আব্দুল আজিজ (উসমানীয় সুলতান)

উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান

আব্দুল আজিজ (উসমানীয় তুর্কি: عبد العزيز/ʻAbdü'l-ʻAzīz, তুর্কি: Abdülaziz; ৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩০  – ৪ জুন ১৮৭৬) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩২ তম সুলতান।[] বড়ভাই সুলতান প্রথম আবদুল মজিদের মৃত্যুর পর তিনি ১৮৬১ সালে সিংহাসনে আসীন হন।[]

প্রথম আব্দুল আজিজ
عبد العزيز
উসমানীয় সুলতান
ইসলামের খলিফা
আমিরুল মুমিনিন
খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন
সুলতান আব্দুল আজিজ, ১৮৬৭ সালে যুক্তরাজ্য ভ্রমণের সময়
৩২ তম উসমানীয় সুলতান (বাদশাহ)
২৪তম উসমানীয় খলিফা
রাজত্ব২৫ জুন ১৮৬১  – ৩০ মে ১৮৭৬
পূর্বসূরিপ্রথম আবদুল মজিদ
উত্তরসূরিপঞ্চম মুরাদ
জন্ম৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩০
ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
মৃত্যু৪ জুন ১৮৭৬(1876-06-04) (বয়স ৪৬)[]
সিরাগান প্রাসাদ, ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
সমাধি
সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের সমাধি, ইস্তাম্বুল
স্ত্রীদুরুনেভ কাদিন
হায়রানিদিল কাদিন
ইদেদিল কাদিন
নেসরিন কাদিন
গেভহেরি কাদিন
পূর্ণ নাম
আব্দুল আজিজ খান বিন মাহমুদ[]
রাজবংশউসমানীয় রাজবংশ
পিতাদ্বিতীয় মাহমুদ
মাতাপেরতেভনিয়াল সুলতান
ধর্মসুন্নী ইসলাম
তুগরাআব্দুল আজিজ স্বাক্ষর

ইস্তাম্বুলের ইয়ুপ প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করা আব্দুল আজিজ পরিপূর্ণ উসমানীয় শিক্ষা লাভ করেন। তবে তিনি পাশ্চাত্যের আধুনিকতা এবং যান্ত্রিক সভ্যতার অগ্রগতির গুণমুগ্ধ ছিলেন। তিনি ১৮৬৭ সালের গ্রীষ্মে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় রাজধানী সফর করেন, যেমন- লন্ডন, প্যারিসভিয়েনা। প্রকৃতপক্ষে তিনিই প্রথম উসমানীয় সুলতান যিনি পশ্চিম ইউরোপ সফর করেন।[]

উসমানীয় নৌবাহিনীর (যার অধীনে ১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসি নৌবাহিনীর পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নৌবহর ছিল) প্রতি ব্যাপক আগ্রহের পাশাপাশি আব্দুল আজিজ উসমানীয় সাম্রাজ্যের সব নথিপত্র, ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বিষয়াবলি সংকলন ও প্রামাণ্যকরণের উদ্যেগ নেন। তাঁর সাহিত্যেও আগ্রহ ছিল এবং নিজে শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন প্রতিভাবান রচয়িতা ছিলেন। তাঁর রচিত সংগীতগুলো উসমানীয় রাজবংশের আরো কয়েকজনের রচিত সংগীতের সাথে London Academy of Ottoman Court Music কর্তৃক সংকলিত European Music at the Ottoman Court নামক অ্যালবামে স্থান পেয়েছে।[] সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে তিনি ১৮৭৬ সালের ৩০ মে মন্ত্রীবর্গ ও সামরিক বাহিনীর চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র (প্রথম আবদুল মজিদের পুত্র) পঞ্চম মুরাদকে সিংহাসনে বসানো হয়। এর ৬ দিন পর সিরাগান প্রাসাদে আব্দুল আজিজের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তাঁর লাশ একটি জলাধারে পড়ে ছিল এবং সেটার পানি তার দুই হাতের কবজি কেটে আসা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সেসময় এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা ঘোষণা দেওয়া হলেও একে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে তাঁর আরেক ভাতিজা সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ কয়েকজন উসমানীয রাজন্যবর্গকে (যেমন মিধাত পাশা) এই মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি দেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Hoiberg, Dale H., সম্পাদক (২০১০)। "Abdülaziz" Encyclopædia Britannica। I: A-ak Bayes (15th সংস্করণ)। Chicago, IL: Encyclopædia Britannica Inc.। পৃষ্ঠা 21আইএসবিএন 978-1-59339-837-8 
  2. Garo Kürkman, (1996), Ottoman Silver Marks, p. 46
  3. Chambers Biographical Dictionary, আইএসবিএন ০-৫৫০-১৮০২২-২, page 2
  4. Britannica, Istanbul ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে: When the Republic of Turkey was founded in 1923, the capital was moved to Ankara, and Constantinople was officially renamed Istanbul in 1930.
  5. European Music at the Ottoman Court, London Academy of Ottoman Court Music. CD album released on 6 November 2000. ASIN: B0000542KD.