আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম
আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম ইবনে আকিল(আরবি:عبد اللہ بن مسلم بن عقیل) কারবালার অন্যতম শহীদ ছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন মুসলিম ইবনে আকিল; আলী বিন আবি তালিবের ভাই আকিল ইবনে আবু তালিব, অর্থাৎ হুসাইন ইবনে আলীর চাচাত ভাই।
আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম ইবনে আকিল | |
---|---|
(আরবি):عبد اللہ بن مسلم بن عقیل | |
জন্ম | আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম ৭ম হিজরী শতক |
মৃত্যু | ১০ মুহাররম ৬১ হিজরী/১০ অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ কারবালা |
সমাধি | ইরাক |
পিতা-মাতা | মুসলিম ইবনে আকিল রুকাইয়াহ বিনতে আলী বিন আবি তালিব |
কথিত আছে যে, তিনিই প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি আশুরার দিনে মহানবী(সা.)এর পরিবার থেকে শহীদ হয়েছিলেন।[১]
বংশ
সম্পাদনাবংশধরা: আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম ইবনে আকিল ইবনে আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম।
মাতা: রুকাইয়াহ বিনতে আলী বিন আবি তালিব [২][৩][৩]
কারবালায়
সম্পাদনাইবনে আ’সাম আল-কুফির পাশাপাশি আল-খুয়ারিজমি বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিমই সর্বপ্রথম শত্রুর সাথে লড়াই করার জন্য আবু তালিবের পরিবার যুদ্ধের জন্য বের হয়েছিলেন।[৪]
ইবনে শাহার আশুব বর্ণনা করেন, “আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম তিন বার আক্রমণ করে আটানব্বই জন দুশমনকে হত্যা করেন তারপর আমর ইবনে সাবিহ আস-সাইদাবি এবং আসাদ ইবনে মালিকের হাতে শহীদ হোন।”
আল-বালাযারী বলেছেন: “আমর ইবনে সাবিহ আস-সাইদাবী আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম ইবনে আকিলকে একটি তীর নিক্ষেপ করে তাকে তার ঘোড়া থেকে নামিয়ে দিয়েছিল এবং লোকদের তাকে হত্যা করতে বলে এবং লোকেরা তাকে হত্যা করে এবং সে বলে, আমি হুসাইনের পরিবারের একজনকে তীর দিয়ে আঘাত করে ঘোড়া থেকে নামিয়েছি, এই তীর তাঁর কপালে হাতসহ পেরেকের মতো সংযুক্ত হয়ে যায়।” [৫]
সামাবী বলেছেন: “তিনি আলী ইবনুল হুসাইনের পরে শহীদ হয়েছিলেন। আবু মাখনাফ এবং আল- মাদায়েনিও এই কথা বলেন এবং আবুল ফারাজ এর বিপরীতে বলেছেন।” [৫]
ত্ববরী তার ইতিহাস গ্রন্থে হামিদ ইবনে মুসলিম আল-আযদি থেকে বর্ণনা করেন,[৬]
“আমর আবদুল্লাহকে লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করলে তিনি তীর থেকে বাঁচতে কপালে হাত রেখেছিলেন তীর পেরেকের মতো তার হাতসহ কপালে গিয়ে আটকে যায়। তারপর আরেকটি তীর তার বুকে বিদ্ধ হলে তিনি পরে যান।”[৬]
মৃত্যু
সম্পাদনা১০ মুহাররম ৬১ হিজরী/১০ অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কারবালা যুদ্ধে শাহাদাত লাভ করেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- কারবালার শহীদদের তালিকা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ عبد اللہ بن مسلم بن عقيل ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে موسوعة عاشوراء
- ↑ السماوي، إبصار العين في أنصار الحسين (ع)، ص...
- ↑ ক খ محمدي الري شهري، موسوعة الإمام الحسين (ع)، ص160 -161.
- ↑ مع الركب الحسيني، ج4، ص 367.
- ↑ ক খ مع الركب الحسيني، ج4، ص 368.
- ↑ ক খ إبصار العين للسماوي نقلاً عن تاريخ الطبري، ج4، ص341؛ المفيد، الإرشاد، جلد2، ص107.