত্যু | ১৩ আগস্ট ১৯৯৫ | (বয়স ৮১)
মৃত্যুর কারণ | কর্কট রোগ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় |
যে জন্য পরিচিত | সাংবাদিক, সাপ্তাহিক মহিলা পত্রিকা হবা প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম সারির নারী অধিকার কর্মী |
পুরস্কার |
|
জীবনী
সম্পাদনাসাইদ ১৯১৪ সালের ২০শে জানুয়ারী মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে মিশরীয় নারীবাদী ইউনিয়নের যুব শাখায় যোগদান করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হন। সেই সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণকারী প্রথম মহিলাদের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন।[৩] তিনি ১৯৩৫ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।[৪] সাইদ পর্দা প্রথার বিরোধী ছিলেন এবং পর্দা ছাড়াই প্রকাশ্যে টেনিস খেলতেন।[৫] ১৯৩৫ সালে স্নাতক হওয়ার পর, তিনি আল-মুসাওয়ার জার্নালে কর্মী হিসাবে যোগ দেন এবং কলাম লিখতে শুরু করেন। এই কাজ তিনি মৃত্যুর কিছুদিন আগে পর্যন্তও চালিয়ে গেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি এই প্রকাশনার সম্পাদক হন, এবং তিন বছর পরে ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি পত্রিকা প্রকাশনা গোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। [৬]
সাইদ ১৯৫৪ সালে আরবি ভাষার সাপ্তাহিক মহিলা পত্রিকা হবা প্রতিষ্ঠা করেন।[৭][৮]এটি কায়রো থেকে প্রকাশিত হত। এতে নারীবাদী দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, পারিবারিক বিষয়, ফ্যাশন, সাজসজ্জা এবং গৃহ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত খবর থাকত। এই পত্রিকার আদলে আরব দেশের অনেক নারী পত্রিকা তৈরি হয়েছিল। তিনি দেশের প্রথমদিকের পূর্ণকালীন নারী সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।[৯] ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তিনি প্যান-আরব লীগ মহিলা ইউনিয়নের মহাসচিব ছিলেন। এছাড়া তিনি মিশরীয় সাংবাদিকদের ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট (১৯৫৯ -৭০) হয়েছিলেন। তিনি বহু সংখ্যক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মিশরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১০]
তিনি যে পুরস্কারগুলি পেয়েছিলেন তার মধ্যে ছিল ফার্স্ট অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক (১৯৭৫), ইউনিভার্সাল স্টার (১৯৭৯) এবং ন্যাশনাল আর্টস অ্যাওয়ার্ড (১৯৮২)।[১১]
সাইদ কর্কট রোগে (ক্যান্সার) আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সালের ১৩ই আগস্ট কায়রোতে ৮১ বছর বয়সে মারা যান।[১][৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Darwish, Adel (৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫)। "Obituary: Amina al-Said"। The Independent।
- ↑ "Frauendatenbank fembio.org"। www.fembio.org (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৬।
- ↑ Kinnear, Karen L. (২০১১)। "Aminah Al-Said"। Women in Developing Countries: A Reference Handbook। Santa Barbara, Calif.: ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 141–142। আইএসবিএন 978-1-59884-426-9।
- ↑ ক খ "Amina el-Saeed; Egyptian Feminist, 81"। The New York Times। ১৫ আগস্ট ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Talhami, Ghada (২০১৩)। "Said, Aminah Al-"। Historical Dictionary of Women in the Middle East and North Africa। Lanham, Md.: Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 286–287। আইএসবিএন 978-0-8108-6858-8।
- ↑ "Amīnah al-Saʿīd"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Hatem, Mervat F. (২০০৫)। Gender and Citizenship in the Middle East (1st সংস্করণ)। Syracuse, NY: Syracuse Univ. Press। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 978-0-8156-2864-4।
- ↑ Janet K. Boles; Diane Long Hoeveler (১ জানুয়ারি ২০০৪)। Historical Dictionary of Feminism। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-0-8108-4946-4। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Mohamed Younis (২০০৭)। "Daughters of the Nile: The Evolution of Feminism in Egypt"। Washington and Lee Journal of Civil Rights and Social Justice। 13 (2)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "BIOGRAPHY OF WOMEN" (পিডিএফ)। ২৯ জুন ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ "Amīnah al-Saʿīd"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।