আবদুল হাই পাহাড়পুরী
আবদুল হাই পাহাড়পুরী (জন্ম:১০ আগস্ট ১৯৪৮- মৃত্যু: ২৯ অক্টোবর ২০১৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জীর খলিফা ছিলেন।[১][২]
উস্তাযুল উলামা, মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১০ আগস্ট ১৯৪৮ পাহাড়পুর, কুমিল্লা |
মৃত্যু | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ | (বয়স ৬৮)
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
সন্তান | ৩ ছেলে, ৮ মেয়ে |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদীস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ |
যেখানের শিক্ষার্থী | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
জন্ম ও বংশ
সম্পাদনাতিনি ১৯৪৮ সালের ১০ আগস্ট কুমিল্লার পাহাড়পুর গ্ৰামে জন্মগ্ৰহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আখতারুজ্জামান পাহাড়পুরী। তার পিতা মাওলানা আখতারুজ্জামান পাহাড়পুরী হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ. খলীফা ছিলেন। তার মাতা কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানাধীন ধামতির প্রসিদ্ধ পীর সাহেবের কন্যা । মাওলানা আব্দুল হাই পাহাড়পুরী রহ. বংশগতভাবে বুজুর্গ পরিবার ছিল।
শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাপ্রাথমিক জীবনে তিনি পাহাড়পুর ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসা ও পরে জামিয়া কুরআনিয়া লালবাগে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের মুলতানের জামিয়া খায়রুল মাদারিসে এক বছর অধ্যয়ন করেছেন। মুলতান যাওয়ার আগে কিছুদিন তিনি ইউসুফ বিন্নুরীর দরসে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুহাম্মদ শফী উসমানী, মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি সহ প্রমুখ খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের সান্নিধ্যে ছিলেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনানূরীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে তিনি কর্মজীবনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে তিনি জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা, জামিয়া মুহাম্মদিয়ায়, মুসলিম বাজার মাদরাসা সহ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লালমাটিয়া মাদ্রাসায়ও শিক্ষকতা করেছেন এবং সহীহ বুখারীর পাঠদান করেছেন। লন্ডনের বর্তমান তাবলিগ জামাতের মারকাজ মসজিদ সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। মারকাজ মসজিদটি প্রতিষ্ঠার পরে ১ বছর ইমামতি ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পরিবার
সম্পাদনাতিনি মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর এর মেয়েকে বিবাহ করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ৮ মেয়ের জনক।
তাসাউফ
সম্পাদনাতিনি মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জীর খলিফা ছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। ঐ দিনই প্রায় রাত ১০ টায় কামরাঙ্গীর চর জামিয়া নূরীয়া মাদরাসার মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এবং নূরীয়া মাদরাসার গোরস্থানে দাফন করা হয়। এই খনজন্মা মনিষীর জানাজায় বিপুলসংখ্যক লোকসমাগম হয়,নূরীয়া মাদরাসা থেকে কুমিল্লা পারা পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়। তার শেষ গোসল দেন তারই খাদেম ইমরান হুসাইন হাবিবী, নোমান হুসাইন ও নূর আলম এবং জানাযার ইমামতি করেন তার মেজো ছেলে মাওলানা আবরারুজ্জামান পাহাড়পুরী
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দেশের শীর্ষ আলেম মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরীর ইন্তেকাল"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩১।
- ↑ "'দিওয়ানুল আজিজ' :নবীপ্রেমের নিদর্শন"। সমকাল। ২০২১-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩১।