আন-নুর গ্রেট মসজিদ পেকানবারু
আন-নূর গ্রেট মসজিদ পেকনবাড়ু, রিয়াউ, ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত একটি মসজিদ। ১৯৬৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৬৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মসজিদে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মুসুল্লী একত্রে নামাজ পড়তে পারে। মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পুরাতন মসজিদ। মসজিদটিতে মালয়, তুর্কি, আরবী এবং ভারতীয়সহ বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর ব্যবহার হয়েছে।
আন-নূর গ্রেট মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নী ইসলাম |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | পেকানবারু, রিয়াউ, ইন্দোনেশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ০°৩১′৩৬″ উত্তর ১০১°২৭′০৩″ পূর্ব / ০.৫২৬৭° উত্তর ১০১.৪৫০৮° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মালয়, ইসলামিক, উসমানীয় |
ভূমি খনন | ১৯৬৩ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৬৮ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৪৫,০০০ |
গম্বুজসমূহ | ১০ |
মিনার | ৪ |
ইতিহাস
সম্পাদনামসজিদটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল ১৮৬৮ সালের ২০ই অক্টোবর। মসজিদটি উদ্বোধন করেছিলেন রিয়াউয়ের রাজ্যপাল আরিফিন আহমদ। ২০০০ সালে এটি গভর্নর সালেহ জাজিতের সময় সংস্কার করা হয়েছিল এবং এর আয়তন ৪ হেক্টর থেকে ১২.৬ হেক্টরে বর্ধিত করা হয়েছে।
মসজিদটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত, উসুল আদ-দ্বীন স্টেট ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক স্টাডিজের (আইএআইএন) অনুষদের ক্যাম্পাস ছিল। সুলতান সায়ারিফ কাসিম স্টেট ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সুলতান সায়ারিফ কাসিম (ইউআইএন সুসকা) পেকানবাড়ু নামে নামকরণ করা হয়েছে।
স্থাপত্য
সম্পাদনাস্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিকোণ থেকে, আন-নূর মসজিদটি তাজমহলের অনুরূপ। মসজিদটি আইআর ডিজাইন করেছিলেন। ভবনটি তিন তলা বিশিষ্ট। শীর্ষ তলাটি প্রার্থনার জন্য এবং নিম্ন তলাগুলো অফিস এবং সভাকক্ষের জন্য ব্যবহৃত হয়। [১] উপরের অংশে বড় কক্ষ এবং একটি হল রয়েছে। নীচে বোর্ডের সচিবালয় এবং শ্রেণিকক্ষের স্থান রয়েছে। শিক্ষা পরিষেবাগুলির মধ্য আছে- প্লে-গ্রুপ, কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, জুনিয়র এবং সিনিয়র হাই স্কুল। গ্রন্থাগার এবং অন্যান্য সুবিধা যেমন- সভাকক্ষ, হল এবং অন্যান্য শ্রেণি অফিসের স্থান এই মসজিদে রয়েছে।
আরো দেখুন
সম্পাদনা- ইন্দোনেশীয় স্থাপত্য
- ইসলামী স্থাপত্য
- ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম
- ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলির তালিকা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Masjid Agung An-Nur, Masjid Kebanggaan Masyarakat Riau"। ১৭ জুলাই ২০১২। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৪।