আবু কুবাইস পাহাড়
আবু কুবাইস পাহাড় (আরবি: جَبَل أَبُو قُبَيْس \ جَبَل أَبِي قُبَيْس, প্রতিবর্ণীকৃত: জাবাল আবু ক্বুবাইস / জাবাল আবি ক্বুবাইস) , মসজিদুল হারাম তথা ক্বাবা শরীফের পূর্ব পাশের একটি পর্বত এবং এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭৫ মিটার উপরে। [১]
আবু ক্বুবাইস পর্বত | |
---|---|
আবি ক্বুবাইস পর্বত | |
![]() A view of Mecca Clock Tower from the side of Jabal Abi Qubays | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ৪২০ মিটার (১,৩৮০ ফুট) ![]() |
স্থানাঙ্ক | ২১°২৫′২২″ উত্তর ৩৯°৪৯′৪৪″ পূর্ব / ২১.৪২২৭৮° উত্তর ৩৯.৮২৮৮৯° পূর্ব |
নামকরণ | |
স্থানীয় নাম | |
ভূগোল | |
অবস্থান | মক্কা, মক্কা প্রদেশ, হেজাজ, সৌদি আরব |
মূল পরিসীমা | Hijaz Mountains |
![](http://up.wiki.x.io/wikipedia/commons/thumb/6/60/Mount_Abu_Kubais%2C_Ajyad%2C_Mecca_24231%2C_Saudi_Arabia_-_panoramio.jpg/220px-Mount_Abu_Kubais%2C_Ajyad%2C_Mecca_24231%2C_Saudi_Arabia_-_panoramio.jpg)
নামকরণ
সম্পাদনাএটিকে এ কারণে নামকরণ করা হয় যে, আবু কুবাইস নামক এক ব্যক্তি এ পাহাড়ে অবস্থান করেছিলেন। সে জন্যই এ নাম। ইসলামী ধারণা মতে আবু কুবাইস পর্বত পৃথিবীর প্রথম পর্বত হিসাবে পরিচিত। ইবনে আব্বাস (রা) হতে দুর্বল সনদে বর্ণিত আছে, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, “প্রথম ক্বাবা ঘর থেকে পৃথিবীর মাটি সম্প্রসারণ হয়। আর প্রথম পাহাড় হিসাবে আল্লাহ পাক এ পাহাড়কে জমিনে সৃষ্টি করেন এবং এ থেকে পৃথিবীর অন্যান্য পাহাড় বিস্তৃতি লাভ করে।”
এ পাহাড়ের আরেক নাম “আল-জাবালুল আমিন” বা নিরাপদ পাহাড়। কেননা নুহ নবীর সময় মহাপ্লাবনের সময় এ পাহাড়ে আল্লাহর নির্দেশে হজরে আসওয়াদকে লুকায়িত রাখা হয়েছিল। পরে ইবরাহিম (আ) যখন ক্বাবা ঘর নির্মাণ করলেন তখন আবু কুবাইস ইবরাহিম নবীকে আহব্বান করে বললেন, ক্বাবার রুকন এই স্থান পর্যন্ত। কেহ কেহ বলেন, জিবরিল ফেরেশতা এ পাহাড় থেকে হজরে আসওয়াদকে নিয়ে আসেন এবং ইবরাহিম নবীকে দেন। কেহ কেহ আরও বলেন, “ আরবিতে (اقتبس) অর্থ সংগ্রহ করা। যেহেতু এ পাহাড় থেকে হজরে আসওয়াদকে সংগ্রহ করা হয়েছিল তাই এ নাম। [২]
পাহাড়টি বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনা- পৃথিবীর প্রথম পর্বত।
- নূহের বন্যার সময় আল্লাহ পাক এর ভিতর হজরে আসওয়াদকে সংরক্ষণ করেছিলেন।
- এ পাহাড়ের পাথর দিয়ে ক্বাবার ভিত্তি ও ঘর নির্মাণ করা হয়।
- সাফা পাহাড়ের পাদদেশ থেকে যে সা'ই শুরু হয় তা কালো পাথরের রুকনের বিপরীতে আবু কুবাইসের নীচে অবস্থিত।
- চাঁদ বিভক্ত হওয়ার ঘটনার সাক্ষী এ পাহাড়, যেখানে নবী এ পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। [৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনা- সৌদি আরবের পাহাড়ের তালিকা ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ذاكرة المكان، أيمن إبراهيم فودة، مكة المكرمة، 1424هـ/2004م، ص15.
- ↑ "10 جبال تشكل هويتي مكة الجغرافية والتاريخية"। ২০১৮-০৯-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৮। Authors list-এ
|প্রথমাংশ1=
এর|শেষাংশ1=
নেই (সাহায্য) - ↑ "«أبو قبيس».. جبل يشهد على تاريخ الإسلام"। ২০১৯-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৮।