আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোহাম্মদ ইউসুফের শতরানের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (জানুয়ারি ২০১৭) |
মোহাম্মদ ইউসুফ ( ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে ইউসুফ ইউহোনা নামে পরিচিত ছিলেন)[১] একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল এর সাবেক অধিনায়ক। তিনি শতরান করেছেন (১০০ বার তার অধিক রান) যথাক্রমে টেস্ট ক্রিকেটে ২৪টি এবং একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআইয়ে) ১৫টি। ২০১২ সালের জুনের হিসাব অনুযায়ী, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানি খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক শতরানের মালিক।[২] ২০১০ সালে কতিপয় একজন লেখকের ভাষ্যমতে তিনি সর্বকালের সেরা মিডল ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যা প্রদান করেন, যদিও সেরা দলের বিপক্ষে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রত্যাাশিত ফলাফল না করার প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও[৩] এবং ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার মতে, "শুধুমাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটের জন্য একটি আদর্শই নয়, বিশ্বজুড়ে যুব ক্রিকেটের জন্যও বটে"।[৪] ইউসুফ ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। যেখানে তিনি ৯টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকের দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬] ২০১২ সালের জুনের হিসাব অনুযায়ী, তিনি টেস্ট ক্রিকেটে এক বছরে সর্বাধিক রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন, যেখানে তিনি ২০০৬ সালের মৌসুমে ১১টি টেস্ট ম্যাচে ১,৭৮৮ রান করেন।[৭] এছাড়াও তিনি ২০০৬ সালে ৯টি আন্তর্জাতিক শতরান করেন, যেটি অবশ্য এক বছরে জন্য বিশ্ব রেকর্ডের মাইলফলক।[৮] ২০০৭ সালে তিনি উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন, ক্রিকেট বর্ষপঞ্জী উইজডে তাকে স্মার্টনেস উল্লেখ করেন এবং রানের জন্য ব্যস্ত ক্রিকেটার আখ্যায়িত করেন।[৯]
নির্দেশনা
সম্পাদনা| প্রতীক | অর্থ |
|---|---|
| * | অপরাজিত থাকা |
|
ম্যান অব দ্য ম্যাচ |
|
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক |
| বল | বল খেলেছেন |
| অবস্থান | ব্যাটিং অর্ডারের অবস্থান |
| ইনিংস | ইনিংস অব দ্যা ম্যাচ |
| টেস্ট | সিরিজের টেস্ট ম্যাচ খেলার সংখ্যা |
| স্ট্রাইক/রেট | ইনিংস চলাকালীন সময় স্ট্রাইক রেট |
| দে/বি/নি | দেশের মাঠে (দক্ষিণ আফ্রিকা), বিদেশ বা নিরপেক্ষ |
| তারিখ | ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ অথবা টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ |
| হার | দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজিত ম্যাচ |
| জয় | ক্ষিণ আফ্রিকার বিজয়ী ম্যাচ |
| ড্র | ড্র ম্যাচ |
| (ডি/এল) | ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি নির্ধারিত ফলাফল |
টেস্ট ক্রিকেটের শতকসমূহ
সম্পাদনা| ক্রঃ | স্কোর | বল | ম্যা/ন | প্রতিপক্ষ | অবস্থান | ইনিংস | স্ট্রা/রে | মাঠ | দে/বি/নি | তারিখ | ফলাফল |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | ১২০*
|
২০৬ | ৭ |  জিম্বাবুয়ে |
৫ | ২ | ৫৮.২৫ | গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর | দেশে | ১০ ডিসেম্বর ১৯৯৮ | ড্র |
| ২ | ১১৫ | ২৩৫ | ২০ |  ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৫ | ১ | ৪৮.৫৩ | কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন | বিদেশে | ১৮ মে ২০০০ | ড্র[১০] |
| ৩ | ১০৩* | ২৩২ | ২১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৫ | ১ | ৪৮.৯৪ | অ্যান্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড, সেন্ট জনস | বিদেশে | ২৫ মে ২০০০ | পরাজিত [১১] |
| ৪ | ১২৪ | ৩০৮ | ২৫ |  ইংল্যান্ড |
৫ | ২ | ৪০.২৬ | গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর | দেশে | ১৫ নভেম্বর ২০০০ | ড্র[১২] |
| ৫ | ১১৭ | ২৪২ | ২৭ | ইংল্যান্ড |
৫ | ১ | ৪৮.৩৫ | ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, করাচী | দেশে | ৭ ডিসেম্বর ২০০০ | পরাজিত [১৩] |
| ৬ | ২০৩ | ৪২৯ | ২৯ |  নিউজিল্যান্ড |
৫ | ২ | ৪৭.৩৭ | জেড স্টেডিয়াম, ক্রাইস্টচার্চ | বিদেশে | ১৫ মার্চ ২০০১ | ড্র[১৪] |
| ৭ | ১০২* | ২৪৩ | ৩৩ |  বাংলাদেশ |
৫ | ২ | ৪১.৯৮ | মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মুলতান | দেশে | ২৯ আগস্ট ২০০১ | বিজয়ী [১৫] |
| ৮ | ২০৪*
|
২৪৩ | ৩৫ | বাংলাদেশ |
৫ | ২ | ৮৩.৯৫ | চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম | বিদেশে | ১৬ জানুয়ারি ২০০১ | বিজয়ী [১৬] |
| ৯ | ১৪৬ | ২৭৬ | ৩৬ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৫ | ১ | ৫২.৯০ | রজাহ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, শারজাহ | নিরপেক্ষ | ৩১ জানুয়ারি ২০০১ | বিজয়ী [১৭] |
| ১০ | ১৫৯
|
২৮২ | ৪১ | জিম্বাবুয়ে |
৫ | ২ | ৫৬.৩৮ | কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে | বিদেশে | ১৬ নভেম্বর ২০০২ | বিজয়ী [১৮] |
| ১১ | ১১২ | ১৬৪ | ৪৯ |  ভারত |
৫ | ৩ | ৬৮.২৯ | মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মুলতান | দেশে | ১ এপ্রিল ২০০৪ | পরাজিত [১৯] |
| ১২ | ১১১
|
১৩৪ | ৫৫ |  অস্ট্রেলিয়া |
৫ | ১ | ৮২.৮৪ | মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন | বিদেশে | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ | পরাজিত [২০] |
| ১৩ | ১০৪ | ১৭৯ | ৫৮ | ভারত |
৪ | ২ | ৫৮.১০ | ইডেন গার্ডেন, কলকাতা | বিদেশে | ১৬ মার্চ ২০০৫ | পরাজিত [২১] |
| ১৪ | ২২৩
|
৩৭৩ | ৬২ | ইংল্যান্ড |
৪ | ২ | ৫৯.৭৮ | গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর | দেশে | ২৯ নভেম্বর ২০০৫ | বিজয়ী |
| ১৫ | ১৭৩ | ১৯৯ | ৬৩ | ভারত |
৪ | ১ | ৮৬.৯৩ | গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর | দেশে | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ | ড্র[২২] |
| ১৬ | ১২৬ | ১৭৯ | ৬৪ | ভারত |
৪ | ৩ | ৭০.৩৯ | ইকবাল স্টেডিয়াম, ফয়সালাবাদ | দেশে | ২১ জানুয়ারি ২০০৬ | ড্র [২৩] |
| ১৭ | ২০২
|
৩৩০ | ৫ | ইংল্যান্ড |
৪ | ২ | ৬১.২১ | লর্ড'স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন | বিদেশে | ১৩ জুলাই ২০০৬ | ড্র [২৪] |
| ১৮ | ১৯২ | ২৬১ | ৬৯ | ইংল্যান্ড |
৪ | ২ | ৭৩.৫৬ | হেডিংলে স্টেডিয়াম, লিডস | বিদেশে | ৪ আগস্ট ২০০৬ | পরাজিত [২৫] |
| ১৯ | ১২৮ | ২৩৬ | ৭০ | ইংল্যান্ড |
৪ | ২ | ৫৪.২৪ | ওভাল, লন্ডন | বিদেশে | ১৭ আগস্ট ২০০৬ | পরাজিত (Forfeit)[২৬][N ১] |
| ২০ | ১৯২ | ৩৩০ | ৭১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৪ | ২ | ৫৮.১৮ | গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, লাহোর | দেশে | ১১ নভেম্বর ২০০৬ | বিজয়ী [২৮] |
| ২১ | ১৯১
|
৩৪৪ | ৭২ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৪ | ৩ | ৫৫.৫২ | মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মুলতান | দেশে | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ | ড্র[২৯] |
| ২২ | ১০২
|
১৫৮ | ৭৩ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
৪ | ১ | ৬৪.৫৬ | জাতীয় স্টেডিয়াম, করাচী | দেশে | ২৭ নভেম্বর ২০০৬ | বিজয়ী [৩০] |
| ২৩ | ১২৪ [N ২]
|
১৯৫ | 73 | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
4 | 3 | 63.59 | জাতীয় স্টেডিয়াম, করাচী | দেশে | ২৭ নভেম্বর ২০০৬ | বিজয়ী [৩০] |
| ২৪ | ১১২ | ১৮৬ | ৮০ |  শ্রীলঙ্কা |
৫ | ৩ | ৬০.২১ | গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, গল | বিদেশে | ৪ জুলাই ২০০৯ | পরাজিত[৩২] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাNotes
- ↑ The match was involuntarily forfeited under Law 21 of the laws of cricket. The Pakistani team refused to continuning play after being accused of ball tampering by umpire Darrell Hair. The Test was abandoned, and the match awarded to England. This was the first such instance in the 1,814 Tests and 129 years of cricket up to 2006.[২৭]
- ↑ This was Yousuf's second century in the match. He was the sixth Pakistani player (after Hanif Mohammad, Javed Miandad, Wajahatullah Wasti, Yasir Hameed and Inzamam-ul-Haq) to score centuries in both innings of a match.[৩১]
তথ্যসূত্র
- ↑ Samiuddin, Osman (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Religion and the Pakistan team – Finding Faith"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২।
- ↑ "Records – Combined Test, ODI and T20I records – Batting records – Most hundreds in a career"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২।
- ↑ Rajesh, S. (২৯ মার্চ ২০১০)। "Mohammad Yousuf retires – One of Pakistan's finest middle-order batsmen"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১২।
- ↑ Khan, Waheed (১ ডিসেম্বর ২০০৬)। "Lara pays tribute to Yousuf as 'role model for Pakistan'"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২।
- ↑ "Pakistan – Records – Test matches – List of captains"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan – Records – ODIs – List of captains"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Records – Test matches – Batting records – Most runs in a calendar year"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২।
- ↑ "Records – Test matches – Batting records – Most hundreds in a calendar year"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ Engel, Matthew (সম্পাদক)। "Wisden – 2007"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২।
- ↑ "Pakistan in West Indies Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in West Indies Test Series – 3rd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "England in Pakistan Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "England in Pakistan Test Series – 3rd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in New Zealand Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Asian Test Championship, 2001/02 – 1st match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in Bangladesh Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan v West Indies Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in Zimbabwe Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "India in Pakistan Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in Australia Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in India Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "India in Pakistan Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "India in Pakistan Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in England Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in England Test Series – 3rd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Pakistan in England Test Series – 4th Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "England v Pakistan, 2006"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "West Indies in Pakistan Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "West Indies in Pakistan Test Series – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ ক খ "West Indies in Pakistan Test Series – 3rd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Most runs in a calendar year: Yousuf's amazing run-spree"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১২।
- ↑ "Pakistan in Sri Lanka Test Series – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।