আমজাদ খান চৌধুরী
আমজাদ খান চৌধুরী (১০ নভেম্বর ১৯৩৯ - ৮ জুলাই ২০১৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা এবং প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা। তিনি দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।[১][২]
আমজাদ খান চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৮ জুলাই ২০১৫ | (বয়স ৭৫)
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পেশা | প্রধান নির্বাহী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ |
কর্মজীবন | ১৯৮১-২০১৫ |
দাম্পত্য সঙ্গী | সাবিহা আমজাদ |
সন্তান | আজার খান চৌধুরী, আহসান খান চৌধুরী, ডা. সেরা হক, উজমা চৌধুরী |
প্রারম্ভিক জীবন
আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতার নাম আলী কাশেম খান চৌধুরী ও মাতার নাম আমাতুর রহমান।[৪] ঢাকার নবকুমার ইন্সস্টিটিউট থেকে তার শিক্ষা জীবন শুরু । পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি ও অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক লাভ করেন।[৫]
কর্মজীবন
১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। মেজর জেনারেল হিসেবে আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান।[৪] ১৯৮১ সালে তিনি রংপুরে টিউবওয়েল তৈরির কারখানা হিসেবে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি, যার ব্র্যান্ড নাম প্রাণ।[৬]
আমজাদ খান চৌধুরী মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসসি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশন প্রোগ্রাম (ইউসেপ) প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[৭]
ব্যক্তিগত জীবন
আমজাদ খান চৌধুরী সাবিহা আমজাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪] এই দম্পতির চার সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৮]
মৃত্যু
তিনি ৮ জুলাই ২০১৫ বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৯] এর আগে শারীরিক অসুস্থতার জন্যে একমাস যাবৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ,[১০] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,[১১] বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান,[১২] শোক প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "প্রাণ-আরএফএলের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরীর ইন্তেকাল"। prothom-alo.com।
- ↑ "প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। দৈনিক সংগ্রাম। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "প্রাণ-আরএফএলের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "প্রাণ ছড়ালেন সারা বিশ্বে"। বাংলাদেশ প্রতিদিন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "পেনশনের টাকাই ছিল সম্বল"। mzamin.com। ১৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "প্রাণ গ্রুপের প্রাণপুরুষের চিরবিদায়"। দৈনিক কালের কণ্ঠ।
- ↑ "প্রাণের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান মারা গেছেন"। prothom-alo.com।
- ↑ "প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নতুন চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী"। ইত্তেফাক। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "বাংলা নিউজ - প্রাণ-আরএফএল স্বপ্নদ্রষ্টা আমজাদ খান চৌধুরী আর নেই"। banglanews24.com। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক"। জাগো নিউজ।
- ↑ "আমজাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক"। banglanews24.com। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভর্নরের শোক"। জাগো নিউজ।