আভা আলম
আভা আলম (১৯৪৭ - ১৯৭৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ধ্রুপদি সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত শিক্ষিকা। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন।[১]
আভা আলম | |
---|---|
জন্মনাম | আভা দে |
জন্ম | মাদারীপুর, পূর্ব বাংলা, পাকিস্তান অধিরাজ্য | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭
মৃত্যু | ২১ নভেম্বর ১৯৭৬ | (বয়স ২৮)
ধরন | রাগ (সংগীত), ধ্রুপদ, উচ্চাঙ্গ সংগীত |
পেশা | উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত শিক্ষক |
কার্যকাল | ১৯৫৯-১৯৭৬ |
প্রারম্ভিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর জেলা শহরে আভা আলম জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হরিপদ দে। তার প্রকৃত নাম আভা দে। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে গুনীব্যক্তিত্ব তরিকুল আলমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং আভা আলম নামে পরিচিতি লাভ করেন।[২]
আভা কিশোর বয়সে মিঠুন দে এবং তার পিতার নিকট থেকে সঙ্গীতের জ্ঞান অর্জন করেন।[১] তিনি যখন অষ্টম শ্রনীর ছাত্রী ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে থেকে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র থেকে সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। ঢাকায় টেলিভিশন সার্ভিস চালু হলে তিনি টিভিতে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশন করে বিপুল প্রশংসা আর্জন করেন।[২] স্বামীর চাকরির সুবাদে বিভিন্ন সময়ে তিনি করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, হায়দ্রাবাদ বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীত পরিবেশন করে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি লাহোর ও করাচির বেতার এবং টেলিভিশনেও তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। সেখানে থাকাকালে তিনি ওস্তাদ আজহার মজিদের নিকট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে দীক্ষা লাভ করেন। ঐ সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী রোশন আরা বেগমের সান্নিধ্যও লাভ করেন। নিখিল পাকিস্তান সঙ্গীত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে একঘণ্টা ব্যাপী "পুরিয়া ধানেশ্রী" রাগ সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত সকল শ্রতাদের বিস্ময়াভিভূত করেছিলেন।[১]
তিনি আতিক সঙ্গীত একাডেমির অধ্যক্ষ, সেনানিবাস সঙ্গীত একাডেমির সহ-অধ্যক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরীক্ষার অন্যতম পরিক্ষক ছিলেন।[২]
মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ নভেম্বর তার অকাল মৃত্যু ঘটে।[১]