আমার প্রাণের স্বামী

২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র

আমার প্রাণের স্বামী পি এ কাজল পরিচালিত ২০০৭ সালে প্রণয়ধর্মী-নাট্য চলচ্চিত্র।[] কমল সরকারের কাহিনীতে চিত্রনাট্য লিখেছেন পি এ কাজল। ঋদ্ধি টকিজের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন নিশা তাসনিম শেখ। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শাকিব খান, শাবনূরনিপুণ আক্তার[][] এছাড়া পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন ওমর সানি, ডন, সাদেক বাচ্চু, রিনা খান, সুব্রত বড়ুয়া, কাবিলা প্রমুখ।

আমার প্রাণের স্বামী
আমার প্রাণের স্বামী
পরিচালকপি এ কাজল
প্রযোজকনিশা তাসনিম শেখ
রচয়িতাকমল সরকার (সংলাপ)
চিত্রনাট্যকারপি এ কাজল
কাহিনিকারকমল সরকার
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারশওকত আলী ইমন
চিত্রগ্রাহকমজিবুল হক ভূঁইয়া
সম্পাদকচিশতী জামাল
প্রযোজনা
কোম্পানি
ঋদ্ধি টকিজ
মুক্তি
  • ১০ আগস্ট ২০০৭ (2007-08-10)
স্থিতিকাল২ ঘন্টা ১৮ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

চলচ্চিত্রটি ২০০৭ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশে মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শাবনূর ৯ম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন এবং শাকিব খান তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মনোনীত হন।

কাহিনি

সম্পাদনা

চৌধুরী গ্রুপের মালিক ছনিয়া (শাবনূর)। ছনিয়া ছোটবেলা নিজের মাকে নিজেরই বাবা দ্বারা খুন হতে দেখেন। এতে ছনিয়ার মনে পুরুষ সম্পর্কে খারাপ  ধারণা তৈরি হয়। যার কারণে সে পুরুষ জাতির ওপর সর্বদা ঘৃণা প্রকাশ করেন। একসময় ছনিয়া জানতে পারেন যে এক সপ্তাহের মধ্যে ছনিয়া বিয়ে না করলে ছনিয়ার দাদুর উইল অনুযায়ী চৌধুরী গ্রুপের সব সম্পত্তি ট্রাস্টে চলে যাবে। ছনিয়া দুশ্চিন্তায় পড়েন এবং সম্পত্তি রক্ষার জন্য একজন অসহায় ছেলেকে বিয়ে করা ও তাকে স্বামীর অধিকার না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

অন্যদিকে ড্রাগসের ব্যবসা করার জন্য বস্তি দখল করতে চান সিকান্দার (ওমর সানি)। কিন্তু সিকান্দারকে বস্তি দখল করতে বাধা দেন রাজু (শাকিব খান)। ফলে তাদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয়, ঘটনাস্থলে সিকান্দারের পিস্তলের গুলিতে একজন নিহত হন। পুলিশ এসে রাজুর হাতে পিস্তল দেখে সন্দেহের জেরে রাজুকে গ্রেপ্তার করেন। সিকান্দারের চক্রান্তে ফেঁসে যান রাজু, আদালত রাজুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। রাজু নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে ছনিয়ার কাছে আশ্রয় নেয়। ছনিয়া রাজুকে কৌশলে বিয়ে করেন এবং রাজুকে স্বামীর অধিকার দিতে অস্বীকার করেন। শুরু হয় ছনিয়ার সাথে রাজুর সংগ্রাম। এরপর রাজুর প্রতি ছনিয়ার ধীরে ধীরে ভালোবাসা বাড়তে থাকে। এদিকে ছনিয়ার মামা (সাদেক বাচ্চু) ছনিয়ার সম্পত্তির মালিক হতে চান। ছনিয়ার মামাতো ভাই জুম্মন (ডন) রাজুকে হত্যা করার জন্য সিকান্দারের দলে যোগ দেন। সিকান্দার ও জুম্মন ছনিয়াকে তুলে নিয়ে যান। জুম্মন জোরপূর্বক ছনিয়াকে দলিলে সাক্ষর করতে বলেন। এমন সময় ছনিয়াকে উদ্ধার করতে রাজু চলে আসেন। শুরু হয় মারপিট, জুম্মনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজুর বান্ধবী নুপুর (নিপুণ আক্তার)। ফলে রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে সবাইকে কুপিয়ে জখম করেন। তারপর পুলিশ এসে সিকান্দার ও জুম্মনসহ সব সন্ত্রাসীকে আটক করেন।

অভিনয়ে

সম্পাদনা

সঙ্গীত

সম্পাদনা

আমার প্রাণের স্বামী চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন। গীত রচনা করেছেন কবির বকুল

গানের তালিকা

সম্পাদনা
নং.শিরোনামকণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."তুমি আমার প্রাণের স্বামী"সামিনা চৌধুরীকুমার বিশ্বজিৎ:
২."আগে যদি জানতাম তবে মন ফিরে চাইতাম"ফেরদৌস ওয়াহিদসাবিনা ইয়াসমিন:
৩."ও রে আমার পাগল মন"এন্ড্রু কিশোররুনা লায়লা৪:৪৭
৪."সারা বাংলা খুঁজি তোমারে"বেবি নাজনীন ও অমি:
৫."পাখি আমার কথা শুনে না"মমতাজ বেগম:
৬."বরিশাইল্যার মন বুঝলিনা ওরে ঢাকাইয়া"  

পুরস্কার

সম্পাদনা
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নির্মাতা পি এ কাজল আর নেই"নিউজনেক্সটবিডি ডটকম। ২৫ মে ২০১৭। ২৮ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ 
  2. "আসছে শাকিব ও শাবনূরের ছবি"যায়যায়দিন। ১৩ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ 
  3. "শাবনুর আপা আমার জন্য শুভ : নিপুণ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা