আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ
আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ (১৯১৫ - ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলাম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। সাধারণ্যে তিনি ছারছীনার পীর হিসাবেই অধিক পরিচিত।[১] তিনি ছারছিনা দরবার শরীফের ২য় পীর ছিলেন।[২] ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।[৩] শিক্ষায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে তাকে “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[৪]
ছারছিনার পীর আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯১৫ ছারছিনা গ্রাম, পিরোজপুর জেলা, বরিশাল |
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ |
সমাধিস্থল | দরবার শরীফ, পিরোজপুর জেলা |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
যে জন্য পরিচিত | ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ইবতেদায়ী শিক্ষা আন্দোলন |
মুসলিম নেতা | |
পূর্বসূরী | নেছারউদ্দীন আহমদ |
উত্তরসূরী | শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন | |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮০) |
পুরস্কার ও সম্মাননা
শিক্ষা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৫][৬][৭] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[৪]
সমালোচনা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন তিনি মানবতা বিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার কথা বিভিন্ন সরকারি নথিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে; “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র” (৮ম খন্ড) এবং “একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়” গ্রন্থদ্বয়ে তার অপরাধের প্রত্যক্ষ বিবরণ দেয়া আছে।[৩] ১৯৭২ সালের দালাল আইনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর তিনি মুক্তি পান।[৮]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধে শর্ষীনার পীরের ভূমিকা: প্রতিবেদক শওকত মিল্টনকে প্রাণনাশের হুমকি"। প্রিয়ডটকম অনলাইন। ২০১৫-০৪-১৫। ২০১৫-০৬-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ রিপোর্টার, স্টাফ। "ছারছীনার পীর শাহ আবু জাফর ছালেহ (রহ.) মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৩।
- ↑ ক খ "বিতর্কিতদের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল হচ্ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২০১৬-০৭-০৭।
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৭-০৯-০৯। ২০১৭-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ সানজিদা খান (২০১২)। "জাতীয় পুরস্কার"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Nurul, Momen (১৯৮০)। Bangladesh, the First Four Years: From 16 December 1971 to 15 December 1975। Bangladesh Institute of Law & International Affairs। ওসিএলসি 499570532।