আব্দুল মজিদ লুধিয়ানভি
মাওলানা আব্দুল মজিদ লুধিয়ানভি (৫ জুন ১৯৩৪ - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) (উর্দু: مولانا عبدالمجید لدھیانوی) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত ও লেখক। তিনি আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুওয়াতের ৭ম আমির এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান-এর নির্বাহী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
মাওলানা আব্দুল মজিদ লুধিয়ানভি | |
---|---|
مولانا عبدالمجید لدھیانوی | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | (বয়স ৮০)
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
আন্দোলন | আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত |
যেখানের শিক্ষার্থী | জামিয়া কাসিমুল উলুম |
পেশা | ইসলামি পণ্ডিত, লেখক |
৭ম আমির, আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত | |
কাজের মেয়াদ ২০১০ – ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | |
পূর্বসূরী | খাজা খান মুহাম্মদ |
উত্তরসূরী | আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার |
৪র্থ সভাপতি, ইকরা রওজাতুল আতফাল ট্রাস্ট | |
পূর্বসূরী | সৈয়দ নাফিস আল-হুসাইনি |
উত্তরসূরী | আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | মুফতি মাহমুদ সৈয়দ নাফিস আল-হুসাইনি |
পেশা | ইসলামি পণ্ডিত, লেখক |
প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনালুধিয়ানভি ১৯৩৪ সালে লুধিয়ানা জেলার সালেমপুর জাগরাৱন তহসিলের একটি আর্য পরিবারে হাফিজ মুহাম্মদ ইউসুফের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন ধার্মিক ব্যক্তি এবং মধ্যবিত্ত জমিদার ও কৃষক। তিনি সালেমপুরের সরকারি হাই স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি তার পিতামাতার সাথে পাকিস্তানে চলে যান এবং শোরকোটে বসতি স্থাপন করেন। তিনি সেখানে মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৪৯ সালে তিনি তোবা টেক সিংয়ের জামিয়া দারুল উলুম রাব্বানিয়ায় ধর্মীয় শিক্ষালাভের জন্য ভর্তি হন। দুই বছর পর তিনি ফয়সালাবাদে মাদরাসা আশরাফুর রশীদে ভর্তি হন। এদিকে, তিনি কামালিয়ায় বসবাসকারী একটি পরিবারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তিনি জামিয়া কাসিমুল উলুম মুলতানে ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে দারসে নিজামি পাঠ্যক্রমে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির ছাত্র মাওলানা আব্দুল খালিক এবং মুফতি মাহমুদের নিকট সহিহ মুসলিম, বুখারি ও তিরমিজি অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি, মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি এবং মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী তার অন্যতম শিক্ষক।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনা২০১০ সালে খাজা খান মুহাম্মদের প্রয়াণের পর তিনি আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত-এর আমির নির্বাচিত হন।[২] তিনি ইকরা রওজাতুল আতফাল ট্রাস্টের চতুর্থ সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
রচনাবলী
সম্পাদনা- তিবইয়ানুল ফুরক্বান (৬ খণ্ড)
- খুতুবাতে হাকিমুল আসার (১২ খণ্ড)
মৃত্যু
সম্পাদনা২০১৫ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি মুলতানে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার একটি অনুষ্ঠানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।[৪] তার জানাযার নামাজ পড়ান সালিমুল্লাহ খান।[২] নওয়াজ শরীফ (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী),[৫] শাহবাজ শরীফ (তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী) এবং মাওলানা ফজলুর রহমান তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছিলেন।[৬]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ APP (২০১৫-০২-০২)। "Maulana Abdul Majeed Ludhyanvi passes away"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮।
- ↑ ক খ গ ٹاؤن, جامعہ علوم اسلامیہ بنوری। "حضرت مولانا عبدالمجید لدھیانوی رحمۃ اللہ علیہ کی رحلت | جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن"। www.banuri.edu.pk (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮।
- ↑ "School Leadership"। اقرأ روضۃ الاطفال ٹرسٹ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-১৫। ২০২১-০৪-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮।
- ↑ "مولانا عبدالمجید لدھیانوی ملتان میں وفاق المدارس کے سیمینار کے دوران انتقال کر گئے"। Daily Pakistan (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮।
- ↑ "Prime Minister's Office, Islamabad, Pakistan"। pmo.gov.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮।
- ↑ "Maulana Majeed Ludhianvi dies during Wafaq's seminar"। The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮।