আব্দুল মতিন চৌধুরী (পদার্থবিদ)
আবদুল মতিন চৌধুরী (১ মে ১৯২১ - ২৪ জুন ১৯৮১) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও পদার্থবিদ ছিলেন। [১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আবদুল মতিন চৌধুরী | |
---|---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর উপাচার্য | |
কাজের মেয়াদ ১৩ এপ্রিল ১৯৭৩ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ | |
পূর্বসূরী | মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী |
উত্তরসূরী | মুহম্মদ শামসউল হক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নন্দনপুর গ্রাম, লক্ষ্মীপুর জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ১ মে ১৯২১
মৃত্যু | ২৪ জুন ১৯৮১ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৬০)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাজিয়া মতিন চৌধুরী |
শিক্ষা | পিএইচডি (বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞান) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
পেশা | বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, প্রকৃতিবিজ্ঞানী, অধ্যাপনা |
শিক্ষা
সম্পাদনামতিন চৌধুরী ১৯৩৭ সালে নোয়াখালী জেলার অরুণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯৩৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দ্বিতীয়বার পিএইচডি শেষ করেছেন ১৯৬১ সালে। [১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাচৌধুরী পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগে আবহাওয়াবিদ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এরপরে তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রশিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৫২ সালে অধ্যাপক এবং ১৯৬২-১৯৬৭ সালে বিভাগের প্রধান হন। তিনি ১৯৬৭-১৯৭০-এর সময় পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সদস্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চিফ সায়েন্টিস্ট এবং ১৯৭০-১৯৭১-এর সময় রাষ্ট্রপতির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [১] চৌধুরী এশীয় অঞ্চলের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্য বাছাই কমিটির সদস্য ছিলেন। [১] ১৯৭৩ সালে চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন যেখানে তিনি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। [১]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাচৌধুরীর বিয়ে হয়েছিল রাজিয়া মতিন চৌধুরীর সাথে (১৯২৫-২০১২)। [২]
সম্মাননা
সম্পাদনা- সদস্য, নোবেল কমিটি
- প্রথম বোস অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Islam, Sirajul (২০১২)। "Chowdhury, Abdul Matin"। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ ।
- ↑ "Razia Matin no more"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৫-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১১।