আবুল কালাম মজুমদার
অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার ছিলেন একজন বাংলাদেশী জাতীয় রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সমাজসেবক ও জাতীয় সংসদ সদস্য।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার | |
---|---|
কুমিল্লা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | নুরুর রহমান |
কুমিল্লা-৯ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | এ কে এম আবু জাহিদ |
উত্তরসূরী | আ হ ম মোস্তফা কামাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কুমিল্লা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ২৫ আগস্ট ১৯৪৫
মৃত্যু | ৩১ অক্টোবর ১৯৯৪ হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, ঢাকা | (বয়স ৪৯)
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাতিনি ১৯৪৫ সালের ২৫ আগস্ট কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার মেহেরকুল দৌলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মিয়াজান মজুমদার ও মাতার নাম আতনেন নেছা মজুমদার। তিনি পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। পরিবারে সকলে ছোট বেলায় তাকে আবু বলে ডাকতো। পড়াশুনা শুরু করেন তার পিতা মিয়াজান মজুমদার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দৌলতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে প্রথমবিভাগে SSC পাশ করেন। তারপর ভর্তি হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। ১৯৬৪ সালে তিনি মেধা তালিকায় ১৪ তম স্থান অধিকার করে এইচএসসি পাশ করে। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতির উপর অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাপড়াশুনা শেষ করে তিনি নজরুল একাডেমিতে (পিপুলিয়া) প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে রাজনীতির সাথে পুরপুরি মনোযোগ দেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকায় থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে তিনি স্বেচ্ছা সেবক বাহিনির বৃহওর কুমিল্লা জেলার প্রধান ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৩ সালে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][২] তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সংসদে তার বক্তব্য তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় রাজপথে এবং সংসদে স্বৈরাচারি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি জাতীয় নেতায় পরিনত হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি কুমিল্লা জেলা ১৫ দলের আহ্বায়ক ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কার্য্যকরি পরিষদের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং লন্ডনে এক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সমবায় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লালমাই ডিগ্রী কলেজ, বাগমারা মহিলা কলেজ,বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ কুমিল্লা জেলায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন। জীবনের শেষ সময় এসে আবুল কালাম মজুমদার মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেন।[৩][৪]
মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৯৪ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার"। www.deshsangbad.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার স্বরণে লালমাই সরকারি কলেজে দৃষ্টি নন্দন স্মৃতি মঞ্চ উদ্বোধন"। dailycomillanews.com। ২০১৮-১০-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]