আফতাবুল কাদের
শহীদ আফতাব কাদের (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ - মৃত্যু: ২৭ এপ্রিল, ১৯৭১) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। তার গেজেট নম্বর ২৯। [১]
আফতাব কাদের | |
---|---|
জন্ম | ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ লক্ষ্মীপুর জেলা |
মৃত্যু | ২৭ এপ্রিল, ১৯৭১ রাঙ্গামাটি জেলা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | সেনা সদস্য |
পরিচিতির কারণ | বীর উত্তম |
অফিস | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাআফতাবুল কাদেরের জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের টিওরি গ্রামে। তারা ছিলেন আট ভাই। বোন নেই। তিনি ভাইদের মধ্যে পঞ্চম। তার বাবার নাম ডঃ এম,আবদুল কাদের এবং মায়ের নাম রওশন আরা বেগম। [২]
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
সম্পাদনা১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ছুটিরত অবস্থায় পালিয়ে ক্যাপ্টেন কাদের রামগড়ে ১ নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। একটি বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে তিনি চট্টগ্রামের মহলছড়িতে যুদ্ধে যান। পাকিস্তানি কমান্ডোরা মিজো গেরিলাদের নিয়ে ২৭ এপ্রিল মহলছড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায় এবং এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। ক্যাপ্টেন কাদের গোলাগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছুটে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকেন, যাতে করে অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুবেষ্টনী থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। গোলাগুলির এক পর্যায়ে শত্রুর লাইট মেশিনগানের গুলিতে ক্যাপ্টেন কাদের শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও ফারুক (পরবর্তীতে এঁরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন্ড হন) এবং সিপাহি আব্বাস ক্যাপ্টেন কাদেরের মরদেহ রামগড়ে নিয়ে আসতে সমর্থ হন। সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।[৩]
স্বীকৃতি ও সম্মাননা
সম্পাদনামুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যাপ্টেন আফতাব কাদেরকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। [৪]
পাদটীকা
সম্পাদনা- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৪-০৭-২০১১ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। ঢাকা: জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ৬১। আইএসবিএন 9789843351449।
- ↑ "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"। ২০২০-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০৪।
- ↑ রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম (২০০৬)। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। অনন্যা প্রকাশনী। আইএসবিএন 984-412-033-0।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ১৭। আইএসবিএন 9789849025375।