আবু বকর সিদ্দিকী

বাংলাদেশী বিচারক

আবু বকর সিদ্দিকী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত বিচারক।[]

আবু বকর সিদ্দিকী
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

কর্মজীবন

সম্পাদনা

দুর্নীতি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তিন বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছেন বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও সিদ্দিকী।[] মঈ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা দুর্নীতি মামলার বাদী আওয়ামী লীগ সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।[] ২০০৩ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিরুদ্ধে দায়ের করা যুদ্ধজাহাজ ক্রয় দুর্নীতির মামলাটি সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা খারিজ করে দেন।[]

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযুক্ত করে দায়ের করা নিকো দুর্নীতির মামলাটি বাতিল করে দেন বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও সিদ্দিকী।[] ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ওয়াশিংটন ডিসিতে লবিস্ট নিয়োগের জন্য দুর্নীতি দমন ব্যুরো কর্তৃক দায়ের করা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ দুর্নীতির মামলাটি সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা বাতিল করে দেন।[] ২০০১ সালে কেরানিগঞ্জ - এ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গাড়িবহরে হামলার দায়ে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র খুড়তুতো ভাই শেখ সেলিম বিরুদ্ধে করা একটি মামলা বাতিল করে দেন সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা।[]

দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত দুটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্ত্রী শেখ হেলাল জামিন দিয়েছেন সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা।[] ২০১০ সালের জুন মাসে, সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সাতটি ফৌজদারি মামলায় আগাম জামিন দেন।[][১০]

২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জমান সাথে সিদ্দিকী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিযুক্ত হন।[১১]

সিদ্দিকী ২৯ জুলাই ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১২]

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সিদ্দিকী বাংলাদেশ আইন কমিশন সদস্য নিযুক্ত হন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

সিদ্দিকীর ছোট ভাই হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৩]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Ex-justice Siddiquee made law commission member"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  2. "HC scraps Shamim's jail sentence"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  3. "HC asks Mockbul to surrender in tribunal"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  4. "Frigate case against Hasina quashed"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  5. "Niko graft case against Hasina quashed"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৩-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  6. "Bepza case against Hasina quashed"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  7. Staff Correspondent (২০১০-০৬-০৪)। "Case against Sheikh Selim quashed"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  8. Staff Correspondent (২০১০-০৫-১৪)। "Sheikh Helal, wife granted HC bail"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  9. "Law and Our Rights"www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  10. "Shah Alam appeals against conviction"www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  11. "3 judges appointed to Appellate Division"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  12. Sarkar, Ashutosh (২০২১-০৩-২১)। "Judge shortage slows down Supreme Court divisions"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  13. "Bangladesh appoints Hasan Foez Siddique as chief justice"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬