আবির ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত এক প্রকারের রঞ্জক পদার্থ। এটি গুঁড়ো হিসাবেই ব্যবহার হয়, তরল ভাবে নয়। হোলি খেলার সময় এটি ব্যবহার করা হয়। হোলির পূর্বে বাজারে এটি বিক্রি হয়। ফাল্গুন মাসে (হোলি খেলার সময়) ব্যবহার তাই এর অন্য নাম ফাগ

কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক, দুই রকমের উৎস হতেই আবির তৈরি করা হয়। অপরাজিতা, গাঁদা, দোপাটি — এসব ফুলের নির্যাস হতে আবির তৈরি করা হয়। এই রঞ্জককে অনেক সময় অভ্রের গুঁড়োর সঙ্গে মিশানো হয়, যার দরুন এটি জ্বলজ্বল করে।

হোলির দিন বয়স্করা আশির্বাদ হিসাবে ছোটদের মাথায় আবির দেন। ছোটরা বড়দের পায়ে দেয়। তারপর সবাই সবার গালে মুখে আবির মাখিয়ে দেয়। অনেক সময় চোখে আবির ঢুকে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। আবির সাধারণতঃ বিষাক্ত নয়। কিন্তু অভ্র বা কোন কেলাসাকার গুঁড়ো ব্যবহার হলে তাতে চোখের কর্নিয়াতে আঁচড় লাগতে পারে। এই জন্যে আবিরের তৈরির সময় রং মেশাবার জন্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম গুঁড়োর মধ্যে ট্যাল্কম পাউডারের মত অক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার বাড়াবার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 
রাধাকৃষ্ণ

লোককথা অনুসারে কৃষ্ণ রাধার তুলনায় অনেক কালো বলে মায়ের কাছে অনুযোগ জানায়। এর ফলে কৃষ্ণের মা রাধার মুখে রং ছুড়ে মারে। হিন্দুবিশ্বাসমতে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হোলি উৎসবের প্রচলন শুরু হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Ayygari, S., “Audio recording review”, in University of Texas Press, Summer - Autumn, 2007

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা